অনেক কাল আগের কথা। তখন প্র্রায় সময়ই আমাদের বাড়ীতে "হেজাক" এর আলো জালাইয়া বিচার বসিত। বিচারের দিন সন্ধায় প্র্রায় সারা গ্র্রামের মানুষ আমাদের বাড়ীতে উপস্তিত হইয়া পান সুপারি চিবাইতে চিবাইতে গভীর চিন্তা করতে করতে ফুসুর ফাসুর আলাপ করিত। একটা উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হত সে সময়। মুরুব্বীরা মিলিয়া অনেকটা বর্তমান আদালতি পদ্ধতিতে বিচার কার্য পরিচালনা করত।
বিচারের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যাপার ছিল,
বিচারকরা ঘটনাকে সরলীকরন করিবার জন্যে নানা রকমের কেচ্ছার অবতারনা করিতেন। তারই একখানা উল্লেখ করিবার লোভ সামলাইতে পারিলাম না।
"কপাল দোসে হারাইলাম টেহা
পাইত্যালডা মরল ডুশে। ।
একজনে কান্দা আরেক জনে কাইন্দা
মাইর খায় কপাল দোসে"।
।
এমন অগুনিত "ছল্লক" কহিয়া তাহারা সুচরু ভাবে বিচার সমাধান করিত।
সেই সময়কালে গ্রাম থেকে কাউকে থানায় নিয়া যাওটাকে রীতিমত গ্রামের অপমান হিসেবে বিবেচনা করা হইত।
ধীরে ধীরে আমাদের ছোট্ট গ্রামটিতে ও পরিবর্তনের বদ হাওয়া লাগে।
এই অশুভ হাওয়াটিকে শত চেষ্টায় ও ঠেকানো যায়নি।
আমাদের গ্রামের মানুষ এখন তুচ্ছ কারনেও থানায় যায়।
আর না বলা শত শত কেচ্ছা নিয়া বুড়া গুলি কোথায় যেন পাড়ি জমায়। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।