আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিরোজপুরে আ.লীগের সাংসদকে ধাওয়া

পিরোজপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ অধ্যক্ষ শাহ আলম এলাকায় গণসংযোগ করতে গিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা তাঁকে ধাওয়া করেন। তাঁর সমর্থক ২০-২৫ জন কর্মী হামলার শিকার হন। আজ বুধবার পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠি বন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

শাহ আলমের ব্যক্তিগত সহকারী আ. ছালাম জানান, সাংসদ শাহ আলমের শ্রীরামকাঠি বন্দরে পূর্বনির্ধারিত গণসংযোগ কর্মসূচি ছিল।

এ জন্য তিনি বেলা ১১টার দিকে ২০-২৫টি ট্রলারে করে বিশাল কর্মী বাহিনী নিয়ে শ্রীরামকাঠিতে যান। সেখানে গিয়ে সাংসদের বহরে থাকা দু-তিনটি ট্রলারের লোকজন শ্রীরামকাঠি বন্দরে ওঠেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সাংসদ ও তাঁর সমর্থকেরা বন্দরে এলে কৃষক লীগের নেতা আলতাফ বেপারী, নাজিরপুর থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোকন কাজী, যুবলীগের নেতা গোপাল স্বর্ণকার, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হাসান ও সাধারণ সম্পাদক সুমন হাওলাদারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী সাংসদ ও তাঁর সমর্থকদের ধাওয়া দেয়। তাদের ধাওয়া খেয়ে সাংসদ ও তাঁর কর্মীরা বিভিন্ন দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে আশ্রয় নেন। এ সময় হামলাকারীরা ট্রলারে থাকা বাকি লোকজনের ওপর বৃষ্টির মতো ইট নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনার পর সাংসদ শাহ আলম স্বরূপকাঠি উপজেলার ভরতকাঠি এলাকায় তাত্ক্ষণিক সংবাদ সমেঞ্চলন করেন। তিনি এ হামলার জন্য কৃষক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেন।

সাংসদ অভিযোগ করেন, তিনি শ্রীরামকাঠি বন্দরে গেলে বেশ কয়েকজন যুবক এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, কার অনুমতি নিয়ে তিনি এখানে এসেছেন। এরপর তাঁরা তাঁকে ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। হামলায় তাঁর সঙ্গে থাকা পঙ্কজ মণ্ডল নামে এক স্কুলশিক্ষকসহ ২৫ জন আহত হন।

তবে নাজিরপুর থানার ওসি আ. খালেক হাওলাদার বলেন, ‘সাংসদ শাহ আলমের শ্রীরামকাঠি আসার খবরে আমি সেখানে চারজন পুলিশ পাঠিয়েছি। তিনি প্রায় ৫০০ লোক নিয়ে শ্রীরামকাঠি আসেন। এদিন স্থানীয় হাটের দিন থাকায় বন্দরের লোকজন সাংসদের সঙ্গে থাকা লোকজনকে বাজারে উঠতে নিষেধ করেন। এ সময় সাংসদকে লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ’

সাংসদ ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন হাওলাদার বলেন, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।

নির্বাচন কমিশন পিরোজপুরের দুটি আসন পুনর্বিন্যাস করেছে। এর আগে পিরোজপুর-১ আসন ছিল পিরোজপুর, জিয়ানগর ও নাজিরপুর উপজেলা নিয়ে। আর পিরোজপুর-২ আসন ছিল ভান্ডারিয়া, কাউখালী ও স্বরূপকাঠি উপজেলা নিয়ে। পুনর্বিন্যাসিত আসনে পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে স্বরূপকাঠিকে যুক্ত করা হয়েছে। আর জিয়ানগর উপজেলাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

সাংসদ শাহ আলমের বাড়ি স্বরূপকাঠির মিয়ারহাট এলাকায়। তিনি আগামী নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানিয়েছেন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.