আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর এর আমলে (১৬০৫-২৭) মোঘল সাম্রাজ্য আর বিস্তৃত হয়। তিনি তাঁর বড় ছেলে খসরুর বিদ্রোহ কঠোর হাতে দমন করেন। খসরুকে সাহায্য করার অপরাধে শিখদের পঞ্চম গুরু অর্জুনের প্রাণদণ্ড হয়। এতে করে সমস্ত শিখ জাতি মোঘলদের উপর ক্ষেপে যায়।
জাহাঙ্গীর
ব্যক্তিগত জীবনে জাহাঙ্গীর ছিলেন অত্যন্ত বিলাসী এবং অসংযত।
মেহেরুন্নিসা নামে অপরূপ সুন্দরী একটি মেয়েকে তিনি খুব পছন্দ করতেন। পরে মেহেরুন্নিসার স্বামী শের আফগান কে হত্যা করিয়ে জাহাঙ্গীর তাঁকে বিয়ে করেন। ভারতের বর্ধমান শহরে শের আফগানের সমাধি এখনও আছে।
নুরজাহান
এই মেহেরুন্নিসাই পরে নুরজাহান নামে বিখ্যাত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন যেমন রূপবতী তেমনি বুদ্ধিমতী।
শেষ জীবনে সম্রাট নুরজাহানের উপর অনেক বেশী নির্ভরশীল হয়ে পরেন। এই সময় তাঁর তৃতীয় ছেলে খুররম (শাহজাহান) জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন।
শাহজাহান
জাহাঙ্গীরের পরেই ভারতের সিংহাসনে আসেন শাহজাহান(১৬২৮-৫৯)। যার তাজমহল আর ময়ূর সিংহাসন সবার জানা। শাহজাহান তাঁর প্রিয় স্ত্রী মমতাজের নামেই তাঁর সমাধি সৌধের নাম রাখেন ‘তাজমহল’।
তাজমহল আর আগ্রার দুর্গ দেখলে শাহজাহানের শৌখিনতার পরিচয় পাওয়া যায়। তবে শুধু শৌখিনতা নয়, নিষ্ঠুরতার দিক থেকেও শাহজাহান কোন অংশে কম ছিলেন না। আকবর ও জাহাঙ্গীরের মত উদার ও সহিষ্ণুও তিনি ছিলেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।