পাগলা শান্তু আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু ( আমার ছোট ভাইই আসলে যদি বলতে হয় অর সাথে আমার আন্তরিকতার কথা চিন্তা করলে) আমাকে সেদিন জিজ্ঞেস করলো যে আমি আসলে কোন রাজনৈতিক দল কিনবা রাজনৈতিক ধারার সমর্থক? আমি বললাম, "আমি বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদে বিশ্বাস করি এবং এর চেতনা আমার মনে ধারন করি শক্তভাবে"। ........................তারপর আরও পরিস্কার করে বললাম- আমি বিম্পি করিনা , কিন্তু আমি বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ- এর ভাষাসংস্কৃতি,ইতিহাস, ঐতিহ্য সব আমার গর্ব, আমার আশা আকাঙ্খা, স্বপ্ন, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, দুঃখ, আনন্দ-উল্লাস, ক্রোধ,ঘৃণা সবই বাংলাদেশকে নিয়ে। আমি জীবনে কখনও পাকিস্তান সহ্য করতে পারিনা, তাদের সমর্থকদেরও না, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের আমি সময় ও সুবিধামত পেলে মেরে ফেলব( কোন বিচারের ধার ধারব না), যারা আজ বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে ভারতের সমর্থন করে আমি তাদের ঘৃণা করি। আমি শুধু বাংলাদেশীদের ভালোবাসি, এবং বাংলাদেশকে যারা ভালবাসে তাদের ভালবাসি। আমি উগ্র বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে মত্ত কিন্তু আমি বিম্পিরে ঘৃণা করি কারন তারা জামায়াত-শিবিরের দোসর।
আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখতে গিয়ে গলার স্বর বসিয়ে দিগবিজয়ীর বেশে বাড়ি ফিরি,হারলে কষ্ট ভুলে থাকতে একসাথে ১০ টা মিডাজলাম খাই, তাও ঘুমাতে পারিনা- কষ্ট কমেনা। আমি গনজাগরন মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম দেখে হাসি, তাচ্ছিল্যের হাসি- ওরা বড়োজোর ১ কোটি হবে ??!! নাকি তাও হবেনা? আমার মতন আছে আরও ১৫ কোটি। বাংলাদেশ শুধুমাত্র আমাদের কারনে কোনোদিন আফগানিস্তান-পাকিস্তান হবেনা, সাভার ট্র্যাজেডির মতো দুর্ঘটনার পরেও গার্মেন্টস শিল্প এগিয়ে যাবে তরতর করে, পদ্মা সেতু-হলমার্ক কেলেঙ্কারির একদিন বিচার হবেই, সোহেল রানাকে হেলিকপ্টারে ঘুরাতে নিতে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে ১০০০ ফুট উপর থেকে আমরা ফেলে দিব, রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র সুন্দরবনে আমরা হতে দিবনা( ভারতের কুচক্রান্ত-আমাদের গর্ব সুন্দরবন ধ্বংসের ), আমরা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে গটগট করে বহির্বিশ্বের ইমিগ্রেশন দিয়ে হেঁটে যাবো- ওরা সম্মান আর শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। ক্রিকেট মাঠে দেখেন না " বাংলাদেশ বাংলাদেশ" গর্জনে স্টেডিয়াম কেমন প্রকম্পিত হয়ে উঠে?!!! কেউ কেউ হাসছেন আমার লেখা পড়ে- আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি আজ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশীরা এইসব সাফল্য অর্জন করবেই। আসুন, আমরা আমাদের যাদের সাহস আছে তারা প্রকাশ্যে এই স্বপ্ন সফলের জন্য হাত মিলাই ( যাদের সাহস নাই তারা গপনে হাত মিলাতে আসতে পারেন ) এবং কাঁধে কাধ মিলিয়ে দেশটাকে আমাদের সপ্নের জায়গায় নিয়ে যাই।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মেলা (গনজাগরন মঞ্চ) আর হেফাজতে ইসলাম নিয়ে চিন্তার কিছু নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আপনার আমার যথেষ্ট ভালই আছে- ওই জন্যে মঞ্চে গিয়া গলাবাজি করা লাগেনা,বেলুন উরাইতে আর মোমবাতি জ্বালাইতে হয়না। আর মুমিন মুসলমান হইতে আর ইসলাম চর্চার জন্যে আমাদের হেফাজতে ইস্লামের দরকার নাই- ১৪০০ বছর আগেই আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তাআলা আমাদের জন্যে পবিত্র কুরআন শরিফ আর রাসুলের সুন্নাহ হাদিস শরিফ আর জন্মের সময় নিজেদের বিবেক দিয়ে দিয়েছেন। তো আসুন - " বাংলাদেশ বাংলাদেশ" শ্লোগানে দেশ প্রকম্পিত করি আর দেশের আবর্জনাগুলকে বঙ্গপসাগরে নিক্ষেপ করি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।