অযথা ঝগড়া বিবাদ ভাল লাগে না। শিক্ষা বলতে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়। সু শিক্ষা চাই সর্বত্র। রঙ নিয়ে কাজ শিল্পীর কাজ। জীবনের বলা না বলা গল্প আর নানা কথা তুলির আচড়ে ক্যানভাসে আকেন নানা রঙে।
রঙ নিয়ে কবিতা গল্প হয়। রঙের প্রতি আমজনতার আকর্ষণ অনেক। বোধহয় সেই আকর্ষনেই সিলেটের সাত রঙের চা' খেতে ছুটি আমরা ক'জন।
সকালে আমরা রওয়ানা দেই ৯ জন। প্রথমে তিনটি মাজার জেয়ারত শেষ করি।
এরই মধ্যে সুর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়েছে। একজন দেখালো সাত রঙের চা'য়ের দোকান। সিদ্ধান্ত হয় একটু রঙের স্বাদ নেবো।
সিলেটের বাইপাস সড়কের একটু সুরমা গেইটে তামাবিল রোডে রেড কন্ঠ রুপসী টি কেবিনে ঢুকলাম আমরা। ঢুকেই কাউন্টারে বসা লোকটিকে মুল্য জিজ্ঞাসা করলাম।
সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় জবাব দিল ৭০ টাকা। ৯ গ্লাস অর্ডার দিলাম। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষার পালা। হিসেব কষে দেখলাম রঙ প্রতি ১০ টাকা। প্রায় আধ ঘন্টা পর এল সেই কাঙ্খিত চা।
কিছুক্ষন অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম। রঙের বাহার দেখে আমরা উচ্ছাসিত। কিভাবে রঙের মিশ্রন ঢুকলো তা কিছুতেই মাথায় ঢুকছে না। তবে একটু নাড়িয়ে দেখলাম রঙ গুলিয়ে একাকার হয়ে যায়। চা খাওয়া শেষে এর কৌশল জানতে চাইলাম দোকানের মালিকের কাছে।
জানালো, দুধ, পানি, গ্রীন টি, রঙ চা সহ কয়েক প্রকার চায়ের মিশ্রনে তৈরী হয় ৭ রঙের চা। তার দাবি এতে কোন ক্যামিকেল নেই।
রঙ চা নিয়ে আমাদের আগ্রহ শেষ হল। আমরা ছুটলাম নাড়ির টানে বাড়ির দিকে। তবে আমার মাথায় কেবলই ঘুরপাক খাচ্ছিল সাত রঙা চায়ের কথা।
সেই সাথে কবি আল মাহমুদের লেখা কবিতার সেই পঙতি। ' শাড়ি-পরা কোন রমনীয় কবিতা গায়ে রঙ মাখে,কাটা সুপারির রঙ, পা সবুজ নখ তীব্র লাল। যেন তার তন্ত্র মন্ত্রে ভরে আছে চন্দনের ডাল'। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।