বিকল্প গনমাধ্যমের চিন্তা থেকেই এখানে একটু লেখালেখি করি আব্দুর রব নাহিদ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জাতীয় বৃক্ষ আম গাছের ডগায় ডলায় মুকুলের সমারোহ। আর সুমিষ্ট ফল আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমবাগানগুলো তাই অপরুপ সাজে সেজে আছে। প্রকৃতি নিপুন হাতে সাজিয়েছে প্রতিটি আম বাগান। মুকুলের মনভুলানো দৃশ্য যে কাউকে ক্ষনিকের তৃপ্তি এনে দেবে। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে নুতুন দিনের স্বপ্নের হাতছানি দিচ্ছে আমচাষীদের।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলন হওয়ার মধ্য দিয়ে সে স্বপ্ন পাবে বাস্তব রূপ।
কৃষি স¤প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতবছর আমের বাম্পার উৎপাদন হওয়ায় এ বছর প্রায় শতকরা ৬০-৭০ ভাগ গাছে এসেছে মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের ফলন গতবারের মতই ভাল হবে। মুকুল কিছুটা কম আসার কারণ হিসাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষনা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম জানান এ বছর যে সব গাছে নতুন পাতা এসেছে সেই সব গাছে মুকুল কম এসেছে। তবে তিনি জানান শুধু শতভাগ মুকুল আসলেই যে আমরা ভাল ফলন পাব তার কোন নিশ্চয়তা নেয়।
এ বছর যা মুকুল এসেছে তা থেকে আমরা গত বছরের মত এবারও বাম্পার ফলন পাব আশা করছি। কারণ এবছর আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনুকূলেই আছে। তিনি জানান ইতি মধ্যেই কোন কোন গাছে মুকুল থেকে আমের গুটি আসতে শুরু করেছে। আমের ফলন নিশ্চিত করতে আবহাওয়া পুরু সময়টা অনুকূলে থাকা অত্যন্ত জরুরি।
জেলার সদর, শিবগঞ্জ, ভোলাহাট, গোমস্তাপুর ও নাচোল, মহারাজপুর, সুন্দরপুর, ছত্রাজিতপুর, মনাকষা, দূর্লভপুর, কানসাট, প্রভৃতি এলাকার আমবাগানগুলো ঘুরে প্রায় সব গাছেই কমবেশি মুকুলের সমারোহ দেখা গেছে।
কোন কোন গাছে মুকুল প্রস্ফুটিত হওয়া শুরু করে। দিন যত যাচ্ছে আমচাষী সহ সংশিষ্ট সকলের ব্যস্ততা বাড়ছে। তারা বাগানের পরিচর্যায় সার প্রয়োগ ও গাছে বিভিন্নি কিটনাশক ¯েপ্র করছেন। আম ব্যবসায়ী মহারাজপুরের ইব্রাহিম জানান তার ২০ বিঘার একটা বাগান আছে, দুই বছরের জন্য তিনি বাগানটি কিনেছেন, তিনি জানান এ বছর মুকুল যা এসেছে তার ৪০ ভাগও ফলন হয় তাতেই তিনি লাভবান হবেন। তিনি বলেন এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালই আছে।
অন্য কোন সমস্যা দেখা না দিলে এবছর আমের উৎপাদন ভাল হবে বলে ইব্রাহিমের মত অনেকেই আশাবাদী। সারা দেশের মোট উৎপাদিত আমের প্রায় ৫০ ভাগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।