আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?
চারদিন পর আজকে সাইটে এলাম। এসে দেখি অনেক পরিবর্তন। রংয়ের বাহারে পরিবর্তন এসেছে। বেশ চমৎকার লাগছে। অবশ্য চমৎকার লাগছে কিনা জানিনা, তবে বলতে হবে এজন্যই বললাম।
বুঝিয়ে না বললে আবার কোন ঝামেলায় পড়তে হয়। ঝামেলায় যাওয়ার আগে ঝামেলা বিষয়ক একটা গল্প শুনি_
গভীর বনের পাশে এক গ্রামে একবার বাঘের খুব উৎপাত দেখা দিল। বন থেকে প্রতিদিন একটি বাঘ এসে গ্রামবাসীকে আক্রমন করে আহত করে। পর পর কয়েকদিন বেশ কয়েক জনকে মেরেও ফেললো হিংস্র বাঘ। এ নিয়ে গ্রামবাসীর চিন্তার শেষ নেই।
প্রতিদিন রাত জেগে পাহারা দিতে দিতে ক্লান্ত গ্রামের নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ একদিন আলোচনায় বসলো। কিভাবে বাঘটাকে শায়েস্তা করা যায়। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হলো শহর থেকে দক্ষ শিকারী এনে বাঘটাকে ধরা হবে কিংবা হত্যা করা হবে। সর্বসম্মতিক্রমে যথারীতি শহর থেকে দক্ষ শিকারী নিয়ে আসা হলো বাঘ ধরার জন্য।
শিকারী গ্রামবাসীকে বললো তাকে একটা বাঘের চামড়া জোগাড় করে দেয়ার জন্য।
শিকারীর কথামতো গ্রামের লোকজন তাকে একটি বাঘের চামড়া জোগাড় করে দিল। ভোর বেলায় শিকারী চামড়া পরে বনে বাঘ শিকার করার জন্য ঢুকলো। ভোরে আলো প্রখর হতে হতে একসময় সকাল, দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলো। কিন্তু শিকারী আর বন থেকে বের হয়ে আসেনা। বনের পাশে লাঠি সোটা নিয়ে বাঘ এবং শিকারীর জন্য অপেক্ষমান গ্রামবাসী একসময় হতাশ হলো।
বাঘ বুঝি শিকারীকেও মেরে ফেললো। গ্রামবাসী আশা ছেড়ে যখন বাড়ী ফিরতে উদ্যত হলো তখন বনের একপ্রান্তে শিকারীকে বিধ্বস্থ অবস্থায় দেখা গেল। কান্ত হয়ে শিকারীর ফেরা দেখে সবাই আনন্দিত। শিকারী নিশ্চয়ই বাঘ মেরে নিয়ে আসছে। কাছে আসতেই দেখা গেল শিকারী শুন্য হাতে ফিরেছেন।
শিকারীর বিধ্বস্থ শরীর দেখেও অনেকে উৎসাহ চাপা রাখতে না পেরে অবশেষে জিজ্ঞেস করেই ফেললেন -বাঘ কোথায়? নিশ্চয়ই মেরে এসেছেন? কিন্তু শিকারী ক্ষেপে গেল গ্রামবাসীর উপর। বললো-আমি আপনাদেরকে বলেছি বাঘের চামড়া দিতে, আর আপনারা আমাকে দিয়েছেন বাঘীনির চামড়া। দীর্ঘদিন উপবাস থেকে বাঘীনি মনে করে দেখুন বাঘ আমাকে .................... !!!!
সাইট পরিবর্তনের জন্য হোল্ডার অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। কিন্তু যে বিষয়টি এখান থেকে গেলোনা সেটা হচ্ছে অশ্নীল মন্তব্য আর সেচ্ছাচারিতা। মন ফ্রেশ করতে কিংবা নিজের মতামত প্রকাশ করতে এখানে এসে অনেকের অবস্থা হয় বাঘ শিকারীর মতো।
চামড়ার গন্ধ না শুঁকে, রং দেখেই কিছু অতি বুদ্ধিমান লোক ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের অশালীন যৌক্তিক মন্তব্য প্রতিষ্ঠা করতে। এদের বিরুদ্ধে কি কিছুই করার নেই? এরা মনে করে এখানে লিখে কিংবা এখানে নিজেদের অশালীন মন্তব্য পেশ করে বিখ্যাত হয়ে যাবে। আসলে এদের অবস্থান কতটুকু তারা তা নিজেরাই জানে না। বাঘের মতো উপবাস থাকতে থাকতে সামনে কী এসেছে তারা তা বুঝতে পারেনা। অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করা এদের দ্বারা কখনো কাম্য নয়।
এরা মুখে গনতন্ত্রের বুলি আওড়ায় আর কাজে কর্মে স্বৈরতন্ত্র। এরা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হলেও এদের জায়গা টয়লেট কিংবা নর্দমায়। আসুন আমরা এমন লোকদের পরিহার করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।