আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মহারাজপুর মেলার এ কি রং?

বিকল্প গনমাধ্যমের চিন্তা থেকেই এখানে একটু লেখালেখি করি ঈদ দিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুরে শতবছরের ঐতিহ্যবাহী মহারাজপুর ঈদ মেলা শুরু হয়েছে। মেলার উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩ আসনের সাংসদ আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস। চলবে মাসব্যাপী। গত বুধবার মেলায় গিয়ে দেখা যায় অশ্লীলতা এই শতবর্ষী মেলার সবখানে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহারাজপুর মেলা আগে মিয়া-চৌধুরীদের নিয়ন্ত্রনে পরিচালিত হতো।

তখন মেলায় সার্কাস নাগর দোলা সহ বিভিন্ন মনোহারী ও কাঠের ফার্নিচারের দোকান থাকত। মেলার সময় আত্বীয় স্বজনকে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করত মহারাজপুরের ধনী গরিব সব পরিবার। ঈদের দিন শুরু হত বলে ছোটদের বড়রা মেলায় কেনাকাটার জন্য টাকা দিতেন (যা এখানে মেলা দেখার টাকা নামে জানে সবাই) এটাই ছিল নিয়ম রীতি। বাড়িতে নতুন জামাইয়েরা আসত, মেয়ের সংসারের জন্য মেলা থেকে কেনা হতো ফার্ণিচার। মহা আনন্দে কাঁটত কটা দিন।

কিন্তু এই সুখ স্মৃতি অনেকের কাছে আজ শুধুই স্মৃতি। এখন মেলা হচ্ছে তবে কেউ মেলা দেখার নিমন্ত্রণ দেয় না লজ্বায়। কারণ একশ্রেনীর বিকৃত রুচির মানুষ এখন মহারাজপুর মেলার দর্শক। এখানে চলে জুয়া, চলে জাদু প্রদর্শনীর নামে কুরুচিপূর্ণ নৃত্য-গীত, পুতুল নাচের নামে প্যান্ডেল গুলোতে চলছে জান্ত পুতুলের নগ্ন নৃত্য,এমনকি সেখানে পুলিশের সদস্যরা দর্শক বনে যাচ্ছেন, চলছে হাউজি সহ বিভিন্ন র‌্যাফেল ড্র। এই মেলা একটু একটু করে কুলোষিত হয়েছে, তবে অনেকেই বলেন ১৯৯৬ সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রতে মেলা হওয়ার পর থেকেই অশ্লীলতা ছড়িয়েছে বেশি।

কারণ হিসাবে অনেকেই মনে করেন ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রনে আসায় রাজনৈতিক কর্মী সমর্থকদের আবদার মেটাতে মেলায় অনুষ্ঠান আয়োজন বেড়ে যাচ্ছে। আর সেই সাথে এক প্যান্ডেলের অনুষ্ঠানের সাথে অন্য প্যান্ডেলের আয়োজকদের অলিখিত প্রতিয়োগিতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে নগ্নতা গ্রাস করছে মহারাজপুর মেলা। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.