আজ যে শিশু পৃথিবীর আলো দেখেছে, আমরা তার তরে একটি সাজানো বাগান চাই রাজধানীর ধানমণ্ডি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শরীরচর্চ্চা শিক্ষিকা মঞ্জুআরা খাতুন এবং চারুকলা শিক্ষিকা বার্কিয়া আজম ক্লাশ চলাকালীন সময়ে কাঁচি নিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে ঢুকেন। তারা দুজনে শ্রেণী শিক্ষক জনাব মিজানের সামনেই এক ছাত্রীর স্কুল ইউনিফরম গলা থেকে কোমর পর্যন্ত কেটে দেন। এসময় ঐ সহপাঠির লজ্জা ঢাকতে অন্য সহপাঠিরা এগিয়ে আসে এবং নিজেদের স্কার্ফ খুলে ঢেকে তার শরীর। এ ছাড়াও ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত অনেক ছাত্রীর মাথার চুল কেটে দেয় উল্লিখিত দু’জন শিক্ষিকা। অপর একটি খবরে জানা যায়, খুলনা মহানগরীর সরকারি ল্যাবরেটরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১১৪ জন ছাত্রের মাথার চুল এবড়োথেবড়ো করে কেটে দিয়েছেন শিক্ষকরা। উপর্যুক্ত দু’টি ঘটনায় একই রকম। নিয়ম শৃঙ্খলার নামে চলছে শিশু নির্যাতন। আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশনির উপর সরকারি বিধিনিষেধ আসাতে কিছু তথাকথিত শিক্ষক, শিক্ষকতার পাশাপাশি চুলকাটার সেলুন বা টেইলারিং শপ ইত্যাদি পেশার প্রতি কি মনোযোগ দিচ্ছেন? তারই প্রাকটিস হিসেবে এই কর্ম তারা করছেন? আমরা কি সভ্য সমাজে বসবাস করছি? দেশের কোমলমতি শিশু-কিশোর যদি বিদ্যালয়ে শিক্ষক দ্বারা এভাবে মানষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় তবে কি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিশঙ্কচিত্তে বেড়ে ওঠার সুযোগ পাবে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।