আমি ভাইরাস
একমাত্র স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিমকে ‘বনদস্যু’ হিসেবে আখ্যায়িত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের দেওয়া বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করেছেন স্পিকার আবদুল হামিদ। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয় সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেছেন ফজলুল আজিম। কয়েক মিনিট পর তিনি আবার সংসদে ফিরে আসেন।
আজ সোমবার সংসদে ২০১০-১১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় ফজলুল আজিম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের সমালোচনা করেন। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা হাতিয়ায় বনদস্যুদের উত্পাত এবং নোয়াখালীর পুলিশ সুপারের (এসপি) বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় সমালোচনা করেন।
এর জবাবে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেন, ‘এই সংসদ সদস্যের চরিত্র সম্পর্কে কী বলব, গত জোট সরকারের আমলে তিনি ৪০০ বনদস্যু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি নিজেও একজন বনদস্যু। এখন সংসদে এসে বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের সমালোচনা করছেন। ’
মন্ত্রীর বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ফজলুল আজিম প্রতিবাদ জানাতে ফ্লোর চাইলেও স্পিকার তাঁকে ফ্লোর না দিয়ে নিজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করেন। তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি বলেছেন, মাননীয় সংসদ সদস্য বনদস্যু হত্যা করেছেন, আবার বলেছেন তিনি নিজেই বনদস্যু।
তা তো হতে পারে না। ’
এদিকে স্পিকারের বক্তব্যের আগেই সংসদ থেকে ওয়াকআউট করেন ফজলুল আজিম। পরে ফিরে এসে অন্য ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় বলেন, ‘আমার শিক্ষা ও পারিবারিক ঐতিহ্য কী, তা দেখেন। আমি যদি বনদস্যু হই, তাহলে এই ৩০০ সংসদ সদস্য কী? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে সকল সংসদ সদস্যকেই অপমান করা হয়েছে। ’ এ সময় স্পিকার বলেন, ‘মন্ত্রীর বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা হয়েছে।
’
.........................
আওয়ামীলীগকে ডুবানোর জন্য সরাষ্টমন্ত্রী এবং আইন প্রতিমন্ত্রীই যথেষ্ঠ। বিএনপির দরকার হবে না। উনা থাকতে বিএনপি কেন যে হরতাল ডাকে বুঝি না। অপেক্ষা করেন আর আল্লার কাছে দোয়া করেন যেন মন্ত্রী পরিষদে কোন রদ বদল না হয়। তাইলেই আপনাদের আশাপূরণ হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।