সুস্থ সুন্দর জীবনযাপন করতে চাই । ভাসতে চাই অনাবিল সুখে । পড়ালেখা বা শিক্ষা বলতেই আমরা এখন বুঝে নেই কোন ইউনিভার্সিটি, কলেজ বা স্কুলে পড়া । আসলে সেটা নয় । পৃথিবীকে যারা কিছু দিয়ে গেছেন বা পৃথিবী যাদেরকে মনে রেখেছে তাদের অনেকেই এরকম ধরাবাধা নিয়মের পড়ালেখা করেননি ।
যদি আমরা একটু খতিয়ে দেখি তবে দেখব আমাদের মুসলমানদের শেষ নবীও কোন স্কুলে পড়েননি । তাই বলে কি তিনি মূর্খ ছিলেন ? অবশ্যই না । অমুসলমানরা এক বাক্যে স্বীকার করে নেন যে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) অনেক বড় পন্ডিত লোক ছিলেন । তিনি ছিলেন একাধারে সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাবিদ, ধর্মবিদ, রাষ্ট্রপরিচালক । অথচ তিনি কোন স্কুলেই পড়াশোনা করেন নি ।
তেমনি ভাবে আমরা বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন দেখলে দেখতে পাই তিনিও বিদ্যালয়ের ধরাবাধা শিক্ষায় যাননি । বাড়ীতে যতটুকু দরকার পড়েছেন । আর বাংলা সাহিত্যকে তিনি দিয়ে গেছেন অমূল্য সম্পদ । বাংলা সাহিত্যকে সম্পদশালী, শক্তিশালী করা রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরও কোন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেননি । ১৫বছর বয়সে উনার যখন বনফুল কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ হয় তখনও তিনি বাড়ীতেই শিক্ষা নিতেন ।
১৭ বছর বয়সে বিলেত পড়তে যান । সে পড়া শেষ করতে পারেননি । বাড়ী ফিরে আসেন । অর্থাৎ রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরও কোন ধরাবাধা শিক্ষায় যাননি ।
জীবন থেকে শিক্ষা পেয়েছেন এরকম আরো অনেক মনিষী রয়েছেন ।
কেউ ছিলেন দার্শনিক কেউ সাহিত্যিক কেউ সায়েন্টিস কেউবা সমাজ সংস্কারক । সুতরাং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাথে জীবন থেকেও শিক্ষা নেয়া দরকার । তাহলে প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা না হলেও জীবনে বড় কিছু করা সম্ভব হবে । জীবনে প্রতিটি ধাপ থেকে শিখতে হবে । শিখতে হবে নতুন কিছু ।
তবেই রবিন্দ্রনাথ বা আরো অনেক মনিষির মত হওয়া সম্ভব হবে । মনে রাখতে হবে শিক্ষার কোন শেষ নেই । কেউ যদি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মনে করে খুব বেশি জেনে ফেলেছে তবে সেটা হবে মস্ত বড় ভূল । কারন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চাইতে বড় শিক্ষা হল জীবন থেকে শিক্ষা । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পরে সেই শিক্ষা শিখতে হয় ।
শুধু তাই নয় জীবনবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে সবাই । যারা প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নয় তারাও পারে । জীবন থেকে শিক্ষায় শিক্ষিত হোক সবাই । এই কামনা রইল । তাহলেই এগিয়ে যাবে আমার,আপনার সবার প্রিয় এই ছোট্র শ্যামল দেশ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।