মহাকাশ, সেই মাহাকাশে অগন্য ছায়াপথ(গ্যালাস্কি), নীহারিকা অসংখ্য সূর্য,চাঁদ, গ্রহ এক কথায় এই মহাবিশ্ব- আজ পর্যন্ত যার শেষ পাওয়া যায়নি, এ সমস্ত কিছু আল্লাহ তৈরী কোরলেন শুধুমাত্র 'কুন' আদেশ দিয়ে। কিন্তু এর মধ্যে আল্লাহ ইচ্ছা কোরলেন যে, তিনি এমন একটি সৃষ্টি কোরবেন যার মধ্যে তার একটি নিজের গুন "স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি" থাকবে। যা আর কোন সৃষ্টির মধ্যেই এই গুনটি আল্লাহ দেননি। এমনকি মালায়েক বা ফেরেস্তাকেও না। তিনি দেখতে চাইলেন তাঁর নিজের এই গুনটি "স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি" নিয়ে সে কি কোরে।
আর এটাই পরীক্ষা। তাই সৃষ্টি কোরলেন আদমকে। যেহেতু তার ভেতর তিনি তাঁর নিজের 'আত্মা বা ইচ্ছাশাক্তি' প্রবেশ করাবেন, সেই সম্মানে আদমের দেহ তিনি 'কুন' আদেশ দিয়ে তৈরী না কোরে তৈরী কোরলেন নিজ হাতে (সা'দ-৭৫)। আদমকে আল্লাহ সৃষ্টি করার পরই কিন্তু ফেরেস্তাদের সেজদা করার আদেশ তিনি দেননি, যখন আল্লাহ তাঁর আত্মা থেকে রুহ ফুঁকে দিলেন (হেজর-২৯,সাজদা-৯,সা'দ-৭২) তার পরেই নির্দেশ দিলেন যে, আদমকে সেজদা কোর। এখানে সেজদা- আদমের সেবা করা, তাকে মেনে নেওয়া অর্থে ব্যবহৃত হোয়েছে।
স্বাধীন ইচ্ছাশক্তিসহ আল্লাহর রুহ যে তিনি মানবের দেহের ভেতর স্থাপন কোরলেন এটাই হোল মানুষের কাছে তাঁর আমানত, যে আমানত মানুষ ছাড়া আর কোন সৃষ্টি পায়নি। আল্লাহর রুহ মানুষের ভেতর চোলে আসার সঙ্গে সঙ্গে সে অন্যান্য সমস্ত সৃষ্টি থেকে বহু উর্ধ্বে উঠে গেলো। আর যার কারণেই মানুষ সৃষ্টির সেরা বা আশরাফুল মাখলুকাত। আল্লাহ বোললেন আমি পৃথিবীতে আমার খলিফা সৃষ্টি কোরতে চাই (বাকারা-৩০)।
মানুষ সৃষ্টি কোরে এই পৃথিবীতে তাকে তাঁর খলিফা বা প্রতিনিধি নিযুক্ত কোরে, মানুষের মধ্যে তাঁর নিজের আত্মা ফুঁকে দিয়ে (হেজর-২৯,সাজদা-৯,সা'দ-৭২), তাকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে (বাকারা-৩৬), মানুষের দেহের ভেতর এবলিশকে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে (বনী এসরাঈল-৬৪), বিভিন্ন নবী-রাসূল পাঠিয়ে মানুষকে হেদায়া বা সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার (বাকারা-৩৭) উদ্দেশ্য কি? ভেবে দেখেছি কি কোখনো? যারা আজ সমাজের বিবেক, ঞ্জানী ও নিজেদেরকে বুদ্ধীজিবী বোলে মোনে কোরে তারা কি কোখনো- এই বিষয়টি ভেবে দেখেছেন যে, এত সব আয়োজন আল্লাহ কেন কোরলেন আর এতসবের মধ্য দিয়ে আল্লাহ কিইবা পরীক্ষা কোরে দেখতে চান? আল্লাহ এটাই পরীক্ষা কোরে দেখতে চান যে, তারা স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি নিয়ে এই সৃষ্টি মানুষ কি- আল্লাহ সাবোভৌমত্বকে মেনে নিয়ে তাঁরই দেখানো জীবন-বিধান, আইন-কানুন দিয়ে নিজেকে, সমাজকে আর দেশ বা রাষ্ট্রকে পরিচালিত কোরে, নাকি নিজেরাই নিজেদের প্রভু হোয়ে জীবন-বিধান, আইন-কানুন তৈরী কোরে সেই অনুযায়ী পরিচালিত কোরে।
যা আজ সমস্ত পৃথিবীর দিকে তাকালেই বুঝা যায় যে, আজ পৃথিবীর কোথাও আল্লাহর আইন, জীবন-বিধান নেই। অর্থাৎ আল্লাহর সার্বোভৌমত্ব নেই। আল্লাহ সূরা মায়েদার-৪৪,৪৫,৪৭ নম্বর আয়াতে বোলেছেন- যারা আল্লাহর নাযিলকৃত আইন দিয়ে হুকুম কোরেনা অর্থাৎ- শাসন কার্য, বিচার-ফায়সালা পরিচালিত কোরেনা তারা কাফের (অবিশ্বাসী), তারা জালেম (সীমালঙ্গনকারী), তারা ফাসেক (সত্যত্যাগী)। এখানে আর কোন শর্ত আল্লাহ দেননি, অর্থাৎ তারা যতই নামায,রোজা,হজ্ব,যাকাহ সহ ভাল ভাল কাজ করুক না কেন তারা এর মধ্যেই পড়বে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।