(আজ থেকে ১৭ বছর পূর্বে ১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরে বিপথগামী কিছু পুলিশের হাতে তরুণী ইয়াসমিন পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে দিনাজপুরের মানুষ। পুলিশ জনতার উপর গুলি চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করে। আহত হন আরো প্রায় শতাধিক প্রতিবাদী জনতা। এই পৈশাচিক ঘটনায় বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
এর পর থেকেই ২৪ আগষ্ট দেশব্যাপী নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। )
কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে
(নিহত ইয়াসমিন ও তাঁর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নিহতদের স্মরণে)
গোলাম কিবরিয়া পিনু
কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে
ভরসা করা ফরসা আকাশ কই?
রক্ষকেরা ভক্ষক হয়ে ব্যাঘ্র সাজে
রাতের বেলায়--
মাংস ভক্ষণ
ষড়-রিপুর দাপাদাপি।
নির্লজ্জতা উথলে পড়ে
বেহাল্লপনা লাগাম ছাড়া
অসূয়া নিয়ে লোমশ হাত।
বিনীতচিত্ত রক্তপিচাশের গন্ধ পায়
আকুতি-কাকুতি কাতরকণ্ঠ
ডুকরে কেঁদেও পার পায় না
অশ্রুজলে অশ্রুলোচন।
গাছে তুলে মইকাড়া
মিরজাফরের রক্ত নিযে চোখ টাটানো
নেই-আঁকড়া নাছোরবান্দা
ছিনে-জোঁকের দাঁতখিঁচুনি
খিঁচিয়ে ওঠে।
লজ্জাশীলা আর বাঁচেনা
ঘরের ফেরার আঁশ বাঁচেনা
বিশ্বাসের ম্বাস বাঁচেনা।
চোরা-শিকার খুনখারাবি
পথের মধ্যে প্রাণপতন
তারপরও কুনজরে টানা-হেঁচড়া
কাঁচের চুড়ি স্যান্ডেল রুমাল
হাত পাখাটি পড়ে থাকে।
ধাপ্পাবাজ
ধড়িবাজ
বানানো
সাজানো
কপটহাস্য
তৈরৗ ভাষ্য।
মাটির মানুষ
জ্বলে উঠলো
মৃত্যু না মানা এক মৃত্যুতে আরো জীবন
মেলকন্ধনে সংহতি
হরণকারীর হাতে থাকে চারণভূমি
কে কাকে পৌঁছে দেবে দিনাজপুরে?
রচনাকাল ১৮ ভাদ্র ১৪০২
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।