সুরমা নদীর তীর থেকে
সিলে্টের বাউল গান আর ধামাইল গানের মতো আরেকটি লোকজ ধারা রাখালিয়া গান। বাউল গান ও ধামাইল গানের মতোই রাখালিয়া গানও প্রকৃতি, দেহতত্ত্ব, আধ্যাত্মিকতা, প্রেম- প্রভৃতি দর্শন নিয়ে এগিয়ে গেছে। এসব লোকজ গানে সাধারণ থেকে শুরু করে উচ্চাঙ্গ দর্শন থাকে; অবাক হতে হয়- একজন সরল-সাধারণ বাউল নিজের মননে এত কিছু ধারণ করতেন। তবে রাখালিয়া গানে দেখা যায় প্রেম ও ভক্তিকে ছাড়িয়ে গেছে প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা।
সিলেটের বিস্তীর্ণ গো-চরণ তৃণ এলাকায় ক্লান্ত রাখালদের মুখে মুখে এই গান ছড়িয়ে পড়ে বলেই হয়তো কালক্রমে তার নাম হয়েছে রাখালিয়া গান।
দুঃখজনক হলো কালের গহ্বরে রাখালিয়া গান আজ বিলুপ্ত প্রায়। অতীতের রাখালিয়া গানের সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত আজকের সঙ্গীত পিয়াসীরা।
অতীত বলে সৌন্দর্যকে ফেলে না দিয়ে নতুন করে গ্রহন করাটা মনে হয় জরুরী। দেশের অনেক আধুনিক সংগীত পরিচালকদের খ্যাতি যে অতীতের সৌন্দর্যের উপর ভর করেই, তা তো একটু নজর দিলেই সামনে আসে। তাই এখনো কোনো সঙ্গীত গবেষক যদি সচেষ্ট হন তাহলে যৎকিঞ্চিত হলেও রাখালিয়া গানের নির্যাস ধরে রাখার উদ্যোগ নিতে পারেন।
দেখা দেও মোরে
চউখে ফানি আয় তোরে ছাড়া
মন আমার খান্দে
বন্দু রে তোরে ছাড়া
দিন খাটে না রাইত খাটে না সকি দেকি যাও রে
কিলাখান মরি আমি বন্দুরে ছাড়া। ।
-সিলটী রাখালিয়া গান ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।