শীর্ষ সন্ত্রাসী , সন্ত্রাসী , চোর , ছ্যাঁচড় , পকেটমার, জুতা চোর প্রভৃতি প্রায় সকলেই একই গোত্রভুক্ত তা হল চুনো পুটী বা ছিঁচকে সন্ত্রাসী । এদের সায়েস্তার জন্য র্যাব , পুলিশ , ডিবি এবং আরও নাম না জানা বিভিন্ন ধরন ও রঙ্গের সরকারী গেন্দা বাহিনী রয়েছে ।
যখন উক্ত গোত্রের একটু উচ্চ মানের সন্ত্রাসী ধরে চিপায় নিয়ে মাইনাস (ক্রস) করে দেয় অথবা জীবিত ধরে মিডিয়ার সামনে বহু বীরত্বের সাথে তাদের চ্যাংদোলা করে তুলে ধরে । মনে হয় আসলেই সন্ত্রাস নির্মূল হচ্ছে । আসলে হচ্ছে নীচের লোম ।
উপরের যে সন্ত্রাসীদের কথা বললাম তাদের বিষয়ে সরকার সবধরনের তথ্য রাখে । এগুলি নির্মূল করতে পুলিশের ২৪ ঘণ্টা সময় দিলে যথেষ্ট । নানা কারনে নানা চাপে পুলিশ তা করতে পারেনা ।
সন্ত্রাস কি ? সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কি ? সন্ত্রাসী আসলে কারা ? সন্ত্রাসের জন্ম কোথায় ?
সন্ত্রাসের জন্ম হচ্ছে বেকারত্বে । সারা পৃথিবীতে সর্বত্র সবচেয়ে প্রধান ও বড় সন্ত্রাসী হচ্ছে ব্যবসায়ীরা ।
এদের পরের অবস্থানেই রয়েছে সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা । এই গোত্র গুলো নানা ভাবে নানা সময়ে তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অপ তৎপরতা চালায় । তাদের এই অপ তৎপরতার বর্জ্য হচ্ছে সন্ত্রাস , দুর্নীতি এবং আরও নানা অসামাজিক কর্মকাণ্ড ।
সত্যিকারের সন্ত্রাসীর তালিকায় ওরা ( প্রথমে উল্লেখিত) বড় দুর্বল অবস্থানে । প্রায় বাংলাদেশ ফিফা রাঙ্কিং এ যে অবস্থানে প্রায় সেরকম ।
এইসব সন্ত্রাসীদের মূল আয়ের উৎস চাঁদা । একটা সন্ত্রাসী কখনোই একেবারে দীনহীন লোকের কাছে চাঁদা দাবী করেনা । করে অবস্থাপন্য বা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে উচ্চবিত্তের কাছে । আরেকটি উৎস মাদক ব্যবসা যা উচ্চবিত্তের একটা আনন্দ মাধ্যম । অর্থাৎ এদের কর্মকাণ্ড একটা শ্রেণীকে কেন্দ্র করে এর তা হল "উচ্চবিত্ত" ।
ব্যবসায়ী - খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ব্যাবসায়ীরা কি করছে ? মাল গুদামজাত করা , ভেজাল পন্য বিক্রয় , সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধি ইত্যাদি অতি মুনাফা লোভী কর্মকাণ্ড তারা করছে । যা আজ যে শিশুটি পৃথিবীতে এলো থেকে মৃত একটি মানুষ পর্যন্ত এবং সমাজের সবচেয়ে দীনহীন মানুষটা থেকে বিত্তের চূড়ায় থাকা মানুষ পর্যন্ত এদের কর্মকাণ্ডের ভুক্তভোগী । এদের এই হীন অপকর্ম থেকে একটি মানুষ রেহাই পায়না ।
সরকারী ও বেসরকারি কর্মকর্তা -
সরকারী কর্মকর্তা - পুলিশ , সচিবালয়ের ও বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্তারা । আমি এদের বিষয়ে বলার প্রয়োজন বোধ করছিনা কারণ জনতা ওয়াকিবহাল যে ওদের লালা নিঃসৃত জিহ্বা সর্বদা আধ হাত বের হয়ে থাকে ।
চিকিৎসা - সরকারী হাসপাতালের অবস্থা যতনা করুণ তার চেয়ে করুণ এখানের ডাক্তারদের । এরা বিভিন্ন চেম্বার ও প্রাইভেট ক্লিনিকে সেবা দিতে দিতে এমন চিত হয় যা থেকে সোজা হয়ে হাসপাতালের গরীব মানুষগুলারে দেখার সময় নেই । নার্স আর বয়রা তো নিশ্চিত যে তাদের কাঁধে আল্লাহ ফেরেস্তা দেয় নাই । উপর থেকে নিচ সব শালা হারাম খায় অর্থাৎ ওরা হারামী । আর বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান এবং পাগলা কুত্তা এর মধ্যে তেমন কোন তফাৎ আমি পাইনা ।
শিক্ষা- আহা ! জাতির মেরুদণ্ড । আর শিক্ষার হ্যাজাক বাতি নিয়া দৌড়া দৌড়ি করা মানুষদের বলা হয় শিক্ষক । যাহারা কোনরকমে বিখ্যাত বা অখ্যাত , সরকারী বা বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পাওয়া মাত্রই , বিদ্যার হ্যাজাক বাতিটা নিয়া কোচিং বা নিজ গৃহে আলো বিতরনের মহান দায়িত্বটি অতি উচ্চ
দক্ষিনার বিনিময়ে অতি মনোযোগ সহকারে পালন করেন । ফলে যে আলয়ে ওনার বিদ্যার আলো বিতরনের দায়িত্ব সেখানের আলো প্রার্থীরা হন বঞ্চিত ।
খাদ্য - কৃষক ছাড়া বাকী যারা এই ব্যাবসার সাথে জড়িত ওরা সবাই জাহান্নামী আর দুনিয়ায় হারামি।
বাসস্থান - এই ব্যাবসায়িদের মূলনীতি দুর্নীতি । ব্যাবসার মূল কথা - পাবলিক চিপায় ফালাও মাল কামাও ।
মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু ক্ষেত্রের কথা তুলে ধরলাম । ঠিক এভাবে ব্যবসায়ী , ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার , অফিসার , সরকারী , বেসরকারি , উকিল , মুখোসধারি সুশীল , দালাল বুদ্ধিজীবী সব কালোটাকা সন্ত্রাসে লিপ্ত ।
এবার আসি চাঁদাবাজদের কথায় ।
চাকরি নাই , ব্যবসা নাই বেকারত্তের ভারে অসহায় হয়ে একটা তরুন বা যুবক অস্ত্র হাতে নেয় । যখন সে স্বাভাবিকভাবে তার জীবন চালাতে পারেনা ।
কিন্তু এই ব্যাবসায়ীরা আর সরকারী বেসরকারি কর্তারা দুর্নীতিগুলো করার জন্য কে বাধ্য করে ? তারা তাদের বিবেক বিসর্জন দিয়ে এই কাজগুলো করে । যার ভুক্তভোগী সমাজের সদ্যজাত শিশু থেকে মৃত মানুষটি পর্যন্ত । ওরা কাউকে রেহাই দেয়না ।
চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজির নির্দিষ্ট ক্ষেত্র রয়েছে । কিন্তু এই দুর্নীতিবাজ কুত্তাগুলার কোন ক্ষেত্র নাই ওরা সবাইকে কামড়ায় ।
সন্ত্রাস নির্মূলের নামে চোর ছ্যাঁচোড়ের পিছনে দৌড়ানের আই-ওয়াস বাদ দেও । এই কাম পুলিশের বা হাতের খেলা । শুধু পুলিশের হাতকরা খুইলা দেও , দেখো কি ভেল্কি দেখায় ।
সত্যিকার পদক্ষেপ নিতে হবে ।
শুধু যদি খাদ্য ও ট্যাক্স এই দুটির সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বন্ধ করে এদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় তাহলে সমাজ ও দেশের অর্থনীতির ৫০ ভাগ সমস্যা দূর হয়ে যাবে । যে পরিমাণ বাহিনী সরকার তথাকথিত সন্ত্রাসের পেছনে লাগিয়ে রেখেছে । তা যদি এই দুই ক্ষেত্রে দেয়া হয় সমাজ ও দেশের অর্থনীতির চেহারা বদলে দেয়া সম্ভব ।
খাদ্য - শুধু মাত্র মধ্য সত্ত্বভোগীদের হটালে এই ক্ষেত্রে আর কোন সমস্যা থাকেনা ।
এরপর নজর দিতে হবে , মাল গুদামজাতকরন , ভেজাল রোধ । খাদ্য সন্ত্রাস ৯০ভাগ বন্ধ করা সম্ভব ।
ট্যাক্স - নাগরিকের ট্যাক্স প্রদানে উৎসাহ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে এর দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব ।
প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে এই দুই ক্ষেত্রে স্বয়ং তত্তাবধান করে এবং সরকার যদি ঘোষণা করে যে কোন মূল্যে এই সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বন্ধ হবে । দেখেন তারপরের তেলেসমাতি ।
অনতিবিলম্বে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী করে তাতে বেকার ভাতা সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিতে হবে । ফ্রান্সে ফ্রোসোয়া ওঁলাদ যেভাবে উচ্চবিত্তের উপর আয়ের শতকরা ৭০ ভাগ করারোপ করেছে । ঠিক সেভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঐ পরিমানে না হলেও উল্লেখযোগ্য হারে উচ্চবিত্তের উপর করারোপ করা অবশ্যই দরকার ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে , পশ্চিমাদের পেট ভরা থাকলে ফুর্তি করে আর বাঙ্গালির পেট ভরা থাকলে ঘুমায় ।
তাই আর যাই হোক আন্ডারপাসে ( কালা রাস্তা ) যে মাল কামাও তা লইয়া নিরাপদে থাকতে হইলেও এই দক্ষিনা দিয়া বাঁচো ।
পেটে যখন ক্ষুদা থাকবো তখন আইস্যা গলায় পারা দিয়া নিবো , হইতাসেও তাই । তাই অন্তত পেটে ভাতে খাইয়া ঘুমাক । বাঁচতে চাইলে ব্যবস্থা করো । নাইলে অবস্থা "উপায় নাই গোলাম হোসেন"
।
অসংলগ্নতা প্রকৃতি সমর্থন করেনা ।
সমাজ প্রকৃতির বাইরে না । বন উজাড় হয় , কল কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য , প্রকৃতিতে কার্বনের ব্যাপক উপস্থিতি এগুলো মানুষের কারণেই যার ফল আজ মানুষই ভোগ করছে । আজ পরিবেশ বিপর্যয়ের সন্ধিক্ষণে মানুষ । ধ্বংসের ঘণ্টা বাজছে । সমাজেও একই পরিস্থিতি ।
মানুষের সৃষ্ট অনিয়ম আর দুর্নীতিতে সমাজ কলুষিত তাই তা ভোগ করতে হবে মানুষকেই ।
তোরা দুর্নীতি করে মালে মালে লালা হবি । তা থেকে যদি বেকাররা কিছু রঙ চায় তো দোষ কি ? হারামজাদার পাল এই সন্ত্রাস তো তোদের দুর্নীতির ফল । তোরা সম্পদের সুসম বণ্টন করতে দিবিনা । আর মহা সুখে থাকবি ।
তা হবেনা । তোদের গলায় পারা দিয়ে তোদের সুখ বের করা হবে । চাঁদাবাজ ভাইদের আমি আহ্বান জানাই এই হারামির পালের পশ্চাৎদেসে লাথি ঝেরে , টুটি চেপে ওদের কাছ থেকে মাল কামাও , লাল হও । ওদের সুখ ওদের মলদ্বার দিয়ে বের কর । সমাজের প্রতিটা স্তরে প্রতিটা বাঁকে এই হারামিরা আছে ।
ধর শালাদের , অধিকার আদায় কর !! কিসের পাপ কিসের আইন লঙ্ঘন যে শালারা আইনের কথা বলে ঐ শালাদের মলদ্বারে আইন ভরে দে কারণ ওরা ঐ দুর্নীতি বাজদেরই দালাল । ওরাই ওদের কুকর্ম হালাল করে ।
হ্যাঁ আমি উৎসাহ দিচ্ছি , আমি সমর্থন করি চাঁদাবাজের কারণ এছাড়া এই সমাজ ওদের বাঁচতে দেবেনা । ছিনিয়ে নাও আপন অধিকার যে যেভাবে পারো । এমনেও মরবা , সেমনেও মরবা ।
তাইলে ওগো কপালে দুইডা উশটা দিয়াই মরো ।
চাঁদাবাজ জিন্দাবাদ , চাঁদাবাজ জিন্দাবাদ , চাঁদাবাজ জিন্দাবাদ !!!! চাঁদাবাজি হোক দুর্নীতির ন্যায় সার্বজনীন । হোক পাল্লা চাঁদাবাজি আর দুর্নীতির !!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।