আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

Google Earth এ মক্কার উজ্জ্বলতার কারন অলৌকিকতা নয়ঃ দয়া করে ধর্মান্ধ হয়ে ইসলামের ক্ষতি করবেন না!

ব্যস্ত শহর ঠাঁস বুনটের ভিরে আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে........

ইসলামের পবিত্র স্থান মক্কা মদীনা নিজ মহীমাতেই সম্মানিত স্থান,তার সম্মান বৃদ্ধি করতে মিথ্যাচারের কোন প্রয়োজন নেই। সৃষ্টি কর্তার ক্ষমতা প্রমানের জন্য কোন জড় বস্তুর সাহায্য নিয়ে স্রষ্টাকে ছোট করার কোন প্রয়োজনও নেই। ধর্ম ভীরু হোন কিন্তু ধর্মান্ধতা না প্রদর্শনই নিজ ধর্মের জন্য মঙ্গল জনক। গুগুল আর্থ দিয়ে মক্কা আর মদীনাকে পৃথিবির উজ্জ্বলতম অলৌকিক স্থান হিসাবে দাবী করার আগে একবার ভাবা উচিত এটা দিয়ে কতটা ছোট করছি নিজ ধর্মকে। কারন মিথ্যাচার আথবা অজ্ঞানতার কারনে অযাচিত ভাবে বিজ্ঞানকে ভুল ভাবে ব্যবহার করে নিজ ধর্মের মহীমা ছড়াতে গেলে সেটি প্রকারান্তে নিজ ধর্মকে অন্যদের কাছে ছোটই করে।

আসুন ব্যাপারটা দেখি, এই হলো গুগুল আর্থ দিয়ে মক্কার ছবি,এই ছবিটি ৫০০০ ফুট উপর থেকে নেয়া। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দৃশ্যত এটিকে পৃথিবির উওজ্জ্বলতম স্থাপনা বলেই মনে হবে! কিন্তু এই অভিজ্ঞতার সাথে কেউ যদি এটা জড়িয়ে দেয় যে এটি আল্লাহর অশেষরহমত,অলৌকিক ব্যাপার!!! সেই ব্যাপারটিই ব্লগে ঘটেছে,শুধু তাই নয় ইন্টারনেটে অনেক ইসলামিক সাইট এর সাথে এটাও দাবী করে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদ থেকে একমাত্র মক্কাকে দেখতে সমর্থ হয়েছে,যা ছিল উজ্জ্বলতম স্থাপনা!!! যাক আসুন এবার আরো একটি ছবি দেখি!এটি তাজমহল!!! আমরা জানি মক্কা শরীফ দামী সাদা মার্বেল দিয়ে যেমন তৈরী তেমনি তাজমহল মার্বেল স্থাপনা। এটি হলো তাজমহলের ৫০০০ ফুট উপর থেকে তুলা ছবি। স্বাভাবিক চোখ তো অবশ্যই মক্কা শরীফকে উজ্জ্বল বলেই প্রমান করবে!আর সেই অলৌকিক দাবীকে সমর্থন যোগাবে!আসলেই কি তাই???? এবার আসুন ভিতরের কাহীনিঃ আলোর নিয়ম অনুসারে কোন বস্তুর উপর আলো পরলে তা থেকে যদি আলো প্রতিফলিত হয় তবেই সেই বস্তুকে দেখা যাক,যা থেকে যত বেশি আলো নিসৃঃত হবে তাকে তত উজ্জ্বল দেখাবে। এবার এই ছবিটি দেখুন,যা খুব কাছ থেকে নেয়া মক্কা শরীফের ছবি!কি দেখছেন লাল মার্ক করা স্থানে? মিনারের ছায়া।

তার মানে আলো এসে পরেছে সাদা মার্বেলের উপর তা থেকে প্রতিফলিত হচ্ছে আলো,কিন্তু যেখানে ছায়া পরেছে সেই স্থানটি কিন্তু ইউজ্জ্বল দেখাচ্ছে না!কিংবা যেখানে মার্বেল পাথর নেই সেই স্থানটিও না। এবার তাজমহলের ছবি খুব কাছ থেকে দেখুন,এবার অনেক উজ্জ্বল আগের তুলনায়!কারন কাছ থেকে নেয়া!আর এতেও ছায়া দেখুন। গুগুলের আর্থের আরেকটি টুলস রোলার দিয়ে আসুন এবার সাইজ় মাপি, মক্কা শরীফের মার্বেল আবৃত স্থান প্রায় ০.৬৯ কিমি আর প্রস্থ ০.৩৩ কিমি মানে ক্ষেত্র ফল প্রায় ০.২২৭৭ বর্গ কিমি। আর তাজ মহলের মুল স্থাপনা ০.০১ x ০.০১ =০.০০০১ বর্গ কিমি!!! তার মানে প্রায় ২২৭৭ গুন বড় ক্ষেত্র ফল হচ্ছে মক্কার মার্বেল আবৃত স্থান! আর এর জন্যই তাকে এত উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে। যদি অন্ধকার অমাবশ্যার রাতে,সব আলো নিভিয়ে দেয়ার পর ছবি নিন তবে তাতে আর এই অলৌকিকতার খুঁজ পাবেননা।

আর নীল আর্ম স্ট্রং নিয়ে তো কম মজার জোক্স ধর্ম ব্যবসায়ীরা বলেনি,যাক যদি সত্যই নীল আর্ম স্টড়ং চাঁদে বসে মক্কাকে দেখতে পান তার পরেও অবাক হবার কিছু নেই!!!! ১) তখন নির্ঘাত মক্কার মত এত বড় আয়তনের স্থাপনার আলো নিভে ছিল না ২) চাঁদ থেকে দেখা পাওউয়া মানে তখন চাঁদের আলো পৃথিবিতেও আসছিল! (এবার এভারেস্টের বিস্তৃত বরফ রাশির ছবি দেখুন!! সাড়ে ছয় লক্ষ ফুট( ১২৩ মাইল উপর থেকেউ কি উজ্জ্বল!!! যার বরফ আবৃত স্থানের দৈর্ঘ ছবিতে ২৫৫ কিমির মত) সব শেষে বলতে চাই, দু দিন পর পর এই ভন্ড পীর ঐ ভন্ড নবীর ছবি চাদের বুকে দেখা যায়!ইন্টারেটের কল্যানে ঐসকল দাবীর সাথে সবাই পরিচিত। আমাদের নিজের ধর্মকে যদি আমরা সত্যই বিশ্বাস করি দয় করে ইসলামকে ঐ পর্যায়ে নামাবেন না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.