"পসার বিকিয়ে চলি জগৎ ফুটপাতে, সন্ধ্যাকালে ফিরে আসি প্রিয়ার মালা হাতে"
ঘরের বাহির
ঘরের বাহিরে থাকতে থাকতে যেদিন মনের বাহিরে চলে গেলাম-
সেদিন নিজে থেকেই আবার ঘরে ফিরে যেতে ডাকলে,
ততদিনে আমি ঘরের পথ ভুলে গেছি।
ঘরের ফার্নিচারে কোন প্রাণ ছিলনা,
কার্পেটে জমে থাকা ধূলোর নড়বার শক্তি ছিলনা,
ফুলদানিতে সাজানো ফুলে কোন সুবাস ছিলনা,
এই ঘরের বাসিন্দা ছিল মাত্র দুজন। তারা মানুষ ছিল-
তাদের মন বলে কিছু ছিলনা। তাদের অস্তিত্ব ছিল-
তাদের পরিচয় কারো জানা ছিলনা।
সেই ঘরের জানালায় ভারী পর্দা ছিল,
সূর্যের আলোর প্রবেশ সেই ঘরে নিষিদ্ধ ছিল।
সেই ঘরে ক্রিস্টালের ঝাড়বাতি ছিল তবুও
ঘরে প্রচন্ড আলোর অভাব ছিল।
সেই ঘরে নামি দামী পারফিউম ছিল-
তবুও বাতাসে কেমন একটা দুর্গন্ধ ছিল।
গুমোট বাতাস যখন কোন ঘরে গুমরে কাঁদে
নিঃশ্বাস তখন এমনিতেই বন্ধ হয়ে আসে।
কার ইচ্ছে তখন সেই ঘরে থাকে?
ঘরটা ধীরে ধীরে কফিন হতে থাকলে
দেহের ভেতরের আত্মাটাও পালাতে চেষ্টা করে।
আমি এখন ঘরের বাহির-
আত্মাকে আর দেহের খাঁচায় পুড়তে চেওনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।