inside you're ugly ugly like me নোয়াখালীর একটা ছোট্ট ভার্সিটি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত পরশুদিন সমকাল পত্রিকায় ভিসির দুর্নিতী নিয়ে একটা সংবাদ প্রকাশিত হবার পর থেকেই ক্যাম্পাসে গরম অবস্থা বিরাজমান। এমন না যে শুধু ভিসি সাহেবই দুর্নিতী করেন। অনেক টিচারও ভিসির দুর্নিতীতে সহযোগীতা করে থাকেন। আজকে দেখলাম সকল শিক্ষক কর্মকর্তা এবং কিছু ছাত্র মানববন্ধন করেছে ভিসির বিপক্ষের খবরের প্রতিবাদ জানাতে।
অবশ্যই ভাল উদ্যোগ মিথ্যা খবরের প্রতিবাদ জানানো উচিত। কিন্তু তার সাথে এও খেয়াল রাখা উচিত যা কিছু রটে তার কিছু না কিছুতো বটেই।
ছোট্ট একটা তুলনামূলক উদাহরন দিতে ইচ্ছা হলো। আজ থেকে দুই বছর আগে একটা পরীক্ষায় এক ছাত্র নকলে ধরা পড়ে সেমিস্টার ফাইনাল এক্সামে। নকল তার সাথে ছিল না।
বাথরূমে শিট রাখা ছিল ঐখানে দেখতে গিয়ে ধরা পড়ে ছেলেটা। সাথে সাথেই তাকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এবং ঐ দিন পরীক্ষার হল থেকে বের হয়েই আমরা নোটিশবোর্ডে তার বহিষ্কার নোটিশ দেখতে পাই।
দুই বছর পরে আজকের ঘটনা, এই ভিসির আমলে যা হয়েছে। একটা ছেলে সেমিস্টার ফাইনাল এক্সামে নকল করতে গিয়ে ধরা খায়।
টিচার তার খাতা নিয়ে যায় এবং পাচ মিনিট পরেই ছেলেটা টিচারকে গিয়ে বলে আমার খাতাটা ফেরত দেন তা না হলে সমস্যা হবে। এরই মধ্যে টিচারের কাছে একটা ফোন আসে এবং খাতাটা ছাত্রকে ফেরত দিতে বলা হয়। টিচার শুকনো মুখে খাতাটা ফেরত দিয়ে দেয়।
আমি ছোট্ট একটা উদাহরন দিলাম। এটাকে যদি কেউ ভিসির দুর্নিতীর সাথে, ছাত্ররাজনিতী বৈধতার সাথে গুলিয়ে ফেলে তবে তাকে দোষ দেয়া যায় না।
যেমনিভাবে আমিও নির্দোষ। আমি জানি না জানতেও চাই না অন্য ভার্সিটিতে কি হয়। আমি শুধু বলতে চাই এখনো ভার্সিটিটা নতুন এখনো এখানে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই। আর এই সময়েই যদি এমন নগ্নভাবে পলিটিক্স ওপেন হয় তাহলে এখান থেকে ভাল কিছু চাওয়ার আশা করা বোকার স্বর্গে বাস করার শামিল হবে।
পরিশেষে শুধু একটা কথা বলতে চাই আমাদের ডিপার্টমেন্টের এক স্যারের মতন করে , যে মাছের মাথায় পচন ধরে সেই মাছকে বাচাইয়া রাখা যায় না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।