কথিত আহলে হাদিস ভাইদের প্রসিদ্ধ কথা
"কুরআন এবং সহিহ হাদিস অনুসরণ করুন। " কথাটা ফেইসবুক, টুইটার, ব্লগ ইত্যাদী তে বেশি বেশি প্রচারের কারণে তাদের বেলায় প্রসিদ্ধ বলে মনে হচ্ছে। তবে কথাটা শুধু তাদের বলা অন্যায় হবে কারণ তা সমস্ত মুসলমানদের কথা।
বলা বাহুল্য আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ইমামগন কুরআন ও সহিহ হাদিসের আমল প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কুরআন ও সহিহ হাদিসের ব্যাপক ব্যখ্যা বিশ্লেষণ করে মাসয়ালা বর্ণনা।
করেছেন। তাদের ঐ ব্যখ্যা বিশ্লেষণধর্মী মাসয়ালা কে শরিয়তের পরিভাষায় ফেক্বাহ বলা হয়।
আর কোরান & সহিহ হাদিসের উপর আমল করার জন্য তা সারাবিশ্বের ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দেয়া হয়।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল কথিত আহলে হাদিস ভাইয়েরা কঠর ভাবে ফেক্বাহ কে এড়িয়ে চলেন। এবং ফেক্বাহ কুরআন হাদিসের পরিপন্থি বলে মনে করেন।
এক্ষেত্রে
তারা তাদের বড় মুবাল্লিগ মাও জুনাগড়ী সাহেবের কথা কঠিন ভাবে মেনে চলেন। জুনাগড়ী সাহেব তার লিখিত বই তরিকে মুহাম্মদীর ১৩৯ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন " যখন আমাদের কাছে কুরআন হাদিস বিদ্যমান এবং আমরা নিজেরাই তা পড়তে পারি, তাই অন্য কোন ব্যক্তি থেকে জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই। "
একথার ব্যখ্যা হল আমরা নিজেরা কুরআন হাদিস বুঝে আমল করতে পারি তাই মুজতাহিদ ইমামগন কি ব্যখ্যা করেছেন তা জানার দরকার নেই।
বাস্তবতার নিরিখে একথার সমালোচনা না করে উপায় আছে কি?
প্রথম কথা হল যারা কুরআন হাদিস বুঝে আমল করতে পারেন তাদেরও তো কোন না কোন বিদ্বানের ব্যখ্যা বিশ্লেষণ বুঝে অনুসরণ করতে হয়। যেমনটি তারা নিজেরাই তাদের নিজেদের ইমামগনের ব্যখ্যা বিশ্লেষণ মেনে থাকেন।
নতুবা নিজের মতানুযায়ী ব্যখ্যা করতে গিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারা হয়।
দ্বিতীয় কথা হল যারা আলেম নয় তাদেরকেও মাওঃ জুনাগড়ী সাহেবের কথা আওঅড়াতে দেখা যায়।
আশ্চর্য কথা !
যে কুরআন হাদিসের ইবারতই পড়তে পারেনা সে কিভাবে অন্যের ব্যখ্যা বিশ্লেষণ জিজ্ঞাসা না করে কুরান ও সহিহ হাদিসের অনুসরণ করতে পারে।
তৃতীয় কথা হল যে যত বড় আলেম হন না কেন জ্ঞানের দিক থেকে পরিপূর্ণ হতে পারেন না। অশিক্ষিত কে অপরিহার্যভাবে আমল করার জন্য অন্যের থেকে জিজ্ঞেস করতে হয়।
যেমন আল্লাহ তায়ালার বাণী " যদি তোমরা না জান তাহলে যারা জানে তাদের কে জিজ্ঞেস কর । "
( সুরা নাহল ৪৩, সুরা আম্বিয়া ৭ )
তাই কুরআন ও সহিহ হাদিস অনুসরণের জন্য ফেক্বাহ হল একটা মাধ্যম। ফেক্বাহ কে অস্বীকার করে কুরআন হাদিসের উপর আমল করা মানে দ্বীন থেকে সরে যাওয়া। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।