আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলার্ম ঘড়ি

আমি যা বিশ্বাস করি না... তা বলতেও পারি না! সফিক এহসান (২৬ অক্টোবর ২০০৭ইং) এক. অত্যন্ত চিন্তিত মুখে চেয়ারে বসে আছেন ড. আনিসুজ্জামান। ধীরে ধীরে চিন্তাটা বিরক্তিতে পরিণত হচ্ছে। টেবিলের ওপর থেকে টেলিফোনটা তুলে নিয়ে আরেকবার ডায়াল করলেন। সেই একই কথা। যথাসম্ভব কোমল গলায় একটা মহিলা কণ্ঠ: দুঃখিত, এই মুহূর্তে.....।

চরম বিরক্তিতে রিসিভারটা খট করে রেখে দিলেন আনিস। গলা উচু করে ডাকলেন: চুন্নু মিয়া! এই চুন্নু মিয়া! কোন সাড়া পাওয়া গেল না। এই লোকগুলোকে কাজের সময় কখনই কাছে পাওয়া যায় না। সব কাজেই এদের মধ্যে একটা ঢিলা ঢিলা ভাব। আধ ঘণ্টা আগে চুন্নু মিয়াকে চা আনতে বলা হয়েছিল।

এখনও পর্যন্ত কোন খবর নেই। গিয়ে হয়তো দেখা যাবে চায়ের দোকানে বসে মনের সুখে বিড়ি টানছে। কিংবা কে জানে, হয়তো টুলে বসে ঘুমুচ্ছে। এই লোকটা ইচ্ছে করলেই ঘুমিয়ে পড়তে পারে, কোন সময় অসময় লাগে না। আর একবার ঘুমুলে সহজে ঘুম ভাঙেও না।

আনিস ড্রয়ার থেকে বেনসনের একটা পেকেট বের করলেন। এই জিনিস সে সাম্প্রতি খাওয়া শুরু করেছে। সিগারেটের নিকোটিন মাথায় গেলে নাকি মাথা পরিষ্কার হয়। সুক্ষ্মভাবে চিন্তা করা যায়। যতসব ফালতু কথা; তিনি যতবার সিগারেট খান ততবারই তার মাথা ঘোরাতে থাকে, কাশতে কাশতে চোখ দিয়ে পানি এসে যায়।

শেষবার যখন খেয়েছিলেন প্রচন্ড মাথা ব্যথায় দুইটা প্যারাসিটামল খেয়ে সারা রাত শুয়ে থাকতে হয়েছিল। তবুও আজ একটা সিগারেট ধরালেন। সাধনা না করলে নাকি অসাধ্যও সাধন করা যায়, আর এ তো সামান্য সিগারেট! প্রথম টান দিতেই মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো। নির্দ্বিধায় সদ্ব্য ধরানো সিগারেটটা সহ ড্রয়ারে রাখা নতুন প্যাকেটটা ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিয়ে ড. আনিসুজ্জামান প্রতিজ্ঞা করে ফেললেন- “ জীবনে আর কোন দিন সিগারেট খাব না। খাব না।

খাব না। খাব না। ” দুই. গাড়ি থেকে খুব দ্রুত নামলেন আহমেদ সেলিম। দাড়োয়ানকে গাড়ির চাবিটা ধরিয়ে দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলেন। দরজার সামনে টুলে বসে চুন্নু মিয়া মেসের কাঠি দিয়ে কান খোচাচ্ছিল।

সেলিমকে দেখে সে তার পান খাওয়া লাল দাঁতগুলো বের করে বলল: ছার, ভাল আছেন? সেলিম তার জবাব না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলেন: তোমার স্যার এখন কেমন আছে? চুন্নু মিয়া রহস্যময় ভঙ্গিতে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল: ভেতরে গিয়া নিজের চোখেই দেখেন! ভেতরে ঢুকতেই আনিস দরাজ গলায় ডাকলো: আসুন, আসুন ডাক্তার সাহেব। অনুগ্রহ করে আসন গ্রহণ করুন। সেলিম বিরক্ত ভঙ্গিতে বসতে বসতে বলল: এই নাটকের কী দরকার ছিলো? সোজাসুজি আসতে বললে কি আমি আসতাম না? আর তোর চুন্নু মিয়াটা তো দারুণ অভিনয় জানে! আমাকে এমন ভাবে বলল যে, আমি ভাবলাম তুই সত্যি সত্যি স্ট্রোক করেছিস। আমাকে গিয়ে ডেড সার্টিফিকেটই দিতে হবে বুঝি। আনিস ড্রয়ার থেকে একটা পেপার কাটিং বের করতে করতে বলল: আমি নিজে কমপক্ষে পঞ্চাশবার ফোন করেছি।

কিন্তু তোর গার্ল ফ্রেন্ড বার বার ফোন ধরে বলে- দুঃখিত, এই মুহূর্তে ডা. আহমেদ সেলিম টয়লেটে আছেন, অনুগ্রহ পূর্বক.... সেলিম তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল: জরুরি একটা অপারেশন ছিল, মোবাইল অফ করে রেখেছিলাম। কিন্তু তুই যে কাজটা করেছিস তাতে ভবিষ্যতে সেই রাখালের গল্পের মত হতে পারে। আনিস হাত তুলে বলল: আমাকে বাল্য শিক্ষা দিতে হবে না, আপাতত এই কাটিংটা পড়। চুন্নু মিয়াকে বলা আছে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে কফি দিয়ে যাবে। সেলিম হাত বাড়িয়ে পেপারটা নিলো।

তিন-চার দিন আগের একটা নিউজ। স্বপ্ন ও ঘুম বিষয়ক একটা জার্নাল। বেশ কয়েক জায়গায় মার্কার দিয়ে দাগানো। সেলিম অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পুরোটা পড়লো। শেষ হওয়ার পর কাটিংটা রেখে কফির মগে চুমুক দিতে দিতে বলল: পড়লাম।

আনিস ভ্রু নাচিয়ে বলল: কী বুঝলি? সেলিম তাচ্ছিল্যের সাথে বলল: নতুন কিছু না। মানুষের ঘুমের যে কয়েকটি স্তর আছে, তাই নিয়ে আলোচনা করেছে। বিছানায় শোয়ার পর প্রথমে একটু তন্দ্রা মত আসে। এসময় মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক সিগনালের কম্পন সেকেন্ডে আট থেকে বার, যাকে বলে আলফা ওয়েভ। কয়েক মিনিটের মধ্যে সিগনালটা চার থেকে আটে নেমে আসে যাকে বলে থিটা ওয়েভ।

এখান থেকেই মূলতঃ ঘুমের প্রথম স্তর শুরু হয়। এর পরে ঘুম আরও গভীর হলে ধীরে ধীরে ব্রেনের সিগনাল ডেলটা ওয়েভ-এ পরিনত হয় যাকে ঘুমের চুড়ান্ত গভীর স্তর বলা যায়। এই অবস্থায় ত্রিশ-চল্লিশ মিনিট থাকার পর ঘুম আবার আস্তে আস্তে হালকা হয়ে ডেলটা থেকে থিটা, থিটা থেকে প্রাথমিক স্তরে পৌছে। তারপর শুরু হয় REM (Rapid Eye Movement -দ্রুত চোখ সঞ্চালন) প্রিয়ড, যখন মানুষ স্বপ্নে দেখে। এই স্তরে এক থেকে দশ মিনিট থাকার পর আবার ঘুম গভীর হতে শুরু করে।

অর্থাৎ, আবার প্রথমে থিটা ও পরে ডেলটা ওয়েভ। এভাবে প্রায় প্রতি দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় পুরো একটা ‘ঘুম চক্র’ সম্পন্ন হয়। এই তো! সেলিম থামতেই আনিস তুড়ি দিয়ে বলল: দ্যাটস্ গুড। এর মানে হচ্ছে- একজন লোক যদি আট ঘণ্টা ঘুমায় তবে ৪ থেকে ৫ বার তার ঘুম গভীর এবং হালকা হয়? : হ্যাঁ! : এখন কথা হলো সকাল বেলা যদি ঘুমের হালকা স্তরে কাউকে ডেকে তোলা হয় তাহলে সে বেশ সতেজ ভাবে উঠে বসবে এবং শরীরটা ঝরঝরে লাগবে। কিন্তু কাউকে যদি ঘুমের গভীর স্তরে বা ডেলটা ওয়েভে ঘুম থেকে ডেকে তোলা হয় তা হলে চারপাশে কী হচ্ছে তা সে বুঝতে পারে না।

অনেকটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে তার ঘুম ভাঙে এবং সব কিছু বুঝে উঠতে তার কিছুক্ষণ সময় লাগে। তাছাড়া হঠাৎ করে ঘুম ভাঙায় সে কিছুটা আলস্য এবং ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করবে। ঠিক কিনা বল? সেলিম কফিতে শেষ চুমুক দিয়ে বলল: হ্যাঁ, তা ঠিক। আনিস এবার একটু এগিয়ে এসে বলল: তুই তো একজন নিউরোলোজিষ্ট। তুই কি ব্রেনের এই ইলেক্ট্রিক সিগনালগুলো কোন ভাবে মাথার বাইরে এনে দিতে পারবি? টেকনিক্যাল সাপোর্ট যা লাগে সব আমি দেব।

সেলিম ভ্রু কুচকে বলল: তা না হয় দিলাম। কিন্তু ব্রেনের সিগনাল দিয়ে তুই কী করবি? আনিস চেয়ারে হেলান দিয়ে নির্বিকার ভাবে বলল: একটা এলার্ম ঘড়ি বানাবো। তিন. আনিস প্রচন্ড উত্তেজনা অনুভব করছে। আজ তার নিজের আবিষ্কৃত ‘স্লীপ কন্ট্রোলার’ প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছুটা উত্তেজনা সেলিমও অনুভব করছে।

তার এই আধ পাগল বিজ্ঞানী বন্ধুটির কথা শুনে সে প্রথমে ভীষণ অবাক হয়েছিল। আনিস তাকে বুঝিয়ে বলেছিল- ‘শারীরিক ও মানুষিক সুস্থতার তাগিদেই মানুষকে রাতে খুব ফ্রেস একটা ঘুম দিয়ে সকালে ঝরঝরে মেজাজ নিয়ে জেগে ওঠা দরকার। তাছাড়া অনেক সময় হয়তো সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছিলাম, হঠাৎ এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। মেজাজটাই তখন খারাপ হয়ে যায়। সেজন্য যদি ব্রেনের সিগনালটা কাজে লাগিয়ে এমন একটা এলার্ম ঘড়ি বানানো যায় যা পূর্ব নির্ধারিত একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এমন একটা সময় কোন মানুষকে জাগিয়ে তুলবে যখন সে কোন স্বপ্ন দেখছিলো না বা গভীর ভাবে ঘুমুচ্ছিল না।

তা হলে নিঃসন্দেহে একটা চমৎকার জিনিস হবে। দেখা যায় মানুষ গভীরভাবে ঘুমায় ডেলটা ওয়েভে যার স্থায়িত্ব ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। এবং স্বপ্ন দেখে REM প্রি্য়ড যার স্থায়িত্বকাল ১ থেকে ১০ মিনিট। তাহলে গড়ে এই ৪০ থেকে ৫০ মিনিট সময় এড়িয়ে যদি এলার্ম ঘড়িটা বেজে ওঠে তা হলে একটা ফ্রেস ঘুম হওয়া সম্ভব। ধরা যাক, একজন মানুষকে সকাল ৬ টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠতেই হবে।

তাহলে এলার্ম দিতে হবে ৫:০০ থেকে ৬:০০ টা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে যখনই ঘুম একটু পাতলা হয়ে ব্রেনের সিগনাল আলফা বা থিটা হবে তখনই এলার্ম বেজে উঠবে। শুনে সেলিমের কাছে বেশ ইন্টারেষ্টিং মনে হয়েছিল। যন্ত্রটার প্রয়োজনীয়তা খুব একটা আবশ্যক না হলেও অভিনব তো বটেই। বাংলাদেশের মত একটা দরিদ্র-নিরক্ষর দেশ থেকে এই রকম একটা আবিষ্কার নিঃসন্দেহে সারা পৃথিবীতে আলড়ন তুলবে।

সেলিম এর মধ্যে আরও কিছু জিনিস সংযোজনের আইডিয়া দেয়। যেমন: স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারটা। অনুভূতিগুলো যেহেতু ব্রেনের ‘লিম্বিক’ অংশে উৎপন্ন হয় তাই যন্ত্রটার একটা অংশ এর সাথে সংযুক্ত থাকবে। যদি প্রচন্ড ভয়ের বা দুঃখের কোন স্বপ্ন দেখে স্নায়ুর ওপড় খুব বেশি চাপ পড়ে তাহলে এই যন্ত্রটা থেকে অতিরিক্ত কিছু সিগনাল পাঠিয়ে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেবে এবং ডেলটা ওয়েভ বাড়িয়ে গভীর ভাবে ঘুমাতে সাহায্য করবে। আরও একটা আইডিয়া অবশ্য আনিসের মাথা থেকে বের হয়।

তা হচ্ছে ঘড়িটা আর দশটা ঘড়ির মত না করে খুব ছোট করে তৈরী করা হবে যা এর অন্যান্য ডিভাইসসহ মাত্র এক ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট একটা পাতলা রাবারের চিপের মধ্যে সন্নিবেশিত থাকবে। ঘুমানোর আগে এটা কপালের ওপর সামান্য চাপ দিলেই লেগে থাকবে। এবং এলার্মটা শুধু মাত্র সেই ব্যক্তি একাই শুনতে পাবে। তারপর থেকে শুরু হয়েছে দুই বন্ধুর অক্লান্ত পরিশ্রম। নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে আনিস লেগে গেল ছোট একটা বিশেষ ধরনের এলার্ম ঘড়ি তৈরী করতে যা সরাসরি ব্রেনের মধ্যে সিগনাল পাঠিয়ে ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেবে।

প্রায় তিন মাস পরিশ্রমের পর এরকম একটা ডিভাইস তৈরী করা গেল। ডিভাইসটির একটা সুবিধা হচ্ছে এটা পাওয়ার নিবে শরীরের তাপমাত্রা এবং রক্তচাপ থেকে। কিন্তু এর মধ্যে ‘ড্রীম কন্টোলার’ অংশটা সংযোজন করা ছিলো সবচেয়ে কষ্টকর ব্যাপার। অনুভূতি জিনিষটা যে কত জটিল তা হাড়ে হাড়ে টের পেল দু’জনেই। অবশেষে ১৬৩ দিন কঠিন অধ্যাবসায়ের পর আজ সকালে সম্পূর্ণরুপে তৈরী হয়েছে তাদের বহু কাঙ্খিত সেই যন্ত্রটি।

আনিস যার নাম দিয়েছে “স্লীপ কন্ট্রোলার”। এখন এই যন্ত্রটা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করতে হবে একজন মানুষের ওপর। হাতের কাছে একজন ঘুম প্রিয় মানুষ হিসেবে আনিস এবং সেলিম উভয়েরই পছন্দ হলো চুন্নু মিয়াকে। তবে প্রস্তাবটা চুন্নুকে সরাসরি দেয়া যাবে না। অশিক্ষিত মানুষ; না বুঝে ভয়ে রাজি নাও হতে পারে।

চার. ব্যাপারটা এতো সহজ হবে তা স্বপ্নেও ভাবেনি ওরা। চুন্নু মিয়াকে বলার সাথে সাথে সে রাজি হয়ে গেল। ঘর ভর্তি নানা রকম যন্ত্রপাতির পাশে ছোট একটা খাটে শুয়ে পড়ার আগে চুন্নুকে ঘুমের ঔষধ মেশানো একগ্লাস সরবত খাওয়ানো হলো। যদিও তার প্রয়োজন ছিল না, কারণ চুন্নু মিয়ার ঘুম এমনিতেই বেশ গাঢ়। বিছানায় শোয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তার নিঃশ্বাস ভারি হয়ে এলো।

আনিস খুব সাবধানে এক ইঞ্চি ব্যাস বিশিষ্ট রাবারের চ্যাপ্টা ও পাতলা যন্ত্রটা ওর কপালে লাগিয়ে দিলো। পর্যবেক্ষণের জন্য এর থেকে কিছু তার নিয়ে একটা ডিসপ্লেতে সংযুক্ত করা হলো। এলার্ম ঘড়িটায় এলার্ম প্রিয়ড সেট করা হলো বিকাল ৫:৩০ থেকে ৬:৩০। অর্থাৎ, এর মধ্যে চুন্নু মিয়া প্রায় ৬/৭ ঘণ্টা ঘুমুবে। ডিসপ্লেতে মোটামুটি স্পষ্ট আলফা ওয়েভ দেখা যাচ্ছে।

সেলিম এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ডিসপ্লের ওপর। আনিস উত্তেজনায় বসতে পারছে না। সে একটু পর পর হাত ঘড়িতে সময় দেখছে। *** *** *** বিকেল ছয়টা। সেলিম গত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একবারও ডিসপ্লে থেকে চোখ সরায়নি।

কিছুক্ষণ আগেই ডেলটা ওয়েভ শেষ হয়ে REM প্রিয়ড শুরু হয়েছে। প্রথম দিকে চুন্নুর চোখ পিটপিট করলেও এখন তা স্বাভাবিক। যদিও ডিসপ্লেতে এখনও REM প্রিয়ড দেখা যাচ্ছে তবুও যে কোন মুহূর্তে শুরু হয়ে যেতে পারে থিটা ওয়েভ। সেই সাথে চুন্নু মিয়া কানে শুনতে পাবে একটা নিরব এলার্ম। দুই বাংলাদেশী বিজ্ঞানী অধির হয়ে বসে আছে সেই মুহূর্তটির জন্য।

---------- ০ ---------- ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।