......... এক নোংরা গল্প বলতে যাচ্ছি। যে কোন সময় থুতু চলে আসতে পারে, অধিক হৃদয়বান পাঠক যারা আছেন তাঁরা বমিও করে দিতে পারেন। আশেপাশে বাস্কেট অথবা বালতি রাখতে পারেন।
ক্লাস শুরুর দিন ‘বুয়েট পরিবার’ ব্যানারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য এক আহবান জানানো হয়েছিল। সে আহবানে বলা হয়েছিল...
‘বুয়েট পরিবার’ বলতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বুঝানো হয়েছিল।
আমরা জানি, মহামান্য আদালত বুয়েটের শিক্ষক-সমিতির আন্দোলনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। উপরোক্ত প্রচারপত্রে ৩টি পয়েন্টের কোনটিতেই কিন্তু মহামান্য আদালতের নির্দেশের সাথে সাংঘর্ষিক কোন কথা বলা হয়নি।
১ম পয়েন্টে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলা হয়েছে। এই নির্লজ্জ বেয়াহা ভিসি, প্রোভিসির অপসারণের দাবীতে ৯০% এর বেশি ছাত্র-ছাত্রী এখনও অটল আছে। এখানে কোন মিথ্যা নেই, নেই কোন উত্তেজিত করে ছাত্র-ছাত্রীদের হিংস্র করার বাসনা।
শুধু আছে দৃঢ় সংকল্পের কথা, যা বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী মনে প্রাণে বিশ্বাস করে।
২য় পয়েন্টে শিক্ষকগণের পূর্ণ কর্মবিরতির কথা বলা হয়েছে। শিক্ষকগণ ক্লাস নিবেন কি নিবেন না এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাঁরা ক্লাসে না গেলে কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই পারে, কিন্তু সেই ব্যবস্থা নেয়ার মত সাহস আসলে কর্তৃপক্ষের নেই। কারণ ৩৬৭ জন শিক্ষক যেখানে এক নীতিতে আছেন সেই নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার মত মানসিক দৃঢ়তা দুর্নীতিবাজ ভিসি, প্রোভিসির নেই।
৩য় পয়েন্ট ২য় পয়েন্টের অনুরূপ।
এবার বলি এই প্রচারপত্রের ফলাফল...
এই প্রচারপত্র দেয়ার সাথে সাথেই ভিসি, প্রোভিসির পুতুল প্রশাসন বুয়েটের ২ জন স্বনামধন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে জিডি করে ফেলে। ভীতু ভিসি প্রোভিসির পুতুল প্রশাসন কতটা নিকৃষ্ট হলে এ ধরণের হীন কাজ করতে পারে তা যেকোন বিবেকবান মানুষ সহজেই অনুধাবন করতে পারেন।
জিডিতে অধ্যাপক এহসান এর নাম আছে। অধ্যাপক এহসান ছাত্র শিক্ষক সকলের মাঝে বেশ জনপ্রিয়।
তিনি যন্ত্রকৌশল
বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। যন্ত্রকৌশল সংসদের সভাপতি। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সর্বাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত
হয়েছেন। আপাদমস্তক সংস্কৃতমনা - ভাল গান করেন। কোন কোন পত্রিকায় লিখা হয়েছে লিফলেট বিলি করার সময়
দারোয়ানরা নাকি তাকে চিনে ফেলেছে, তার নামে জি. ডি. করা হয়েছে।
ভাল কথা, দারোয়ানরা তাকে চিনবে না কেন? অধ্যাপক এহসানের মত জনপ্রিয় একজন শিক্ষককে না চিনলে ঐ দারোয়ান চিনবে কাকে?
এবার আসি তার পরের কথায়...
আজ সকালে সেই একই লিফলেটের সাথে অত্যন্ত উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকার পতনের ডাক প্রদান ও হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষাসহ আরো কিছু উস্কানিমূলক বক্তব্য যোগ করে 'বুয়েট পরিবার'-এর নামে ক্যাম্পাসে বিতরণ করা হয়, যার সাথে বুয়েট পরিবার কোনভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়।
এ যেনো বাংলা সিনেমাকে হার মানায়। নিজেরাই সরকার বিরোধী কথা লিখছে, নিজেরাই আদালত অবমাননা করছে, আর নাম দিয়ে দিচ্ছে বুয়েট পরিবারের। এরকম হীন, ন্যাক্কারজনক কাজ শুধু ভিসি, প্রো-ভিসির পক্ষেই সম্ভব।
সারা দেশের সকল ছাত্র-ছাত্রীসহ, দেশবাসী সবাইকে বুয়েট ভিসি, প্রোভিসির এই হীন, ন্যাক্কারজনক আচরণ সম্পর্কে সচেতন থাকার আহবান জানাচ্ছি...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।