থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি। সংবাদটি পড়লাম। আপনি না পড়ে থাকলে পড়ুনঃ Click This Link
সংবাদের মূল আকর্ষণ হল শাওনের মিডিয়া প্রীতি। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের চেহলাম উপলক্ষে গেল মঙ্গলবার [ ২৮ আগষ্ট ২০১২ ] নুহাশপল্লীতে নিজ হাতে বেড়ে এতিম শিশুদের খাওয়ালেন তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিত, বাবা মোহাম্মদ আলী, মা তহুরা আলীসহ পরিবারের সদস্যরা।
এই যে পরিবারের কথা বলা হচ্ছে, তা কোন পরিবার? আমাদের দেশের রীতি অনুযায়ী স্বামীর পরিবার হচ্ছে স্ত্রীর পরিবার। নিয়মটা হিন্দুয়ানি মনে হলেও, বিশ্বাস করবেন কিনা, ইসলামেও এর পক্ষে অনেক সাপোর্ট পাওয়া যায়।
তো আমাদের রীতি অনুযায়ী হলে এই অনুষ্ঠানে শাওনের শ্বাশুড়ির উপস্থিত থাকবার করা ছিল। থাকবার কথা ছিল হুমায়ূন আহমেদের অনুজ দুই ভাইয়ের, এবং হুমায়ূন আহমেদের আরো তিন কন্যা এবং এক পুত্রের। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী হিসাবে এই মহিলা না পেরেছে তার শ্বাশুড়িকে পাশে রাখতে, না পেরেছে তার দেবরদেরকে তার পাশে রাখতে।
যতদূর জানি, আমাদের মিডিয়া হুমায়ূন আহমেদ ইস্যুতে দুই ভাগে বিভিক্তঃ এক পক্ষ মনে করে শাওনের অবস্থান ঠিক, অন্য দল মনে করে শাওনের অবস্থান ভুল।
তবে আমার ধারণা, বেশির ভাগ হুমায়ূন-পাঠক মনে করেন শাওনের অবস্থান ভুল। সে জন্য হুমায়ুনের মা-ভাই ও প্রথম পক্ষের সন্তানদের প্রতি সবার একটা সফট কর্নার দেখা যাচ্ছে।
শাওন নিজের সামান্য ত্যাগের বিনিময়ে কতকিছু যে পেত, তা এখন হয়তো টের পাবে। অবশ্য এই জাতীয় মেয়েরা টের পায়, মরমে মরমে জ্বলে, কিন্তু বাইরে কিছু বলবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।