উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের আহত আব্দুল ওয়াহেদকে (৬৫) সোমবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাবাকে পেটানোর পর থেকে পলাতক আছেন বুলবুল হোসেন (২৫), ঢিল ছোড়ার জন্য যাকে সন্দেহ করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
সোমবার রাতে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা উপজেলার ধোপাপাড়া বাজারে গণসংযোগ করছিলেন।
তিনি একটি দোকানের বারান্দায় বসে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে কথা বলছিলেন।
ওই সময় ওই বারান্দার টিনের চালায় দুটি ইটের ঢিল এসে পড়ে।
এ ঘটনার পর পরই সাংসদ ওয়াদুদ দারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনাটি স্থানীয় যুবক বুলবুল হোসেন ঘটাতে পারে- এ সন্দেহে ধোপাপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল্লাহর (ঝাটু কসাই) নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাকে খুঁজতে থাকেন।
রামেক হাসপাতালে ছয় নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ওয়াহেদ জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ বাড়ি আসে। তখন বুলবুল ভাত খাচ্ছিল।
পুলিশ না ধরে ফিরে যায়।
“তার কিছু পরেই আওয়ামী লীগের লোকজন বাড়ি আসে। ছেলে তখন বাইরে চলে যায়। তারা এসে আমাকে পায়। আমি তখন ভাত খাচ্ছিলাম।
ভাতের থালার পাশ থেকে তুলে এনে আমাকে পাইপ ও লোহার রড দিয়ে পেটায় ঝাটু কসাই ও তার সঙ্গীরা। ”
পরে গ্রামবাসী ওয়াহেদকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
রামেক ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্টার আ. ম. রনি জানান, ওয়াহেদকে রড দিয়ে পিটানো হয়েছে। কোমড়ে তিনি বেশি আঘাত পেয়েছেন। চিকিৎসা চলছে।
দু-তিন দিন পর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।
পুঠিয়া থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, ঘটনার পর পরই তিনি বুলবুলের বাড়ি যান। বুলবুল তখন ভাত খাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে তাকে সন্দেহভাজন মনে না হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ধোপাপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল্লাহ ওরফে ঝাটু কসাই বলেন, “সাংসদের গায়ে ঢিল লাগেনি, কিন্তু যদি লাগত? সাংসদকে ঢিল ছোড়ায় ধোপাপাড়া গ্রামের মানুষের ইজ্জত গেছে।
”
“ওরা এই এলাকার সন্ত্রাসী। এ জন্য ওদের দিয়েছি। এতে বিএনপিও খুশি, আওয়ামী লীগও খুশি। ওর ছেলে এখনো বাড়িতে ঢুকতে পারেনি। ঢুকলে আবার দিব।
”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।