(ডিসক্লেইমারঃ শাইখ মুহাইসিনি সম্পর্কে অধিকাংশ ওয়েব সাইট এবং ইউটিউবে বক্তব্য এসেছে যে তিনি মসজিদুল হারামের খতিব ছিলেন এবং ১৪২২ হিজরীর রমজানে সেখানে এই আবেগঘন মুনাজাত দিয়েছিলেন, যার ফলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সম্পর্কে নেটে আমার প্রাপ্ত সকল তথ্যই এরকম। তবে সম্ভবত সৌদী প্রবাসী একজন মুসলিম ভাই এ সম্পর্কিত একটি লিংক দিয়েছেন এবং বলেছেন তিনি মসজিদুল হারামে নন, বরং মক্কার অন্য একটি খুতবা দেন। তাঁর বক্তব্যের জন্য চাকরী চলে গেলেও তিনি বেঁচে আছেন এবং এখনও সক্রিয় আছেন। এ সংক্রান্ত লিংকটি হলো http://almohisni.com/site/en/home।
লিংকে উল্লেখিত শাইখ ও ইউটিউব ভিডিওর শাইখ একই ব্যক্তি কিনা আমি নিশ্চিত নই। তবুও এর প্রেক্ষিতে পোস্টটি আমি এডিট করে দিচ্ছি। আল্লাহ্ ক্ষমা করুন, ভুল হলে এর দায় শুধু আমারই। )
শাইখ মুহাইসিনিকে আপনি চেনেন কি?
তিনি ছিলেন মক্কায় একটি মসজিদের খতিব। চমৎকার কন্ঠ্যের অধিকারী আর জ্ঞানেও অগ্রগামী।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আর সম্মানের প্রোটোকল ছিলো তার জন্য। আজ থেকে ১১ বছর আগে ১৪২২ হিজরী সাল। তারাবীর সালাতের পর বিতর সালাতে দোয়া করছেন মুহাইসিনি। দোয়ার এক পর্যায়ে ভেঙে ফেললেন সৌদী সরকারের বেঁধে দেয়া গোপন শর্ত। দোয়া করতে শুরু করলেন আল্লাহর পথে লড়াইরত ভাইদের জন্য।
ধীরে ধীরে এলো আমেরিকা, ইয়াহুদী, সম্মিলিত কাফির বাহিনী আর নির্যাতিত মুসলিম জনপদের প্রসঙ্গ। মসজিদের স্তম্ভগুলো যেনো কেঁপে কেঁপে উঠলো। উপস্থিত মুসলিমদের আবেগ বাঁধ ভাংলো। উপস্থিত জনতা সেই কথাগুলো, আল্লাহর কাছে করা সেই দোয়াগুলো শুনতে পেলো, যা সকলের মনের গহীনে যেন গভীর ক্ষত তৈরী করে রেখেছে। রাষ্ট্রীয় খড়গের জন্য নিষিদ্ধ সেই কথাগুলো শুনে কেউ তাদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না।
দীর্ঘদিন পর মক্কা দেখলো এমন একটি লোক, যে শাসক গোষ্ঠীর কাউকে পরোয়া না করে আল্লাহর কাছে চাইছে (এবং সেদিনের পর থেকে আজ পর্যন্ত কেউ আর ওভাবে বলতে পারেনি)।
শাইখ মুহাইসিনি জানতেন এ দোয়া করার পর তাঁর পরিণতি হয়তো ভালো হবেনা। চাকরীর ভয় না করে তিনি এই আবেগঘন মুনাজাত দেন। ফলশ্রুতিতে চাকুরী হারান তিনি।
আল্লাহ্ তাঁর সহায় হোন।
তাঁর সকল ত্রুটি তিনি ক্ষমা করে দিন। তাঁর কন্ঠ্যস্বর যেন রুদ্ধ না হয় সেই ব্যবস্থা তিনি করুন।
ইউটিউবে ইংরেজি সাব টাইটেল সহ তাঁর দুআটি দেখতে পাবেন এই লিংকে।
(এই দোয়াটি দেখে আমার মনে হয়েছে আল্লাহ্ কি তাঁর এই দোয়া কবুল করেননি? পরবর্তিতে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জানতে পারলাম-নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মুমিনদের এমন দুআ ফিরিয়ে দেননি, দেননা এবং দিবেন না। কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।