''প্রভু, ভুল ভেঙ্গে দাও; যে ভুলে তোমারে ভুলি, হিরা ফেলে কাচ তুলি, আমার সেই ভুল তুমি ভেঙ্গে দাও প্রভু। '' ফেসবুকে লিঙ্ক পেয়ে আমি মতিউর রহমান এর কিছু লেকচার শুনেছি।
ছিঃ একজন মানুষ কিভাবে আলিমদের বিরুদ্ধে এত বিশ্রীভাবে বিষেদাগার করতে পারে মতিউর রহমান এর লেকচার না শুনলে বুঝতাম না।
এদের মতে
১. আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের বেশিরভাগ আলিমই ভুল!!!
২. দেওবন্দ মাদ্রাসা ভুল।
৩. সব কওমী মাদ্রাসায় ভুল জিনিষ শিখানো হয়!!!
৪. তাবলিগ জামাত মানুষকে শিরকের শিক্ষা দেয়!!!
ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ মতিউর রহমানের লেকচার অসংখ্য ভুল আর মিথ্যা কথায় ভরপুর।
আসলে মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। ভারতীয় উপমহাদেশের আলিমগন আর মতিউর রহমান সবারই কিছু কিছু ভুল হতে পারে। তারা তো কেও নবী নন যে ভুল হবে না। কেও ভুল করলে তার সমালোচনা করাও আলিমদের দায়িত্ত।
কিন্তু সমালোচনা করা আর বিরোধিতা করার জন্য সমালোচনা করা এক জিনিস নয়।
তবে আফছুছ!
আমাদের কওমী হযরতগন দীনি কাজে এতই ব্যস্ত যে ইন্টারনেটে তাদের তেমন বিচরন দেখি না। আর এই সুযোগে মতিউর রহমান ও তার মুরিদরা ফেসবুক আর ব্লগে বিরাট হইচই ফেলে দিচ্ছে। এতে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে তরুন ও যুব সমাজ যারা ফেইজবুক আর ব্লগে বেশী সময় দেয়।
আমার কছে মনে হয়েছে তারা উম্মাতের সংশোধনের জন্য সমালোচনা করে না বরং উম্মাতকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এসব করে। কারন তাদের এসব গনহারে (দেওবন্দ মাদ্রাসা ভুল, কওমী মাদ্রাসা ভুল, তাবলিগ জামাত ভুল, ভারতীয় উপমহাদেশের বেশিরভাগ আলিমরাই ভুল, শুধু ভুল আর ভুল) সমালোচনা দেখে ইসলামের প্রতি, আলিমদের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলেই আমার মনে হয়।
আমরা যারা আলিম নই তাদের বিশেষ কিছু করার থাকে না।
তাই যারা এসব বেপারে একটু সচেতন আলিম তারা যদি না এগিয়ে আসেন তাহলে তো জাতি বিভ্রান্তির গহবরে হারিয়ে যাবে।
মনে রাখতে হবে তরুন ও যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য একদল ইন্টারনেট সচেতন আলিমের প্রয়োজনীয়তার কথা আজকের বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাকে গভীরভাবে আনুধাবন করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।