আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিশুদের অ্যাজমা

আপনার শিশু শ্বাস ফেলার সময় হুইসেলের মতো শব্দ হচ্ছে কিনা এবং খেলাধুলার সময় খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কিনা তা খেয়াল করুন। কিংবা তার হয়তো রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী কাশি। অ্যাজমা শব্দটি যেমন বহুল পরিচিত, তেমনই এই রোগ চিহ্নিত করতে বহুক্ষেত্রেই ভুল হয়ে থাকে। সত্যি বলতে কি শিশু-কিশোরদের মধ্যে অ্যাজমার প্রকোপ অন্য যেকোনো রোগের চেয়ে বেশি। আমেরিকায় প্রতি বছর প্রায় পাঁচ মিলিয়ন শিশু-কিশোর অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়।

পাঁচ বছর বয়সে পৌঁছানোর আগে প্রায় অর্ধেক শিশুর মধ্যেই অ্যাজমার লক্ষণ দেখা যায়। অ্যাজমা শ্বাস-প্রশ্বাসকে দুর্বল করে দেয়। ফলে রক্তে অক্সিজেন পরিবহন কমে যায়। অর্থাৎ অ্যাজমা একটি মারাত্দক অসুখ। আবার একই সাথে অ্যাজমা এমন একটি অসুখ যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

লক্ষণ : অ্যাজমা চিহ্নিত করতে অনেক সময়ই ভুল হতে পারে। ভুলের কারণ একাধিক। যেমন শ্বাসতন্ত্রের আরও বেশ কিছু অসুখের উপসর্গগুলো অ্যাজমার সঙ্গে মিলে যায়। আবার অনেক শিশু কিছুদিন অসুখে ভোগার পরে মধ্যবর্তী কিছুদিন সময় সুস্থ থাকে ফলে তার কোনো রোগ নেই বলে মনে হয়। শিশুর অ্যালার্জিক অ্যাজমা আছে কথাটির অর্থ হচ্ছে অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলে তার অ্যাজমার উপসর্গগুলো বেড়ে যায়।

এই শিশুরা ধুলার জীবাণু, ছত্রাক, প্রাণীর লোম, আরশোলা প্রভৃতির সংস্পর্শে এলে তাদের অ্যাজমা আরও বেড়ে যায়। নিচের উপসর্গগুলো আছে কিনা লক্ষ করুন। যদি থাকে তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে অতিস্বত্তর যোগাযোগ করতে হবে-

কাশি : এটা হতে পারে একনাগাড়ে কিংবা বিরতি দিয়ে। তবে মনে রাখবেন যে প্রতিদিন এই উপসর্গ নাও দেখা দিতে পারে। আপনার সন্তানের শ্বাস ফেলার সময় শন শন শব্দ কিনা।

ছোট ছোট এবং দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস। এটি পরিশ্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত নাও হতে পারে।

আরও কিছু উপসর্গ : ক্লান্তি আপনার সন্তান খেলাধুলা ছেড়ে দিতে পারে। খিটখিটে মেজাজি হয়ে ওঠে। বলতে পারে তার বুকের মধ্যে কেমন যেন করছে।

দুগ্ধপোষ্য শিশুদের নিপল চুষতে গিয়ে শ্বাস রোধ হয়, ফলে নিপল চোষে না। একটু বড় ছেলেমেয়েরা খেলা ছেড়ে দেয়।

কাদের আশঙ্কা বেশি : যদিও প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি তবু সমীক্ষায় দেখা গেছে অ্যাজমা আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে রোগের আগে নিচের উপসর্গগুলো দেখা যায়- ভাইরাসজনিত সংক্রমণ হলে শ্বাস-প্রশ্বাসে শন শন শব্দ শোনা যায়। অ্যালার্জি থাকলে। অ্যাজমা ও অ্যালার্জির মধ্যে খুব গভীর সম্পর্ক।

পরিবারে যদি অ্যাজমা ও অ্যালার্জির আগে ইতিহাস থাকে। শিশু যদি তামাকের ধোঁয়া ও অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসে। দু'জন অ্যাজমার রোগী কখনোই হুবহু একই উপসর্গ নিয়ে আসে না। অ্যাজমা খুবই ব্যক্তিকেন্দ্রিক রোগ। কাজেই আপনার শিশুর দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।

শিশুদের ক্ষেত্রে ৮০ ভাগের বেশি অ্যাজমাই অ্যালার্জিজনিত, তাই অ্যালার্জি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ক্রমে টেস্ট করলেই জানা যায় অ্যালার্জির কারণ কি। শনাক্ত করলেই অ্যালার্জিজনিত রোগের চিকিৎসা করা সহজ।

ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা। ফোন : ০১৭২১৮৬৮৬০৬

 

 



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.