মায়া কথা, সামহোয়ারইনের নতুন যাত্রী। বলা যায়, আলোর পথের অনন্য এক যাত্রী। maya.com.bd বাংলাদেশের প্রথম ওয়েবসাইট, যা কিনা সম্পূর্ণভাবেই মেয়েদের জন্য নিবেদিত, আর মায়া কথা তারই অংশ।
মেয়েদের কথা সম্পূর্ণভাবে তুলে ধরার জন্যই একটি নতুন প্লাটফর্ম এই মায়া কথা। এটি গড়ে তোলার পিছনে প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে মেয়েদের জন্য প্রযোজ্য এমন তথ্যভাণ্ডারের সাথে মেয়েদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া বা তাদের জন্য অবাধ তথ্যের সুযোগ করে দেওয়া।
আর দ্বিতীয় লক্ষ্য বাংলাদেশে এমন একটি ফোরাম তৈরি করা যেখানে মেয়েরা তাদের অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নিতে পারবে অন্যদের সাথে, বিশেষ করে তাদের কথা সবার সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা।
মেয়েদের স্বাস্থ্যই শুধু নয়, শিশু স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর অধিকার, সামাজিক বৈষম্য, অসঙ্গতি এসবই আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করছি এই মায়া কথায়। আশা করছি, মায়া কথা হবে আমার-আপনার নি:শ্বাস ফেলার একটি জায়গা। আমাদের এই ব্লগে মেয়েদের যেকোনো ইস্যুকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। সেইসঙ্গে চাইবো, যেন আমরা সবাই যেকোনো ইস্যুতে খোলা মন নিয়ে কথা বলতে পারি।
কথায় আছে, মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না- আমরা এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।
আসুন আমরা কথা বলি, সমাজের-পরিবারের অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরি এই প্ল্যাটফর্মে- সবার সামনে। সাহসী হই। মনে রাখতে হবে- আমরা অনন্য মানুষ, আমাদের আত্মিক ক্ষমতা অসীম। নিজের ভেতরের সেই শক্তিকে আজ জাগিয়ে তোলার সময় এসেছে।
সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের সামনে। পিছনে ফেরার সময় যে আর নেই।
আমাদের এই অনন্য যাত্রায় আপনিও শামিল হোন- জয় আমাদের হবেই। ...সন্তান লালন-পালন করা রীতিমতো দানবিক দায়িত্ব। জন্ম দিলাম তো ওরা বড় হয়ে যাবে এমনি এমনি, এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই।
অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে তবেই না একটি সন্তান বড় হতে থাকে। তবে সন্তানের সবচেয়ে বেশি জানান দেয় যে বয়স, সেটি হলো কৈশোর বা টিনএজ। প্রায় প্রতিটি বাবা-মাকেই নাকানিচুবানি খেতে হয় এই বয়সী ছেলেমেয়েদের নিয়ে। কথা শোনে না, পড়ে না, সময়মতো খায় না, সারাক্ষণ খেলাধুলা অথবা ইন্টারনেটে পড়ে থাকে। কিছু বললেই খেকিয়ে উঠে।
ভালভাবে কথা বলে না, উত্তরও দেয় না। বাবা-মায়েরা এ নিয়ে পাগল হয়ে ঘুরে বেড়ান। সন্তানকে নিয়ে যান কাউন্সিলিংয়ের জন্য, শরণান্ন হন মনস্ত্বত্ত্ববিদের, মুরুব্বীদের, কিছুতেই কিছু হয় না।
আমাদের ভুলটা তখনই হয়, যখন আমরা সব বাচ্চাকে এক কাতারে ফেলে দিই। আসলে সবাই আলাদা।
কাজেই তাদের প্রতি আচরণই তাই স্বাভাবিক নিয়মেই আলাদা হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা সেটা করি না বলেই সমস্যার আবর্তে ঘুরপাক খাই।
আপনি নিজেও কি এই সমস্যায় আছেন? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।