ঘুমিয়ে পড়ার আগে......
বরগুনা যাবার উদ্দেশ্য ছিল মাটির মানুষ গুলোর সাথে একটু কথা বার্তা বলা,তাদের সাথে দেখাশুনা করা,তাদের থেকে কিছু শিখা,যতটুকু সম্ভব তাদের সাহস দেওয়া। তাদের সাথে কথা হচ্ছিল--
আপনারা মনে কইরেন না এই যে ঘূর্ণিঝড় হলো,এই বিপদ শুধু আপনাদের ভুলোর কারণেই হয়েছে। "শরীরের সব রক্ততই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ফোঁড়া টা দেখা গেল শুধু একটা নির্দিষ্ট জায়গায়"। আমরা ও কম দোষী না এই বিপদের জন্য।
আমাদের ভুলের কারণে আপনাদের বিপদে পড়তে হয়েছে,তাই তো ছুটে আসা......
আর কি জানি বলি আমরা-‘মোকাবেলা’। কার সাথে মোকাবেলা করার চিন্তা করছি বা সাহস করছি?এ কি সম্ভব কখনো?আসলে তো আত্মসমর্পন করা লাগবে তার কাছে। না হয় যে আরো বড় ধরনের বিপদ হতে পারে।
বেঁচে থাকার জন্য কত চেষ্টাই না করে চলেছি। কখনো কখনো মানুষ হয়ে ও বেঁচে থাকার জন্য পশু হয়ে যাচ্ছি।
কত ভুলই না করে চলেছি। কিন্তু বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা কতটুকু?মাএ কয়েক ঘন্টার মাঝেই তো চোখের সামনে কয়েক হাজার হাজার মানুষ চিরতরে হারিয়ে গেল। সত্য হলো মৃত্যু। কতটুকুই বা প্রস্তুতি নিচ্ছি আমার মৃত্যুর জন্য অথবা আমার মৃত্যু টা যেন সুন্দর হয়ে যাই?
মানুষের কতটুকুই সাধ্য আছে বা তাকে কতটুকু যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে আরেক জন মানুষের অভাব পুরা করার?তারপরেও মানুষ হয়ে আরেক জন মানুষের মুখাপেক্ষী হয়ে পরছি। এভাবে তো কোনদিনই অভাব পুরা করা সম্ভব হবে না।
আর অভাবের ও শেষ হবে না। মানুষ কে তো শুধু চেষ্টা করার যোগ্যতা দেয়া হয়েছে। যে অভাব পুরা করতে পারে তার কাছেই তো চাইতে হবে। এত কিছুর পরেও ভুলে যাচ্ছি তাকে
[ছেলেটা কেন জানি তার মাকে "মা"বলো ডাকে না। মায়ের কি যে কষ্ট।
মা কত চেষ্টায় না করে ছেলেটা যেন তাকে মা বলে ডাকে। একদিন এলাকার ছেলেরা ঐ ছেলেকে খুব পেটাচ্ছে আর ছেলে চিৎকার করে-মা তোমার ছেলেরে মেরে ফেলল তো। ও মাগো বাঁচাও। ছেলের ডাক শুনে মা কি আর বসে থাকতে পারে। (মাঝে মা কে ডাকার জন্য ছেলের পিটা খাওয়া লাগল আরকি।
)]
কথার মাঝে মাঝে বড়ইতলি ইউনিয়ন আর পাথর ঘাটার কূপধন গ্রামের প্রায় তিনশ মানুষের সাথে হাতে হাত মিলানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।