আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানুষের মহাকাশ যাত্রা........................।

অনেক দিন ধরে মানুষের কাছে চাঁদ অপার রহস্যের আধার। চাঁদ নিয়ে মুখে মুখে তৈরি হয়েছে কত গল্প গাথা, চাঁদের পাহাড় চরকা বুড়ি, কতকি? বহু গবেষক আর জ্যোর্তিবিদদের কল্পনার খোরাক জুয়িয়েছে চাঁদ। টেলিস্কোপ আবিস্কৃত হওয়ার পর চাঁদেই মানুষ উকিঁ ঝুকি মেরেছে বেশি। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে মহাশূন্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে রাশিয়া আমেররিকার মাঝে রেষারেষির পর্যায়ে পৌঁছে। একজন মহাকাশে রকেট পাঠায় তো অন্য জন মানুষ পাঠাই ছবি তুলে আনার জন্য।

একবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি বলে বসলেন, শিগগিরই চাঁদে পা রাখবে আমেরিকানরা। ব্যস আর কোনো কথা নেই। রাষ্ট্র প্রধানের মুখ রক্ষার জন্যই হোক বা রাশিয়ানদের একহাত দেখিয়ে দেবার জন্যই হোক চাঁদে পা রাখার জন্য কর্মসূচীতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিজ্ঞানিরা। ১৯৬৮ সালে অ্যাপোলো-৮ এ করে তিনজন মার্কিন নভোচারী চাঁদের কক্ষ পথে ঢুকে কাছ থেকে চাঁদকে দেখার সুযোগ পেলেন। অ্যাপোলো মহাশূন্য কর্মসূচীতে মার্কিনদের খরচ পড়ে ছিল ২৫দশমিক ৪বিলিয়ন ডলার।

অর্থাৎ ১৫ হাজার প্রায় ১৫০ কোটি ডলারের সমান। ১৯৬৮ সালে অ্যাপোলো-৮ এ করে ৩ জন মার্কিন নভোচারী চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়ে চাঁদকে অতিকাছে থেকে দেখার সুযোগ পেলেন। তাঁর এক বছর পরই আর্মস্ট্রং বাহিনী চন্দ্রজয় করে যুক্তরাষ্ট্রকে পাকা পাকি করে ইতিহাসে ঠাঁই করে দিলেন। সেদিনটা ছিল ১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই মানব সভ্যতার ইতিহাসে চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখলেন। পৃথিবী থেকে চাঁদ পর্যন্ত ছিল প্রায় ২০০ ঘন্টার যাত্রা।

যাত্রার দিনে আর্মস্ট্রংদের বিদায় জানাতে কেনেডি স্পেস সেন্টারে ভিড় জমিয়েছিল শতশত মার্কিনি। নিল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স এবং এডউইন অলড্রিন চন্দ্র বিজয় করে আসা এই তিনজনই ছিলেন নাসার জেমিনি প্রকল্পের সদস্য। তিনজনেরই জন্ম ১৯০০সালে। সেখানকার আবহাওয়া এবং মধ্যাকর্ষণের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ব্যাপক প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলণ করতে হয়েছিল তাদের। তাদের মধ্যে মাইকেল চাঁদের মাটিতে পা রাখার সৌভাগ্য হয়নি।

তিনি চাঁদ থেকে ১১১ কিলোমিটার দূরে থেকে এটিকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন। তখনকার প্রযুক্তি আজকের দিনের মতো উন্নত ছিলনা। আবহাওয়া ও অনুুকুল ছিলনা। তবুও মানুষ চাঁদকে জয় করেছে। চাঁদের মাটি তারা পৃথিবীতে বয়ে এনেছে।

মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা কৌতুহল এভাবেই নিবৃত্ত করলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা। এরপর হতে মানুষ আর থেমে নেই গ্রহ হতে গ্রহান্তরে ছুটছে রকেট নিয়ে। ওই সব রকেটে মানুষ কুকুর পর্যন্ত দিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথ ঘোরানো হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রহে যাচ্ছে নতুন নতুন রকেট। মহাশূন্য অভিযান এখন মানুষের কাছে অতিসহজ হয়ে পড়েছে।

নতুন নতুন যন্ত্র আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানুষ নতুন নতুন গ্রহে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মহিলারাও পিছিয়ে নেই। কিছুদিন আগেও চীনের এক মহিলা মহাশূন্যযানে অংশ নিয়েছেন। বিজ্ঞানী এবং মহাশূন্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত যেসব গ্রহে পানি থাকার সম্ভাবনা আছে সেসব গ্রহে প্রাণি থাকাটা বিচিত্র নয়। যেমন মঙ্গল গ্রহে প্রাণির অস্তিত্ব আছে বলে বিজ্ঞানীরা একমত।

তাদের ধারণা পৃথিবীতে এলিয়েনদের দেখা যায় মাঝে মাঝে তারা মঙ্গল গ্রহ থেকে আসে। তাদের চোখ লম্বা ও বড়। তারা প্রকৃতিকে ভালবাসে। তাদের গায়ের রং লালচে। বিজ্ঞানীদের অভিমত যেহেতু মঙ্গল গ্রহ দেখতে লালচে এজন্য সেখানকার মানুষ ও দেখতে লালচে বর্ণের।

দিন দিন নতুন নতুন গ্রহ আবিষ্কারে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। একদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে তখন এখানকার মানুষ ভিন্নগ্রহে অবস্থান নিতে পারবে সেই উদ্দেশ্যেই তারা নতুন নতুন গ্রহ আবিষ্কারে ব্যস্ত। এছাড়া ওই। সব গ্রহে মহামূল্যবান পাথর রয়েছে যা পৃথিবীর মানুষের জন্য কল্যাণকর এবং জীবন দায়ী হতে পারে। Copy ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.