মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। ক্ষমতায় থাকাকালীন আমাদের দুই প্রধান নেত্রীর হরতাল বিষয়ক বক্তব্য। ফেসবুক ও ব্লগের কল্যানে আমরা অনেক ফতোয়া পাই। আর যারা ফতোয়া দেন তাদেরকে বলা হয় মুফতি, এখন সেই সকল ফেসবুক ও ব্লগীয় মিুফতিদের নিকট জিজ্ঞাসা ওয়াদা ভঙ্গ করা কিসের লক্ষন? কোরআনের সুরা মুনাফিকুন এর আলোকে ওয়াদা ভঙ্গকারীকে কি শাস্তি পেতে হবে বলে বর্ননা করা হয়েছে সেই বিষয়ে কি তারা একটু জ্ঞান ধার দিবেন? ১৯৯৩ সালে ১০ অক্টোবর বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া তাহার সুগন্ধা কার্যালয়ে চাটখিল সরকারী কলেজের ছাত্রসংসদের নব নির্বাচিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষনদান কালে বলেন হরতাল ও ধর্মঘট উন্নয়ন প্রতিক্রিয়াকে ব্যহৃত করে এবং শ্রমিক শ্রেণীর দারুন ক্ষতি হয়। তিনি আরো বলেন যারা হরতাল ও ধ্বংসের রাজনীতি করে তারা দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে উদাসীন দেশ প্রেমিক হইলে তাহারা এহেন ধ্বংসাত্বক কাজ করিতে পারে না। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিয়েছিল আমি বিরোধী দলে গেলেও আর কোনদিন হরতাল দিব না। কিন্তু ২০০১-০৬ সময়ে ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিল। কোরআনের সুরা মুনাফিকুন এর আলোকে ওয়াদা ভঙ্গকারীকে নেতা বা নেত্রী হিসেবে যারা গ্রহন করবে তাদের জন্য কি ফতোয়া? বিশিষ্ঠ ব্লগ ও ফেসবুকীয় মুফতীগন যদি এই বিষয়ে আমাদের কিছু জ্ঞান বিতরন করতেন, তবে জাতি বড়ই কৃতার্থ হতো। জাতিকে এমন বিভ্রান্তিকর অবস্থা থেকে উদ্ধারে কি এগিয়ে আসবে আমাদের সন্মানিত মুফতী সাহেব গন?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।