এক সময় বই ছিল আমার নিত্য সঙ্গী , অনেক রাত জেগে বালিশ নিয়ে উপুর হয়ে বই পড়তে পড়তে বুক ব্যাথা হয়ে যেত । পড়া শেষ হতো না । আজো বইয়ের কথা মনে হলে আমার বুকে ব্যাথা হয়, তাদের মলাটে ধুলোর আস্তর জমেছে বলে । বইয়ের পোকা থেকে এখন আমি ইন্টারনেটের পোকা ।
রেল লাইন ধরে পায়ে হেটে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনার কথা অনেকেই জানেন ।
ইতিমধ্যেই আমরা চিটাগাং পৌছে গিয়েছি । ঢাকা থেকে চিচাগাং যেতে অনেকগুলো ছোট স্টেশন আছে যেগুলোর নাম এবং সংখ্যা অনেকেই জানেন না, আমি ও জানি না । আমি এক ষ্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানগুলোর ছবি দিব এবং প্রতি ষ্টেশনের জন্য একটা করে পোষ্ট । এতে করে স্টেশনের নাম এবং সংখ্যাটা ও হিসেব হয়ে যাবে ।
আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব ।
এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব । এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌছতে পারি । প্রতি সপ্তাহে হাটা আমার দ্বারা সম্ভব হচ্ছে না, তাই চিটাগাং পর্যন্ত কবে গিয়ে পৌছব এখনো জানি না, বলতে পারেন অজানা গন্তব্য
স্টেশনের অবস্থানঃ এটা কুমিল্লা জেলার একটি উপজেলা এবং দেশের অন্যতম বৃহৎ জংশন। লাকসাম রেলওয়ে জংশন প্রায় ৩০০ একর সম্পত্তির উপর ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
(২) খুব ভোরে লাকসাম রেল স্টেশনে এই নাস্তা খেয়েই শুরু হয় আমাদের যাত্রা........
(৩) স্টেশনে একটা পোজ দিলাম, কেমন হয়েছে বলুন তো
(৪) নাস্তা করলাম, পোজ দিলাম অতঃপর এই পথে চিটাগাং এর দিকে হাটা ধরলাম.........
(৫/৬) সূর্য্যি মামা পুবের আকাশে উঁকি মারছে ।
(৭) প্রচন্ড কুয়াশাচ্ছন্ন একটা সকাল ছিলো ।
(৮) শৈশবকে মনে করিয়ে দেওয়া একটি ছবি ।
(৯) খেজুরের পাতায় শিশির বিন্দু ।
(১০) সিম ফুল ।
(১১) রোদের আশায় ইলেকট্রিক তারে বসে আছে বক, বকদের সাধারণ এমন স্থানে বসতে আমি দেখিনি ।
(১২) সুইচোরা পাখি ।
(১৩) মাছরাঙ্গা, শীতের সকালে ওরা সবাই রোদের ওম নিচ্ছে ।
(১৪) গ্রামের রাস্তায় চলন্ত ট্রেন, দেখতে কিন্তু বেশ ।
(১৫) রোদে বসে একটু প্রেম করলে মন্দ কি এই পাখি দু'টো পাখির নাম জানি না ।
(১৬) বুলবুলি দু'টোর কি হয়েছে কে জানে ? ওরা দুরত্ব বজায় ড়েখে বসে আছে ।
(১৭) গরুর জন্য ঘাস কাটছে এক বৃদ্ধ ।
(১৮) দোয়েল পাখি নিয়া আমার মনে একটা দুঃখ আছে, জীবনে কখনো দোয়েল পাখির রঙ্গীন ছবি তুলতে পারলাম না, সবই সাদা কালো
(১৯/২০) এক সময় পৌছে গেলাম পরবর্তী স্টেশনে, স্টেশনের নাম নাওটী ।
আগের পর্বঃ ঢাকা টু চিটাগাং - ৩৬ ( আলীশহর )
পরবর্তি পর্ব হবেঃ ঢাকা টু চিটাগাং - ৩৮ ( নাওটী )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।