আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্কুল স্মৃতি (বালতি স্কুল): ২য় পর্ব

রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই

প্রথম পর্ব : আমার আগের পোস্টে। চট্টগ্রামের মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলে পড়তাম একসময়। স্কুল জীবনের কিছু মজার স্মৃতি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আশা করি ভালো লাগবে। ৫।

টিফিনঃ টিফিনের জন্য আমাদের স্কুলটা মোটামোটি খুবই ফেমাস ছিলো , খুব ভালো ভালো খাওয়া দিত। এমন কি ফলের মৌসুমে ফলও, আম, আপেল, কমলা, কলা, রুটি, বন, বিস্কুট,আরো অনেক কিছু। একবার হেড স্যারের মাথায় আসলো, ছাত্রদের আনারস খাওয়াতে হবে। ব্যাস, চলে আসলো হাজার খানেক আনারস। কিন্তু এইভাবে দিলে কেমনে খাবে ছাত্ররা? তারপর ৫-৬ জন মানুষ লাগিয়ে দিলো, আনারস ছিলার জন্য।

তার একটানা কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু কাজ শেষ হয় না। দুপুর ১টার সময় টিফিন, কিন্তু সেইবার আমরা টিফিন পেলাম বিকাল ৪টার পর। ৬। সিনেমা হল পাহারা দেওয়া যখন জলসা সিনেমা হলে (এখন আর সেই সিনেমা হল নাই, মার্কেট করে ফেলেছে)নতুন সিনেমা আসতো, তখন দুপুর হলেই দেখা যেত, স্কুলের কোনো টিচার সিনেমা হল গেটে পাহারা দিত, যাতে ১ ঘন্টা টিফিনের ফাকে কেউ সিনেমা হলে না ঢুকে যায়। আর টিফিন পিরিয়ডের পর প্রত্যেকদিন ২য় দফা রোলকল করা হতো।

কেউ পালিয়েছে কিনা, সেটা হেডস্যারকে রিপোর্ট করতে হতো। ৭। আজব শাস্তিঃ আর একজন শিক্ষক ছিলেন, সমরেন্দ্র স্যার, গণিত পড়াতেন, অসম্ভব কড়া, কঠিন শাস্তি দিতেন। হয়ত দেখা গেল, কানে ধরে স্কুলের মাঠের মাঝখানে দাড় করিয়ে রাখতেন ৩০ মিনিট, কিংবা ক্লাশ ক্যাপটেনকে কি দিয়ে কানে ধরিয়ে সারা স্কুলের এমাথা ওমাথা ঘুরানো হতো, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী। খুব ভয়ে ভয়ে থাকতাম, কিন্তু এখন এইসব কথা মনে পড়লে মজাই লাগে।

ধন্যবাদ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.