আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আশিকি দুই আর আমাদের মহান আত্বহত্যা প্রেম।

মানবিক, যৌক্তিক আর অযৌক্তিক। সোজা কথা আরেকটা মানুষ। দশ জনের ভীরে ডুবে থাকার প্রানান্ত চেষ্টায় থাকা মানুষ। গত কিছুদিন ধরে আশিকি-২ নিয়া এত এত খবর দেইখা আমিও হাইপে আক্রান্ত হইলাম। ভাবলাম দেখা যাক- উহাতে কি আছে।

গান শুনসি আগেই; খারাপ না। এমনেতেই বাঙ্গালীর কানে বাংলা গানের চেয়ে হিন্দি আর উর্দু গান ধরে ভালো। বিয়া বাড়ীতে চলে হিন্দি আর রুনা লায়লা মঞ্চে উঠলেই গান উর্দু!!!!! সে যাই হোক এইগুলান অফটপিক। টপিকে আসি। এই বিশ্ব- ব্রহ্মাণ্ড জয় করা ছবি থিকা আমরা কি শিখি? আমরা শিখি- ৮৬ রুপির টমেটো থিকা প্রেম স্টার্ট হয়।

অমর প্রেম। আর আপনি মেলোডি গাইলেও সেটা হিন্দি মুভি হইলে আপনি রকস্টার!!! আরও অনেক কিছু শিখার আছে এই মুভি থিকা। আপনি যদি রকস্টার নাইয়ক হন তাহলে আপনি কোটি কোটি লিটার মদ গিল্লেও তেমন কোন সমস্যা হবেনা, নেশায় বুঁদ হওয়া দুরের কথা; এমন কি এত তরল গিলেও আপনার মিনিমাম লেভেলের প্রকৃতির ডাক আসবে না। সে জায়গায় নায়ক সাহেব তো মোটে কয়েক চৌবাচ্চা পরিমান মদ গিলছেন পুরা মুভিতে। ভাই তোর লিভার টা একটু ধার দিবি???!!!!! এবার সিরিয়াস প্রসঙ্গ, ভারত তো বটেই উপমহাদেশের মানুষ মাত্রই মারাত্মক ফিল্মি।

জীবন- টা ফিল্মের মতই চলে অনেকের। রুপালি মিডিয়া নির্ভর স্বপ্ন বুনে অনেক জীবন। তারকা- রা এখানে দেবতাতুল্য। সে জায়গায় এমন হাইপ তৈরি করা ছবি যেখানে এক জন সাফল্য পাওয়া তারকা, পরবর্তীতে নিজের ব্যার্থতায় আর প্রেমের আতিশয্যে আত্বহননের পথ বেছে নেন। যেখানে আত্বহত্যা-কে সমাধান হিসেবে দেখানো হয়, আত্বহত্যা হয়ে ওঠে মহৎ, সে জায়গা শিল্পের জন্যে যতই উৎকৃষ্ট হোক- জন মানুষের জন্যে নিকৃষ্ট বৈ কিছু নয়।

ভাবছেন; বড় বাড়াবাড়ি কথা বলছি, এত টা গুরুতর নয়!!!! যারা ভাবছেন, তাদের বলি জগতে আপনি একাই মানুষ নন। সবাই আপনার মত ভাবে না। এবার প্রমান টাও দেই- আশিকি- ২ মুক্তি পেয়েছে ২৬ এপ্রিল ২০১৩, তার ঠিক কিছুদিন পরেই ২ জুন- মুম্বাইয়ের সর্বগ্রাসী রুপালি জগতের আরেক এলকোহলিক ফ্লপ স্টার জিয়া খান আত্বহননের পথ বেছে নেন। কারণ; সেই চিরাচরিত- ১) ব্যার্থ স্টারডম। আর; ২) সংকটময় প্রেম জীবন।

ফিল্মি মানুষগুলোর চরম ফিল্মি লাইফের এই আত্বহননে এই ছবি কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেনি, কিংবা তার আত্বহননের সিদ্ধান্ত-কে গতি দেয়নি এ আমি বিশ্বাস করিনা। আমি লিখে রাখলাম- এই ছবির অবশ্যই তাতে ভুমিকা আছে, এই সব স্টারদের জীবন কি পরিমান মেকি আর ফিল্মি তা একটু স্টাডি করলেই অনেকেই বুঝবেন। যাই হউক- ভারতীয়- পাকিস্তানিরা আমার কনসার্ণ না, যারা আশিকি হাইপে ভুগছেন, প্লিজ সুযোগ পেলেই এই ধরনের কাহিনীর ছবির ডি-মারকেটিং করুন। আর কেউ যাতে আত্বহননে উদ্বুদ্ধ না হয়। হলেও- অন্তত বাংলার একটা প্রাণও যাতে এইভাবে শেষ না হয়।

আসুন বাচি। জীবন ছবির চেয়ে সুন্দর। বাবা-মা-ভাই-বোন কত সম্পর্ক। কেউ না থাকলে অন্য মানুষদের জন্যে বাচুন। জীবন মোহিত সুরির আশিকি দুই নয়।

জীবন জহির রায়হানের জীবন থেকে নেয়া, জীবন মানিক-জীর পদ্মা নদীর মাঝি। কাটাময় কিন্তু মহান। প্রতিটা কণ্টকময় সৎ পথই মহান। বাবা-মা-ভাই-বোন কত সম্পর্ক। কেউ না থাকলে অন্য মানুষদের জন্যে বাচুন।

জীবন কে, সংগ্রাম কে হ্যাঁ বলুন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।