বাস ছাড়তে ছাড়তে ১১টা বেজে যায়... বাস থেকে আশুলিয়ার ইটের ভাটা... সেদিন মেঘলা ছিল বলে বেশীর ভাগ ছবিই ভালো আসেনি...
মির্জাপুর (টাংগাইল) বাস স্ট্যান্ডে নেমে রিকশা নেই...
অনেক আগে রিকশা নিয়ে বাড়ী পর্যন্ত যাওয়া যেতনা, এখন পাকা রাস্তা করায় অনেক সুবিধা হয়েছে...
প্রায় তিন বছর পরে গ্রামের পথে...
ফেরীওয়ালা আর আমাদের রিকশাওয়ালার বাম হাত...
আমাগো ছবি তুলে ক্যারে ...।
নানা বাড়ীর উঠোন...
মুরগীর হাড়গুলো খাওয়ার জন্য বসে আছে...
কুকুরছানা... এখনও চোখে দেখেনা...
লাউয়ের মাচার ভূত...
খালার বাড়ী নদীর অন্য পাড়ে...
খালার গরু আর বাছুর...
ঘৃতকুমারী...
দাদার বাড়ী আর নানার বাড়ীর হলো গ্রামের এপাড়া আর ঐপাড়া...
বাড়ীতে গিয়েই সন্ধ্যা হয়ে যায়...
বাসার ভিতরে আলনার নীচে ইনি অনেকক্ষণ মূর্তির মত বসে ছিলেন...
চাচীর হাতের যে কোন রান্নাই সব সময়ই অসাধারণ হয়...
আলুভাজী...
মুরগী...
ভোরবেলা তখনও সবাই উঠেনি, আমি চারপাশটা একা একাই হাটি...
চাচা গরুগুলাকে গোয়াল থেকে বের করেছেন...
বাড়ীর বাইরের ঘর আর অনেক স্মৃতি বিজড়িত ছোট্ট মাঠ... ছোটবেলায় চাচাতো, ফুপাতো সব ভাইবোনরা মিলে মাঠটাকে মাথায় উঠিয়ে রাখতাম...
মাঠের সামনেই পুকুর...
পুকুরের এই কোণটাতে বসেই বড়শি দিয়ে আমার জীবনের প্রথম আর শেষ মাছটি তুলেছিলাম... (তুলেছিলাম বলছি কারণ, মাছটি তুলে আমি ভয়ে আর ধরিনাই, পুকুরের পাড়েই আছড়াতে থাকি। পরে আমার চাচাতো ভাই এসে উদ্ধার করে)
একটু আগে বাইরের যে ঘরটা দেখলেন সেটার পাশ দিয়ে ঢুকলে বাড়ীর প্রধান অংশ...
সকাল সকালই এই বাসায় ঐবাসায় দেখা করে করে ঢাকায় ফেরার প্ল্যান...
হাটতে হাটতে তোলা ছবি...
রওয়ানা হতে হতে ১১ টা বেজে যায়...
আসার পথে আবার কালিয়াকৈরে বড় ফুপির বাসায় কিছুক্ষণ...
অবশেষে ঢাকায় পৌছতে বিকেল হয়ে যায়...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।