মাগরীবের আযান পরবে একটু পরে। তড়িঘরি করে ঘাটে নেমে পরল আজিমউদ্দীন। না এ বেলায় মাছ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার- ভাবতে ভাবতে জালের প্রথম খোপ মারলেন তিনি। তাজ্জব ব্যাপার- প্রথম খোপে বড় মাছ পরল। ও তাসির মা জালখান ধর দেখি- এ বলে পুকুরে ঝাপ দিল আজিমউদ্দীন।
তাসি বড় মাছ পরছে, রুই নাকি আব্বা- বলে উঠলেন রাবেয়া। তাসির খুশি দেখে কে।
দাদা আর নাতি ২ সের এর মত একটা রুই নিয়ে ঘরে ফিরল। এ যেন যুদ্ধজয়।
পিছবারান্দায় কাজ করছে মরিয়ম।
আচ্ছা মা, আব্বা কি দিন দিন আরো ছোট হয়তাছে নি। এই সময় কেউ পরইত না মে নি কও ত। এই বলে ঠোটে রাগ দেখিয়ে উঠানে পা বাড়াল জসিম। বাড়ির এই মেঝ ছেলেটা থাকে শহরে। বক্সিরহাটে সুতার দোকান।
শহরে শশুরবাড়ির নিচতলায় থাকে সে।
এই বুড়া মানুষটারে লই কৈ যাইতাম, হের লগে জুটছে এই পাজি নাতিটা।
রাগে গড়গড় করে উঠল মরিয়ম বিবি। আরে দেখো দেখো এই নাতি কী লইয়া আইছে দেখ তোমার লাই-বললেন আজিমউদ্দীন।
মসজিদে আযান পড়ছে মাগরীবের।
লুঙ্গী পাল্টিয়ে আজিমউদ্দীন চললেন মসজিদের পথে। আর ভাবতে লাগলেন অনেকদিনের পরিচিত দিনগুলো আজ এক পলকে পাল্টে দিল দস্যি নাতিটা। এযেন পুকুরের স্থির পানিতে ছোট্ট ছেলের মারা খেয়ালি এক ঢিল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।