ইদানিং খুব বেশি বেশি মনে হচ্ছে হিরো হব; বরং হয়েই যাই। শেষ দৃশ্যে যদি মরণও হয়, অন্তত মনে এই শান্তি নিয়ে মরব- হা আমি কিছু করতে চেষ্টা করেছি...।
মেইনস্ট্রিম ফিল্মের হিরো কোন কিছু তোয়াক্কা না করে সমাজের যা কিছুকে অন্যায় মনে করে তা নিজ দায়িত্বে ধবংশ করে। পুলিশ যতই বলুক না কেন “আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না” –হিরো জানে তাকে কি করতে হবে!
আমাদের দেশের সবখানে অন্যায়-অপরাধ-অনিয়ম-দূর্নীতি-তে আকন্ঠ ডুবে আছে; কোথাও সুব্যবস্থা নেই। মনে হয় আমরা অভিভাবকহীন এক দেশে বাস করি যেখানে জনগণের ভাল-মন্দ দেখার দ্বায়টা কারো নেই।
যেন জনগনের আর সরকারের মধ্যে কোন সম্পর্কই নেই।
অন্যায় বাড়তে বাড়তে পাপে পূর্ণ হচ্ছে। অপরাধী তার অপরাধের মালা গাঁথছে, আমরা কষ্টে শ্বাস নিতে পারছিনা আর প্রশাসন কিছুই করছেনা। যেনো আফিম খেয়ে ঝিমুতে বেতন পায়। মন চায় সামনে যত শয়তানের দেখা পাই, সব গুলোকে খুন করি; দেশ পরিষ্কার করি।
আর মা-বাবা-ভাই-বোন-বন্ধু-সবাই কে তাদের পাওনা নিরাপদ একটা জীবন দিই। কি হলো তাতে সাথে যদি আমি নাই থাকি!
কবি সুকান্ত -এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করার কথা ভেবেছিলেন। আমারও যে কোন কিছুর বিনিময়ে দেশটাকে মানুষের শান্তির আবাসস্থল বানাতে মন চায়।
আপনাদের অনুমতি পেলে হিরো হয়ে যাই। মেরে ফেলি সব ভিলেন-
যারা মেয়েদের শরীরে এসিড ছুড়ছে, যারা মেয়েদের ধর্ষন করছে, যারা ভূমি দখল করে মানুষকে সর্বহারা করছে, যারা খাবারে বিষ মেশাচ্ছে, যারা লেখাপড়া নিয়ে ব্যবসা করছে, যারা মানুষ গুম করছে, যারা আইন-বিচার নিয়ে তামাশা করছে, যারা কেবল টাকা দেখছে মানুষকে বাদ দিয়ে – এই সব, সব শয়তান কে খুব করি, অনুমতি দিন।
আইন হাতে তুলে নিই- সব শয়তান কে খুব করে দেশকে অন্যায়ে ভরপূর থেকে মুক্ত করি। গড়ি একটা স্বাভাবিক সাধারন দেশ।
অনুমতি দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।