তুমি আমি আমরা ......
ছাহারা কাতুন –
আমি ছিলাম অপরূপ রুপের অধিকারী । যেদিন আমি হাসতাম সেদিন আকাশে চাঁদ হাসত না , কারন আমি হাসলে আমার রুপোর মতো মুখে ফুটে উঠতো একসাথে ৪৮ খানা চাঁদ !
হটাত একদিন গভীর রাতে বাঁশবনে গুনগুন করে গান গাওয়ার সময় আমার মুখে মুতে দেয় এক কুৎসিত কাঁক !
তার ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমার মায়াবী রুপোর মতো মুখ কনভার্ট হয়ে লাভ করে কাকিনি মুখ ( কাকের স্ত্রী ভার্শন )
আমার সেই কাকিনি মুখ দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষ জন দল বেঁধে আসা শুরু করে , তারা আমার নামে কটু কথা বলা শুরু করে । কিন্তু আমি তাদের মুখের উপর কিছুই বলতে পারতাম না ।
এইভাবে একদিন আমার বাড়ির দুয়ারে এসে হাজির এক পিয়ন । তার হাতে এক আমন্ত্রনপত্র , পাঠিয়েছে “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “ , সেই আমন্ত্রনপত্র আমার জীবন বদলে দেয় ।
তাদের আমন্ত্রনে আমি যাই তাদের ক্যাম্পাসে । তারা আমাকে অ্যাডমিট করে নেয় । সেই থেকে আমার পথচলা
আজ আমি এক ভিন্ন রূপসী । এম এ জলিল অনন্ত আমার সাথে চিনেমা করার জন্য আমাকে অফার দিয়েছে । কিন্তু আমি তার অফার ফিরিয়ে দিয়েছি ।
কারন আমি কারও একার হতে পারি না । আমার রূপ আজ সবার জন্য উন্মুক্ত । আপনারা চাবি নিয়ে আসুন , আমি আমার রুপের তালা খুলে দিব ।
ঈর্ষাদ কাগু --
যখন থেকে আমার বুদ্ধি হওয়া শুরু করলো , তখন থেকেই আমি প্রেমিক পুরুষ হতে চাইতাম । আমি চাইতাম রোমান্টিক কবিতা লিখে সবার মন ভরিয়ে তুলতে ।
কিন্তু এলাস ! আই এম আনডান !
কোন মেয়েই আমাকে ফুটু পয়সা দাম দিত না । আমার লেখা কবিতার কাগজ মেয়েরা টয়লেট পেপারের সাব্লিমেন্ট হিসেবে ইউস করতো । রাগে দুক্ষে আমি দিশা হারিয়ে বিদিশা ! তখন আমি খবর পেলাম “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “
আমি পেয়ে গেলাম যৌবনের অমৃত সুধা ।
আজ আমি প্রেমের জীবন্ত কিংবদন্তী । আজ আমার অনেক গুলা গার্লফ্রেন্দ ।
তারা আমার গলার ভেসে উঠা রগের জন্য পাগল । তাই আমার স্বপ্ন পুরনের দিশারী “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “” আমি একটি কবিতার দু লাইন উৎসর্গ করলাম –
“
- এই যে “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “
তোমার কারণে নারীরা যায় আমার প্রেমে ফাসিয়া “
আভুল -
আমি আভুল । বাল্যকালে থেকেই আমি খুব দৌড়াই । আমার পরিবার , পাড়া , প্রতিবেশী , স্কুল এর শিক্ষক কেউ আমাকে আমার বেহায়াপনার জন্য কক্ষনই ধরতে পারতো না আমার দৌড় প্রতিভার জন্য ।
একদিন হটাত করেই আমার তীব্র আমাশয় হয় ।
সেই আমাশয় আমার দৌড় প্রতিভা নষ্ট করে দেয় ! অবস্থা এমন হল আমি দৌড় দিলে আমার আগে এলাকার ডিমপেটে ধরা মুর্গীরা দৌড়ে ফাস্ট হয়ে যেত । আমি হতাশ হয়ে পড়ি । জীবনের লাইসেন্স মেলাতে পারছিলাম না । আনাড়ি ড্রাইভার নামক চিন্তারা আমার জীবনের রাস্তায় চরম যানজট এর আঁকার ধারন করেছিল । চলতে না পেরে আমি শেষ পর্যন্ত পরে গেলাম গাঁতায় ।
কিন্তু না ! আমি চিরকাল গাঁতায় পরে থাকি নি । কারন জানতে চান ? কারন---- “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া”
তারা আমাকে নতুন করে ভো দৌড় দেয়া শিখিয়েছে । শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া” কল্যাণে আজ আমি দৌড় – মন্ত্রী ।
ধন্যবাদ “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “
আশারাফি ফাঁপিয়া --
কিশোরী অবস্থা থেকেই আমার ফেবারিট তসলিমা নাসরিন । তার ঊরু আমাকে মুগ্ধ করতো , তাই আমিও চাইতাম এমন ঊরু কারন এমন ঊরু থাকলে অনেক স্মার্ট লাগে ।
তাই আমিও ঊরু মোটা করতে উঠেপরে লাগলাম । কিন্তু ঊরুর বদলে আমার হাত মোটা হতে লাগলো ! কি আচানক !
তারপর স্কুল পাস করে কলেজে যখন উঠলাম ওমা এইটা কি ! কিছু দুষ্টু ছেলে আমার মোটা হাতের দিকে “ বদ নজর “ লাগায় । তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমি ঠোঁটে কড়া লাল লিপস্টিক লাগাতে আরম্ভ করলাম । বাঁট এলাস !
যে দেশে সুপারস্টার হার্ডথ্রব লাখো তরুণের দিলের সম্রাট মহানায়ক এম এ জলিল অনন্ত এর মায়াবী ঢ্যাঁশা বুকের নিরাপত্তা প্রশাসন দিতে পারে না , সেখানে আমি কিভাবে আমার থকথকে ঊরুর হেফাজত করবো !
আপনারা বিশ্বাস করবেন না , কলেজ জীবনের শেষ ক্লাসে বাঙলা শিক্ষক পরিমল আমার সেই মোটা হাত নিয়ে নগ্ন খেলায় মেতে উঠে । সেই খেলা আবার symphony সেটে ভিডিও করে ।
এই লজ্জা আমি কই হান্দাবো ?
আমি সুইসাইড করতে যাই বনানী । সেখানে গিয়ে যখনই আমি এক পালসার বাইকের নিচে হাত দিব ঠিক করলাম তখনই আমার চোখে পড়লো – “ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “ পোস্টার !
এ এক জাদু ! এ এক মায়ার পরশ ! আমি দৌড় দিয়ে হান্দাই ক্যাম্পাসে । তারা আমাকে অ্যাডমিট করিয়ে নেয় তাদের রঙ্গমঞ্চে ! তারা আমাকে আর আমার ঊরুর যত্ন নেয় । এইভাবে আজ আমার ঊরু , হাত , মুখ সব ঢ্যাঁশা ঢ্যাঁশা ! আজ আমি অনেক স্মার্ট ।
তাই কৃতজ্ঞ তোমার কাছে হে “ ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ এশিয়া “
( সকল চরিত্র নাতি কাল্পনিক )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।