খবরে ধান্দাবাজি গ্রীষ্মের ছুটি। ক্যাম্পাস থেকে সবাই চলে যাচ্ছে। রুমমেট রাকিব বললো, ‘চল আমার সঙ্গে। ’ আমার মনটা ভালো নাই। বাড়ী যেতে ইচ্ছে করলো না।
গেলাম ওর সঙ্গে।
চলন বিলের প্রত্যন্ত গ্রামে ওদের বাড়ী। শহর থেকে যত দূরে যাচ্ছি যানজট থেকে মুক্তির স্বাদ পাচ্ছি। ঢাকা থেকে গাজীপুর, টাঙ্গাইল পাড় হওয়ার পর যমুনা সেতু। সেতুর দুই পাড়ে প্রচুর গাছগাছালি।
পূর্ব পাড়ে যমুনা রিসোর্ট আর পশ্চিম পাড়ে পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। সবুজের এমন সমারোহ দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যায়। এই প্রথম যমুনা সেতু দেখা। সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি যখন যাচ্ছিল, ভাবছিলাম সেই সব দিনের কথা। মানুষ যখন নৌকা, লঞ্চ, স্টিমারে নদী পার হতো।
সেই যন্ত্রণা থেকে এই অঞ্চলের মানুষকে সেতুটি যোগাযোগ অনেক সহজ করে দিয়েছে। সেতু পার হলেই সিরাজগঞ্জ। সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা জেলার অনেকটা অংশ জুড়ে এই চলন বিল। অনেক বড় এলাকা। শুকনা মৌসুমে ধান চাষ হয়।
দেশের বড় একটা মাছের আধার। এছাড়া রয়েছে প্রচুর পাখি। সিরাজগঞ্জের একেবারে পশ্চিম-উত্তরে এই বিল।
আমরা যখন গ্রামে গিয়া পৌঁছলাম। তখন সূর্য ডুবে পশ্চিম আকাশ লাল হয়েছে।
চারপাশ কেমন হলুদ হলুদ রঙ ধারণ করে আছে। একেবারে আলো বা একেবারে অন্ধকার নয়। গাছাগাছালির মধ্য দিয়ে হাঁটছি। নানা রকম পাখির ডাক শোনা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে।
সে এক অদ্ভুদ মুহূর্ত। গ্রামে না এলে এমন দৃশ্য দেখতেই পারতাম না।
সড়ক পেরিয়ে কাঁচা রাস্তা। রাস্তা কিছুটা পেরোলে গ্রাম শুরু। বলা যায়, গ্রামের মাঝখান দিয়ে রাস্তাটি গেছে।
দুই পাশে আম, সুপারি, নারকেল গাছের সারি। গাছের ফাঁকে ফাঁকে টিন অথবা শোলার বেড়া দেওয়া ঘর দেখা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে দুই-একটা পুকুরও দেখা গেল। গ্রামের এই অংশটা পার হলে একটু ফাঁকা জায়গা। রাস্তা পার হলে আবার বসতি।
এই বসতিগুলো উঁচুতে। মাটি ফেলে অনেকটা উঁচু করে তারপর ঘর-দোর তোলা হয়েছে। বন্ধু বললো, ‘আমরা চলে এসেছি। ’ এটাই ওদের এলাকা। এখানে প্রায় সবাই তার আত্মীয়-স্বজন।
দুই তিনটা বাড়ি পার হওয়ার পর বিশাল একটা পুকুর দেখলাম। পুকুরের পাড়ে ইটের দেওয়াল ঘেরা ছোটো একটা বাড়ি। এই বাড়িটিই ওদের। বাড়িতে সব মিলে ঘর তিনটি। একটিতে ওর মা-বাবা থাকে।
একটিতে ও থাকে। আরেকটি খালি পড়ে থাকে। ওর কোনো ভাই-বোন নাই। আমরা গিয়ে ওর ঘরে উঠলাম। অজপাড়া গায়ে ইটের পাকা বাড়ি দেখে কিছুটা বিস্মিত হলাম।
বাড়ির মধ্যে ছোটো একটা উঠান। উঠানের এক পাশে ডালিম গাছ। আরেক পাশে পেয়ারা গাছ। পাকা টয়লেট। পাকা কলপাড়।
আশপাশের কোনো বাড়িতে ইলেকট্রিসিটি নেই। কিন্তু এ বাড়িতে আছে। এসব দেখে আশ্চর্য হচ্ছি। অন্য ঘরটিতে একটি মোটর সাইকেল দেখা গেল। টিভিও চলছে।
ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেয়ে বুঝলাম ফ্রিজও আছে। বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘মোটর সাইকেল কার?’
ও জানালো, ‘বাবার। ’
‘তোর বাবা কী করে রে?’
‘কবিরাজি করেন। ’
‘বলিস কি! কবিরাজি করে এতো টাকা আয় করা যায়?’
ও বললো, ‘সামনে যে পুকুরটা দেখলি ওটি আমাদের। মাঠে জমি আছে।
চাল কিনতে হয় না। বাড়ির পিছনে ছোটো আরেকটা পুকুর আছে। ওই পুকুরের মাছ আমরা খাই। সামনেরটা লীজ দেওয়া। ’ এসব শুনে আমি আর কিছু বললাম না।
রাতের খাবার খেয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরদিন ভোরে ঘুম ভেঙে গেল। বন্ধুকে না জাগিয়ে গেট খুলে বাইরে গেলাম। বাইরে এসে দেখি, বাড়ির অন্য এক পাশে ছোটো একটা দরজা। এই দরজাটা খোলা।
ভিতরে একটা বেঞ্চি। বেঞ্চির ওপর একটা মশারি। নিচে গমের খড় বিছানো। প্রচুর বিড়ি-সিগারেটের খোসা। ঘরের ভিতর থেকে তামাকের কড়া গন্ধ নাকে এসে লাগলো।
আমি পুকুর পাড় হয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। পুকুরের ডান পাড়ে লাউ গাছের মাচা দেখা যাচ্ছে। মাচার আড়ালে একটা ছোটো ঘর। কেমন ভুতুড়ে মনে হচ্ছে। ওউ বাড়িতে বোধ হয় তেমন কেউ থাকে না।
ওদিকে না গিয়ে আমি উল্টো দিকে হাঁটা ধরলাম। সামনে ছোটো একটা ফসলের মাঠ। মাঠ শেষ হলে আবার বসতি। বসতিগুলো পাওয়ার আগে ছোটো একটা খাল। খালে কোমর পানি।
সেই ভোরে গ্রামের নারী-পুরুষ মিলে-মিশে মাছ ধরছে। হাতিয়ে, কোচ-যুঁতি দিয়ে, কাঁচি দিয়ে, ছোটো জাল দিয়ে, বাঁশের খুপড়ি দিয়ে মাছ ধরছে। কেউ কাঁদা দিয়ে বান্ধা দিয়ে পানি সেচছে। পানিটা ফেলা হচ্ছে জালের মধ্যে। যাতে পানির সাথে মাছ চলে না যায়।
জালের মধ্যে পুঁটি, খলসে, টাকি, বাইলা মাছ দেখা গেল। প্রচুর বক দেখলাম। সুযোগ পেলেই মাছ ধরে নিয়ে খাচেছ। আর আছে হাঁস। বড় বড় হাঁস।
হাঁসের গলা দেখতে সবচেয়ে সুন্দর, কোমল। তবে হাঁসগুলোকে লোকজন পানিতে নামতে দিচ্ছে না। আমি খালটা পার হয়ে গ্রামে ঢুকবো এমন সময় পেছন থেকে বন্ধুর গলা শুনতে পেলাম। ও আমার নাম ধরে ডাকছে। দেখলাম, ও ক্লান্ত হয়ে গেছে।
অনেকটা রুষ্ট কণ্ঠে জানালো, ওকে না বলে আমি যেন কোথাও না যাই। গ্রামে কখন কোন বিপদ হয়। এছাড়া আছে ডাকাতের ভয়।
সকালে ওর মা-বাবার ঘরে গেলাম। যে-কোনো বাবা-মায়ের মতোই তারা।
আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য নেই। তবে ওর বাবাকে দেখে মোটেই কবিরাজ মনে হলো না। ভদ্রলোক গ্রামে থেকেও প্যান্ট-শার্ট পড়েন। মোটর সাইকেল চালান।
বিকেল বেলা গেলাম ফুটবল খেলতে।
আমার আসলে ফুটবল খেলতে ইচ্ছে করছিল না। বন্ধুকে বললাম, ‘তুই খেল, আমি দেখি। ’ বন্ধু খেললো। আমি দেখলাম। দু’একজন বয়ষ্ক মানুষ যারা খেলা দেখতে এসেছে তাদের সঙ্গে গল্প জমিয়ে দিলাম।
আমি আসলে আমার বন্ধুর পরিবারের অস্বাভাবিকতাটা জানতে চাচ্ছিলাম। একজনের সঙ্গে বেশ খাতির জমে গেল। নাম মনির। মনির চাচা বলে ডাকলাম। মনির চাচার কাছে যা জানলাম, তা শুনে আমি অবাক।
মনির চাচা জানালেন, রাকিবের বাবা ভন্ড কবিরাজ। আগে একটা বিয়ে করেছিল। সে বউটা মারা গেছে। রাকিব হলো দ্বিতীয় বউয়ের পোলা। আগের বউয়ের একটা পোলা আছে।
তাকে ত্যাজ্যপুত্র করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। মনির চাচা বললো, ‘এক রিটায়ার্ড আর্মি অফিসারকে মেয়ের জামাই বানাইছে। সেই লোকের কলেজ পড়ুয়া মাইয়ার লগে ফষ্টিনষ্টি করে। ’ আমি বললাম, ‘গ্রামের লোকজন কিছু বলে না। ’ উনি বললেন, ‘গ্রামের মাতবররা রাইতে তার গোলা ঘরে গিয়া জুয়া খেলে।
মদ-গাঁজা খায়। কেউ কিছু কয় না। সবাই জানে। ’
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে বন্ধুকে বললাম, ‘চল, ওই খালি ঘরটা ঘুরে আসি’। বন্ধু সন্দেহের চোখে তাকালো।
আমি বোকার মতো সরল হাসি দিলাম। ও বললো, ‘ঠিক আছে নিয়া যাইতে পারি। তবে একটা শর্ত আছে। ’ আমি জানতে চাইলাম, ‘কী শর্ত?’ ও বললো, ‘কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। ’ আমি রাজি হয়ে আবার বোকার মতো হাসলাম।
আমাকে নিয়ে গেল সেই ঘরটিতে। ঘরের মেঝে পাকা। অর্ধেক ওয়ালের উপর টিনের বেড়া। ভিতরটা অন্ধকার। ২০ ওয়াটের একটা বাল্ব লাগানো আছে।
ঘরে একটা খাট। একটা টেবিল। দুইটা বেঞ্চ। খাটে বিছানা করা। দুইটা বালিশ পাতা।
ঘরের মেঝেতে লাল রঙে ফনা তোলা সাপের ছবি আঁকা। আমি দেখে অবাক। হাঁ-করা সাপের দাঁত দেখা যাচ্ছে। লিকলিকে জিহ্বাটা দেখলেই ভয় লাগে। সাপের মুখের সামনে ছোটো একটা বাটি।
বাটিতে দুত-কলা দেওয়া। দেওয়ালের সঙ্গে হরিণের চামড়া ঝোলানো। একপাশে একটা দোনলা বন্দুক! বন্দুক দেখে কিছুটা ভয়ও পেলাম। ঘরে দুইটা জানালা। গাঢ় খয়েরি রঙের পর্দা।
জানালা সম্ভবত সবসময় বন্ধ থাকে। ঘরের দরজায়ও পর্দা লাগানো। অথচ অন্য কোনো ঘরে পর্দা নাই।
অনেকদিন পরে ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বন্দুকের ব্যপারে। ও বলেছিল, ‘বাবার পাখি শিকারের প্রচন্ড নেশা।
মাঝেমধ্যে ভোরে গিয়ে চলন বিল থেকে পাখি শিকার করে আনে। পাখির মাংস খুব সুস্বাদু। তুই গিয়ে যে পাখির মাংস খেয়েছিলি সেগুলো বাবার শিকার করা।
রাতে ওর বাবা বাসায় ফেরার পর একজন রোগী এলো। তরুণীর নতুন বিয়ে হয়েছে।
সমস্যাটা হলো জিহ্বা বের হয়ে থাকে। অনেকটা হিন্দুদের কালী দেবীর মতো। জিহ্বাটা দুই দিন আগে বের হয়েছে। আর ভিতরে যাচ্ছে না। দুই দাঁত দিয়ে পিষে জিহ্বার অবস্থা একেবারে কাহিল।
যত যাই বলা হোক বা করা হোক জিহ্বা ভিতরে নিচ্ছে না। কবিরাজ মশাই সব শুনে বিশেষ ঘরে বসালেন। বলা হলো, ঘন্টা খানেক পর চিকিৎসা শুরু হবে। আমি বন্ধুকে বললাম, ‘কী করা হবে রে?’ ও বললো, ‘ভুত হাজির করে চিকিৎসা করা হবে। ’ আমি বললাম, ‘আমি দেখবো।
’ ও বললো, ‘ঠিক আছে, দেখবি। ’
নির্ধারিত সময়ের আগেই আমরা গিয়ে ওই ঘরের খাটের ওপর বসলাম। গ্রামের আরো কয়েকজন নারী এলো। রোগীর দুই-তিন জন আত্মীয় তারাও ঘরের মধ্যে এলো। রোগীকে মেঝেতে সেই সাপের সামনে বসানো হয়েছে।
সে হাসছে। কবিরাজ এসে ঘরের দরজা বন্ধ করলেন। সবাইকে বললেন, ‘সবাই হাতের মুঠ খোলা রাখবেন। নারীরা খোঁপা ছেড়ে দিন। ’ তিনি লাইট নিভিয়ে দিলেন।
ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে মোম ধরালেন। মোমের আগুনে আগর বাতি ও ধূপ জ্বালালেন। সবাইকে বললেন, ‘চোখ বন্ধ করতে। ’ শুনেই আমার ভয় ধরে গেল। বন্ধু বললো, ‘ভয় নেই।
আমি তোকে ধরে আছি। চোখ বন্ধ কর। ’ আমি চোখ বন্ধ করলাম। শুরু হলো মন্ত্র পড়া। কবিরাজ গো গো শব্দে মন্ত্র পড়ছেন।
পাশের ঘরে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পেলাম। বন্দুক টিনের বেড়ার সঙ্গে ঠক ঠক করে গুতা খাচ্ছে। দরজায় কেউ ধাক্কা দিচ্ছে। একসময় দরজা খুলে গেল। কবরেজ মশাই নাকি সুরে কথা বলা শুরু করলেন।
অর্থাৎ তার ভুত হাজির। কিন্তু রোগীর ভুত কিছুতেই হাজির হচ্ছে না। কবরেজ মশায় বলছেন, ‘মা কালির কসম, মনসার কসম। আয়, আয়। ’ কিন্তু আসছে না।
শেষে শুকনা মরিচ পোড়ানো হলো। রোগী দুই-তিনবার কাশি দিল। তারপর শুরু হলো হাসি। হাসি শেষে রোগী নাকি সুরে কথা বলা শুরু করলো, ‘আমি ছোটোবেলা থিকা অর সাথে আছি। অর সাথেই আমি খাওয়া-দাওয়া করি।
অরে কতো কইছি, গরু খাবি না। ও তাও গরু খায়। গরু খাইলে সাত দিন আমি না খাইয়া থাকি। আমার কি কষ্ট অয় না! এইবার পাইছি। এইবার গরু খাওয়ার মজা বোঝ!’
কবিরাজের ভুত তাকে জিজ্ঞেস করলো, ‘তুই কোত্থিকা আইছস।
’
রোগী, ‘চলন বিল থিকা। আমার বাপ-মা আমারে ফালা দিছিল। মইরা ভুত হইছি। খালি খিদা লাগে। কি করমু।
অরে দেইখা ভালো লাগলো। অর লগে আইলাম। আইজ ১০ বছর অইল আছি। ’
‘তুই চইলা যা। ’
রোগী কান্না কণ্ঠে, ‘কই যামু?’
‘যেহান থিকা আইছস।
’
‘না, যামুনা। ’
‘শয়তান, যাবি আবার না। ’ এই বলে শুরু হলো জুতা পেটা। নাকের কাছে শুকনা মরিচ ধরা। ভুত কান্না শুরু করে দিল।
মাপ চাইলো। বললো, ‘মরিচ সরা যামু। তয় একটা শর্ত আছে। ’
‘কী শর্ত?’
‘এক সের দুধ আর একটা কইতরের (কবুতর) বাচ্চা দিতে অইবো। ’
‘ঠিক আছে দিমু।
আমগোরেও একটা শর্ত আছে। ’
‘কী শর্ত?’
‘জুতার তলা কামুড় দিয়া যাইতে অইবো। ’
‘না, এইডা মানমু না। ’
‘মানবি আবার না। ’ এই বলে শুরু হলো আবার জুতা পেটা।
সঙ্গে শুকনা মরিচের ধোঁয়া। শুকনা মরিচ পোড়ার গন্ধে আমাদের চোখ-নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়েছে। আমরাই পালাতে পারলি এখন বাঁচি। ভুত তো দূরের কথা!
মিনিট খানেক পিটুনীর পর একটা জুতার তলা কামড় দিয়ে রোগী দৌড়ে ঘরের বাইর হতে গিয়ে দরজায় গুতা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। লাইট জ্বালানো হলো।
আমরা চোখ খুললাম। কেমন অন্ধকার আর ভয় ভয় লাগছে। ঘর ধোঁয়ায় ভরে গেছে। রোগীর মাথায় পানির ছিটা দেওয়া হলো। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলো।
দেখা গেল জিহ্বা ভিতরে চলে গেছে। তবে মাঝে-মধ্যে বাইরে আসার চেষ্টা করছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।