অদ্ভুত পৃথিবী এক পুরুষ সাংসদকে নগ্ন করে এক নগ্ন নারীর সঙ্গে ভিডিওচিত্র তুলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ অভিযোগে পুলিশ তিন নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মেহেরুন্নেছা (৫০), শাহনাজ জামান ওরফে জুঁই (৪২), কোহিনূর আক্তার ওরফে বৃষ্টি (২০), সোহরাব হোসেন (৩৮) ও আসাদুজ্জামান (৩২)।
আজ রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, গত ১৬ মে গুলশানে সাংসদের মালিকানাধীন ভবনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সাংসদের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ঢুকে সুযোগ বুঝে দরজা বন্ধ করে সাংসদকে জিম্মি করে ফেলেন।
এ সময় গ্রেপ্তার এক নারী বিবস্ত্র হয়ে সাংসদের পাশে দাঁড়ান। চক্রের বাকি সদস্যরা সাংসদকেও বিবস্ত্র হতে বাধ্য করেন। ওই অবস্থার ভিডিওচিত্র ধারণ করেন তাঁরা। এরপর ভিডিওচিত্রটি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবেই তাঁর কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হলে সাংসদ তখনই ১৮ লাখ টাকা দেন। পরে তাঁরা আরও দুই কোটি টাকা দাবি করলে বিষয়টি জানতে পারে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গতকাল শনিবার রাতে ডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবদুল আহাদের নেতৃত্বে একটি দল ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই সাংসদ প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, একটি কাগজে সই করার কথা বলে তাঁর কাছে আসেন তাঁরা। এরপর আরও কয়েকজন ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। রিভলবার দেখিয়ে তাঁদের কথামতো কাজ করতে বাধ্য করেন তাঁরা। এরপর ফুটেজ ছড়িয়ে দেখার ভয় দেখিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে টাকা দাবি করলে তিনি নগদ কিছু টাকা দিয়ে তাঁদের বিদায় করেন।
ডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবদুল আহাদ প্রথম আলো ডটকমের কাছে দাবি করেন, গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা আরও কয়েকজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিকে এভাবে জিম্মি করে টাকা আদায় করেছেন। পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে ভিডিওচিত্রসহ পেনড্রাইভ, ভিডিও ক্যামেরা উদ্ধার করেছে।
ডিবি সূত্র জানায়, আজ রোববার আদালত তাঁদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন
সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।