আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরিবর্তনের আহবান

মমমমমম দুই দিনবাদে আবার লিখতে বসেছি। আমি কোন জ্ঞানী বা জ্ঞানপাপী না। আমি সমাজের আর ১০ জনের মত সাধারন মানুষ না। আমি চিন্তা করতে শিখেছি। প্রত্যেক মানুষই চিন্তা করতে পারে।

কিন্তু সমাজ পরিবর্তনের চিন্তা করে কতজন? আমি বিশ্বাস করি যারা আমার মত ব্লগার আছে তারা সবাই খুব ভালো চিন্তা ভাবনা করতে পারে। আর নিজের চিন্তাকে অন্যের ভিতর প্রবাহিত করা অনেক বড় কাজ। চিন্তা ভাবনা অবশ্যই ভালো হতে হবে। মানুষ ভালো খারাপ উভয় চিন্তাই করবে তারা সব প্রকাশ করবে কিন্তু আমদের কে ভালো দিকটা নিতে হবে। পরিবর্তন এক দিনে আসে না বা এক মাসে আসে না।

পরিবর্তন আসে বহু বছেরের শোষন ও বঞ্ছনার প্রেক্ষিতে। আজ আমরা আরব বসন্ত আরব বসন্ত বলে বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছি। কিন্তূ ভুলেও ভাবছি না কেন সেখানে আজ বিপ্লব, কেন মানুষ রক্ত দিচ্ছে। কেন তারা জীবন বাজীরেখে পরিবর্তন এর জন্য লড়ছে। আমরা কি করছি যুদ্ধবিদ্ধস্ত লিবিয়ায় মানুষ পাঠাচ্ছি আর রেমিটেন্স এর জন্য বসে আছি।

কিন্তু ভাবছি না যে আমরা উন্নত হলে একদিন লিবিয়া, সৌদি, কাতার হতে মানুষ আসবে আমাদের দেশে কাজ করতে। আমরা ভুলেও ভাবছি না যে আমাদের অবসথা ও একদিন এই রকম হবে। সরকার এক কথা বলে বেড়াচ্ছে , আর বিরোধী দল এর এক কথা বলে বেড়াচ্ছে। আজ আমার আপনার জন্য কি বাকী আছে বাংলাদেশ এ । দেশ আপনাকে কি দিচ্ছে নিজেকে এখন আমাদের প্রশ্ন করার সময়।

আজ আপনার নিরাপত্তা বলে কিছু আছে আমি মনে করি না। আজ প্রতিদিন পন্য দ্রব্যের দাম বাড়ছে , সরকার নিশ্চুপ। যারা সাধারন মানুষ তারা মনে মনে হাজারটা গালি সরকার ও ব্যবসায়ীকে দিয়ে ১ কজি ডালের বদলে ১/২ কেজি কিনে নিয়ে গেল( কারন দাম বেশি কিন্তু খেতে হবে, তাই কম কিনে পানি ডাল খাচ্ছে) চালের দাম দিনকে দিন বাড়ছে। এখন ও ৫০ টাকা হয়নি। বাংলাদেশ পৃথিবীর ৩য় চাল উৎপাদনকারী দেশ হলে আমাদের চাল পাবার কথা ছিল ১০ টাকা কেজিতে।

কিন্তু তা হয়নি। আপনারা যারা বলবেন যে কৃষক বাঁচবে কি করে। হ্যাঁ আপনি যদি জার্মানি ইতালি এর দিকে তাকান তাহলে দেখবেন যে তাদের মাসিক খাবার খরচ ১০০ ইউরো। তাহলে তাদের কৃষক ও তো বাচে। আমাদের প্রচলিত সিস্টেম এর পরিবর্তন দরকার।

আজ দালাল্‌ বাটপারি, চাঁদাবাজী ও রাজনৈতিক দলের কুকীর্তির জন্য জীবন এখানে অভিশাপের মত। আজ দেশ বেকারে ভর্তি। ঘুষ, কোটা ও দলবাজির জন্য মেধাবীরা চাকরিতে কোন সু্যোগ পাচ্ছে না। যা একটা দেশের উন্নতির পথে সব থেকে বড় সমস্যা। আবুল মকসুদ স্যার বলেছেন যে আজ ঘুষ, কোটা ও দলবাজির জব্য এমন খারাপ অবসথা যে সচিবালয় চালানোর মত যোগ্য অফিসার আগামী দুই বছর পর পাওয়া যাবে না।

আসলে ও তাই। তা না হলে সরকার এর এত ভুল ভ্রান্তি কি করে হয়? পরিবর্তন আসবে যেদিন চালের দাম ১০০ টাকা কেজি হবে। সেদিন বেশি দূরে নয়, সেইদিনের জন্য আমদের প্রস্তুত হতে হবে। জঙগণ এখন অনেক সচেতন, তারা আর মিষ্টি কথায় ভোলে না। আমদের উচিত সবাই মিলে পরিবর্তনের জন্য এগিয়ে আসা।

আমরা ব্লগে লিখে ঝড় ইয়ুলে ফেলি আসুন সবাই একদিন সংসদ ভবনের সামনে কালো পতাকা নিয়ে দাড়ায় এবং বলি যে,আমরা মুক্তি চাই। স্বাধীনতার ৪০ বছর পার করে আমরা এক ভিখারী জাতি হিসাবে পৃথিবীর কাছে পরিচিত এর থেকে বড় লজ্জা আর আছে বলে আমার মনে হয় না। আশির দশকের মালেশিয়ার চেয়ে আমরা ধনী ছিলাম, আজ তাদের পায়ে তেল মাখাতে হয় সেতু করে দিতে। আর কত ছোট হব আমরা। আজ চাকরি সোনারা হরিন না, চাকরি এখন প্লাটিনামের হরিন হইয়ে গেছে।

চাকরী মানেই ঘুষ, মামা, আর দল, তাহলে মেধাবীরা যাবে কোথায়? হ্যা যাচ্ছে, তারা পরদেশে পাড়ী দিচ্ছে কেন দিচ্ছে এই কথা মনে হয় না আমাদের সরকার বা জ্ঞানীদের মাথায় আসছে। আসলেও তারা এখন ব্যস্ত নিজেদের আখের গোছাতে। আশ্চার্যের বিষয় যে, জনগণ এর ম্যান্ডেট নিয়ে সাংসদে এসে জনগণের কথাই ভুলে যায়। কাজী নজ্রুল ইসলাম বলে গেছেন “ দিনে দিনে বহু বেড়েছে দেনা শুধিতে হবে ঋণ” আমরা যদি আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে চাই তাহলে , আমদের উচিত নিজেদের স্বার্থ ভুলে কিছু সময়ের জন্য এক হ্যে কাজ করা। আমি জানি পরিবর্তন আসবে।

এটা আজ না হোক কাল হবেই। আজকের আমেরিকা, আমেরিকা হয়েছে গৃহ যুদ্ধ পার করে। আমদের দেশের যে অবস্থা তাতে আমাদের দেশের ও ভবিষ্যতে ওই অবস্থা হবে। কারন প্রতিদিন জীবন যাপনের খ্রচ বাড়ছে আর জীবন যাত্রার মান কমছে। আমি জানি আপনারা সবাই একমত হবেন।

আমাদের বাংলাদেশে অনেক ভালো মানুষ আছে । আমাদের সবাই কে লিংক আপ হতে হবে পরিবর্তনের জন্য। আর না অনেক হয়েছে এখন সামাজিক আন্দোলন দরকার। যা আমাদের নেতা মন্ত্রীদের ঘুম ভাঙ্গাবে। জনগণই যে সকল ক্ষমতার উৎস সেটা তাদের বোঝাতে হবে।

আমি জানি আপনারা যারা এই সাইটে নিয়মিত লেখালেখি করেন তারা নানা দল মতের লোক, কিন্তু সবাই একটা জায়গাই একমত যে ভালো পরিবর্তন দরকার। একটা সমাজকে প্লাটে দিতে পারে তার মেধাবী সিভিল সোসাইটি। আপনারা যারা আছেন তারা নিজের অনেক সময় নষ্ট করে লেখেন । আপনারা লেখেন কারন আপনারা পরিবর্তন চান। এখন প্রতিদিন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মিথ্যা বলে চলেছে, তিনি বলে বেড়াচ্ছেন যে দেশে নাকি কোন সন্ত্রাস নেই।

এই তো সেদিন আমার ছোট ভাই এর গলায় ক্ষুর ধরে মোবাইল নিয়ে গেল। এখন রাতে রাস্তায় হাটা যায় না নিরপদে। আর আইন প্রতিমন্ত্রী আছেন গলাবাজিতে ব্যস্ত। রফিকুল ইসলাম স্যার বলেছেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নাকি আদালতে ফাইল নিয়ে দৌড়ে বেড়াত ও কি করে আইন প্রতিমন্ত্রী হয়। আসলে তাই।

আমাদের সব সম্ভবের দেশ তা না হলে আবুল মাল মুহিতের মত ইংলিশে অনার্স করা আমলা কি করে অর্থ মন্ত্রী হয়। ভালো কোন কিছু রাজনৈতিক দল করে না। তাদের যেটা সুবিধা সেত্তে তারা পিছপা হয় না। তা না হলে আইন কমিশনের সুপারিশকে অবান্তর বলতে পারত না। আপনারা কেউ ভাবনেন না যে আমি লীগ বিরোধী।

বিএনপি যে ভালো কিছু করে না তা আমরা সবাই জানি। আর এরশাত তো সুবিধাবাদী, তা না হলে এত লাফালাফি করে বেড়াচ্ছে, মহাজোটের বিরুদ্ধে বলে বেড়াচ্ছে কিন্তু জোট ছাড়ার সাহস নেই। আমরা চাই না এই কাপুরুষ ভণ্ডকে। সবাই জনগণকে শ্রদ্ধা করে যদি আমি, আপনি, ও আমরা জেগে উঠি। একটা সোস্যাল প্লাটফর্ম পারে একটা পরিবর্তনের সুচনা করতে।

আর যারা পরিবর্তন প্রত্যাশী তাদের এগিয়ে আসায় যথেষ্ট। আজ মুক্তি যুদ্ধের মূল চেতনা নষ্ট হবার পথে, কারন মুক্তিযুদ্ধ হ্যেছিল কেবল পাকিস্তান থেকে আলাদা হবার জন্য না, হয়েছিল ক্ষুধা,দারিদ্র মুক্ত বাংলার জন্য। যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য। কিন্তু আজও সেই একই অবস্থা। আজ ও আইন আদালত, সু্যোগ- সুবিধা সব টাকা ওয়ালেদের জন্য।

আমার প্রশ্ন আমরা কি পারি না একদিন সবাই এক হয়ে আমাদের কথা সরকার কে জনাতে? আমরা কি পারি না একদিন সবাই বসতে? আমরা কি পারি না পরিবর্তন ঘটাতে? আমরা কি পারব না বাংলাকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর করতে? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।