কুরআন কাব্য নয়
কুরআন পাকের প্রতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, এর এক একটি শব্দ ভাষা - মাধুর্যে, দ্বীন ও দুনিয়ার উপকারে এবং মঙ্গল ও কল্যাণে ভরপুর। কুরআন পাকের বাক্যের বিন্যাস ও সৌন্দর্য, শব্দের অপূর্ব গাঁথুনী, রচনা - গঠন শৈলী - অর্থের সুষ্পষ্টতা- বিষয়ের পবিত্রতায় যেন পরিপূর্ণ। এর উপস্থাপনার আস্বাদন, এর বর্ণনাকৃত ঘটনাবলীর সরলতা যেন মৃত সঞ্জীবনী, এর সংক্ষেপণ উচ্চ আদর্শ, এর বিশ্লেষণ মু’জিযার অপুরন্ত প্রাণ প্রাচুর্যে তৃপ্ত। এর কোন কিছুর পুনরাবৃত্তি অসীম স্বাদ দিয়ে থাকে। মনে হয় যেন খাঁটি মুক্তার বৃষ্টি বর্ষণ হচ্ছে।
বার বার পড়লেও মনে কোনোরুপ বিরক্তি আসবে না।
কুরআন পাকের স্বাদ গ্রহণ করতে থাকলে সব সময় নতুন স্বাদ পায়া যাবে। বিষয়বস্তু অনুধাবন করতে থাকলে শেষ হবে না। এটাই একমাত্র কুরআন পাকের বৈশিষ্ট্য। ইহা আস্বাদনে চাটনীর মজা এবং মিষ্টতার স্বাদের কথা তাঁকেই জিজ্ঞেস করা উচিত যাঁকে মহান আল্লাহ জ্ঞান- অনুভূতি এবং বিদ্যাবুদ্ধির কিছু অংশ দান করেছেন।
এর ভয় প্রদর্শন, ধমক এবং শাস্তির বর্ণনা মজবুত পাহাড়কেও নড়িয়ে দেয়, মানুষের অন্তর তো দূরে থাক (কি ছার)।
কুরআন পাকের অঙ্গীকার, সুসংবাদ, দান ও অনুগ্রহের বর্ণনা অন্তরের শুষ্ক কুঁড়ির মুখ খুলে দেয় বা প্রষ্ফুটিত করে । এটা ইচ্ছা ও আকাংখার প্রশমিত- আবেগের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী এবং বেহেশ্ত ও আরামের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য চোখের সামনে উপস্থাপনকারী। এতে মন আনন্দিত হয় এবং চক্ষু খুলে যায়। এতে আগ্রহ উৎপাদক ঘোষণা হচ্ছেঃ “ অতএব এইরূপ লোকদের জন্য কত কি নয়ন জুড়ানো আসবাব যে গায়েবী ভাণ্ডারে মওজুদ রয়েছে এটা কারও জানা নেই।
” চলবে………………..। সূত্র: তাফসীর ইবনে কাসীর , সূরা - বাকারাহ , পারা-১ (পাতা-১৯৭, ১ম:, ২য়:, তৃতীয় খন্ড)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।