আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্ষমতায় থাকলে আয় বাড়ে

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব হবে উন্মুক্ত। তাদের সম্পদের বিবরণ জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। ক্ষমতায় থাকলে আয় বাড়ে এটা দুনিয়ার ইতিহাস। ক্ষমতায় থাকলে আয় বাড়া-ই স্বাভাবিক। তবে আমাদের এমপি-মন্ত্রীদের আয় অস্বাভাবিক হারে বাড়লে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

গতকাল সচিবালয়ে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল শেষে তিনি এসব মন্তব্য করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, যেসব জনপ্রতিনিধির সম্পদ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে এনবিআর চাইলে সেগুলো খতিয়ে দেখতে পারে। চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অর্থমন্ত্রীর করযোগ্য আয় ১১ লাখ ৪৭ হাজার ১৭৯ টাকা। তিনি এ বছর কর দিয়েছেন ৮৪ হাজার ৪৩৬ টাকা। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত যখন অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তখন তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে গতকাল পর্যন্ত তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এই সময়ে সম্পদ বৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা আমাদের মূল্যস্ফীতি হারের তুলনায়ও কম। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পাঁচ বছরে সরকারদলীয় এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ ও আয় বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, পাঁচ বছরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনগণের আয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে এটা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, দুনিয়ার ইতিহাস হচ্ছে যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের আয় বাড়ে।

এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অর্থমন্ত্রী বলেন, আয়কর রিটার্ন জমা দিতে এবার তার বিলম্ব হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনেকেরই আয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে, এ জন্য এনবিআর বা দুদক কোনো ব্যবস্থা নেবে বা তদারকি করবে কি না- জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'দুদক ইজ কমপ্লিটলি ইনডিপেনডেন্ট'। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবাই তাদের সম্পদ ও আয়ের হিসাব জমা দিয়েছেন। যে কারও তা জানার ইচ্ছা থাকলে জানতে পারবেন।

মহাজোট সরকারের পাঁচ বছরে নিজের আয়ের হিসাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় অর্থাৎ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে আমার মোট সম্পদ ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। পাঁচ বছর শেষে এখন আমার সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.