শেষ বারের মতো সতর্ক করছি... দেশটা আমাদের, আপনি চাইলেই আপনার ইচ্ছে মতো দেশ বিরুদ্ধি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আপনি চাইলেও আমাদের মুখ বন্ধ রাখতে পারেন না।
এসব আমার মনের কথা। আমি এদের মনেই সমাধিস্থ করি প্রতিনিয়ত। আমার ভালবাসা আমার আবেগ, আমার স্বপ্নকে প্রতিনিয়ত এভাবেই মরতে দেই।
কিন্তু বলতে পারিনা। আপনার অনেক লাঠি আছে। প্রায় প্রতিদিনই তাই আপনি এগুলো দেশের ভিবিন্ন জায়গায় প্রদর্শন করেন। আমরা দেখে স্তব্দ হয়ে যাই। আমরা দেখে মূক হয়ে যাই।
আপনি ভাল করেই জানেন আমাদের বলার মতো কথাই আছে দু একটা, তাও বলতে দিতে চান না। যদি কখনো চেষ্টা করি। তবে লাঠির কর্মক্ষমতা আমাদের সামনে নতুন করে তুলে ধরেন। আমরা রক্ত দেখে আমাদের চোখ বন্ধ করে ফিরে আসি। ফিরে আসি আমাদের মায়ের আঁচলে।
আমি ভাল করেই জানি , সন্দেহাতিত ভাবে জানি, আপনার থাবা থেকে এ আঁচল মুক্ত নয়। এ আঁচলের শক্তি নেই আপনার পুরে যাবার হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে। আমি জানি বলেই মুখ খুলিনা। মুখ খুললেও শব্দ করিনা। আপনি হয়তো জানেন এই অস্ফুট শব্দ আপনাকে বিচলিত করতে পারবেনা।
তবু আপনি সাবধান থাকতে চান। আপনি সাবধান থাকেন । বলা তো যায়না একজন একজন করে যদি সবাই এই অস্ফুট শব্দ করতে থাকে তার সম্মিলিত স্বর কেমন শুনাবে? আমি জানি না। আপনি হয়তো জানেন। তাই আমাদের কথা বলার শক্ত কেড়ে নেন।
আমাদের আপনি বুঝিয়ে দেন কি দরকার কথা বলার। আমরাই তো বলছি, আপনাদের জন্যই তো আমরা এত কথা বলি। না হলে আমাদের এত কথা বলার কি কোন দরকার ছিল? এই আপনাদের কথা চিন্তা করে আমরা রাতে ঘুমাতে যাইনা। আপনাদের কথা ভেবে আমরা এত চিৎকার করি।
আমরাও কিন্তু জানি, আপনি কেন এত সব করেন।
আমরা কিন্তু জানি আপনি কেন জোর গলায় কথা বলেন? কিন্তু আমরা বলিনা। অথবা বলতে পারিনা। আমাদের ভেতরে এই কথা গুলো জমতে জমতে পহাড় হয়। পর্বত হয়,সাগর হয়, সমুদ্রহয়। সেখানে ঝড় হয় সাইক্লোন হয়,টর্নোডো হয়।
আমরা সবই সহ্য করে যাই। আমরা ভেতরে পঁচে যাওয়া মাংস পিন্ড হই। কিন্তু বাইরে দিয়ে ফিট ফাট থাকি। ঠিক থাকি না, আপনারা রাখেন। আপনাদের অনুগ্রহেই তো আমরা বেঁচে আছি।
আপনার এই অনুগ্রহের কথা আমরা কখনো ভুলিনা। ভুলতে পারিনা। আপনারা ভুলতে দিতে পারেন না। যদিও কখনো কখনো চেষ্টা করেন।
তবু এটাই সত্য দেশটা আমাদের।
আপনি একে পৈত্রিক কিংবা উত্তরাধিকার সম্পত্তি মনে করে লুটতরাজ চালাতে পারেন না। আমরা আছি একটু গুহার ভেতর। গুহার যে ছোট ফাঁকাটা আছে? একমাত্র বেরুবার রাস্তা। খুবই সরু। আপনারা এখন সেই সরু রাস্তাটা আগলে রেখেছেন।
একদল লাঠিয়াল নিয়ে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। আমরা কখনো কখনো ফুসে উঠার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এত সরু পথ দিয়ে এতদূর এত জনতা যেতে পারিনি। যে কারনেই হোক আপনারা সুবিধা অবস্থানে আছেন। এই অবস্থানের কারনেই আমরা মনে নেই আপনাদের সমস্ত কথা।
তাই আপনাদের কথা মতো আপনাদের বাছাইকৃত প্রার্থিকে আমরা ভোট দেই। আমাদের দিতে হয়। সুবিধা জনক অবস্থানের কারনে আমাদের কাছ থেকে ভুট আদায় করে নেন। আমরা দিতে বাধ্য থাকি।
কিন্তু বলা তো যায়না! এই গুহার অন্য কোন পথ থাকলেও থাকতে পারে? অন্য কোন পথ তৈরি হলেও হতে পারে।
কোন কারনে আমরা মুক্ত হয়েওতো যেতে পারি। তখন আপনাদের অবস্থান কোথায় যাবে? একবার ভেবে দেখুন? আপনার চারপাশে অনেক বসন্তই আসছে যাচ্ছে। আজ যারা আপনার বন্ধু আছে কালতো তারা নাও থাকতে পারে তখন কি করবেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।