আর কতো রক্ত দেবে বাঙ্গালী । নীলু দাস (জন্মঃ ১৯৩০ - মৃত্যুঃ ২০০৩) যিনি ষাট শতকের গল্পকার নীলু দাস নামেই পরিচিত | তিনি ময়মনসিংহের সকল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
জন্ম
১৯৩০ সালে নীলু দাসের জন্ম হয় ময়মনসিংহ জেলার কাচঁামাটিয়া বিধৌত ঈশ্বরগঞ্জের নীচতুলন্দর গ্রামে।
শিক্ষা ও জীবন
নীলু দাসের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন কেটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। গৌরীপুর নীলু দাসের মাতুলালয়।
মেট্রিকুলেশন পাশ করেন ঈশ্বরগঞ্জের চরনিখলা উ চ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে। ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে আই,এ পাশ করেন ১৯৫৪ সালে। ঐ বছরই পাকিস্তান ইর্স্টান রেলওয়ে টেলিগ্রািফস্ট পদে চাকরি গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে নীলু দাস বকুল রাণী দাস এর সংগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তঁার দুই মেয়ে তিন ছেলে।
চাকরি সূত্রে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। তঁার বহুকোণ হীরার মতো তীক্ষ্ন অনুভূতি শক্তি দিয়ে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের বাস্তব জীবনকে উপলব্দি করেছেন। রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হিসেবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন ১৯৮৯ সালে।
লেখার বিষয়বিন্দু
নীলু দাসের লেখার বিষয়বিন্দু মানুষ, মানুষের অসহায়তা ও অসংগতি। দলিত মানুষেরা বার বার তঁার গল্পের প্রধান চরিত্র হয়েছে।
নীলু দাসের সকল চরিত্রই বাস্তবতাকে অধিকতর মেনে নিয়েছে। বাস্তব প্রেক্ষাপটের নিষ্ঠুর আবর্তে পড়ে ওরা দলিত হয়েছে, বিপর্যস্ত হয়েছে। এই বলয় থেকে কেউ বেড়িয়ে আসতে পেরেছে, কেউ পারেনি।
প্রকাশিত গ্রন্হ
ষাটের পুরো দশক নীলু দাস বাংলাদেশের নামকরা ও প্রতিষ্ঠিত পত্র-পত্রিকাগুলোতে ( সমকাল, মাহে-নও, মোহাম্মদী, আজাদী, সৃজনী, পূর্বদেশ, মেঘনা, ময়ূরকণ্ঠী, বেগম প্রভৃতি) গল্প লিখেছেন। ‘বেগম’ এর বিশেষ আকর্ষণ ছিল প্রথম দিকে এক ফরমাব্যাপী লেখিকাদের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
ওই লেখিকারা ছিলেন বলতে গেলে অমরযৌবনা। একই বয়সের (প্রথম যৌবনের) একই ছবি তাঁদের ছাপা হতো বছরের পর বছর। বেশির ভাগ লেখিকা ছিলেন ভুয়া, নারী-নাম ব্যবহারকারী পুরুষ। এঁদের মধ্যে বিশেষ খ্যাতি পেয়েছিলেন নীলু দাস। পরে জানা গেছে, তাঁর এক বউদির ছবি ব্যবহার করতেন ।
ডঃ আমিনুর রহমান সুলতান এর সম্পাদনায় বারটি গল্প নিয়ে নীলু দাসের গল্প একুশের বইমেলা ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়।
মৃত্যু
নীলু দাস ২০০৩ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের আঠারবাড়ী ইউনিয়নের বেহেত্তরী গ্রামে মৃত্যুবরন করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।