প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ: ১। আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ভাতে (২০১২)। ২। চারিদিকে জীবনে সমুদ্র সফেন (২০১২)। ৩।
ভালোবাসার পদাবলী (২০১২)। ৪। বোধের গহীন জলে (২০১২)।
ঘরের কথা
শাফিক আফতাব...............
আমি পা টিপে হাঁটি__যাতে মানুষ দাম্ভিকতা না বলে, কিংবা পড়ে না যাই ম্যানহোলে
আমি ধীরে কথা বলি__যাতে কারো কর্ণকুহরে শব্দদুষণ না ঘটায়
দরজার সিটকিনি আস্তেধীরে লাগাই, যাতে পাশের ফ্লাটের নববধূর ঘুমের ব্যত্যয় না ঘটে
আমি কলিংবেল একবার ধীরে টিপ দেই, এবং টিভির নবটেও ঘোরাই আস্তে যাতে কোনো যান্ত্রিক
গোলযোগ না হয়,
আমি অগ্রজদের সালাম ঢুকি মোলায়েম ভাষায়, জুনিয়রদের দেই স্নেহের শিশির
আমি পারতপক্ষে খাবার আগে চিন্তা করি, এই ভোজ্য আমার কায়িক পরিশ্রমের না শ্বশুরবাড়ির উপহার
না সরকারি চাকরি জীবী বউ আমার কোনো পন্থায় উপার্জন করেছে ?
সেদিন কলেজ জীবনের এক বান্ধবী কাকারাইলের আনন্দভবনের এক চাইনিজে নিয়ে গেলো
আমরা দুজন পাশাপাশি বসলাম, পাশের টেবিলে দেখি, চপচপ করে খেয়ে চলেছে একদল মানুষ
খাবার ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে তারা প্রায়শ এইখানে এসে খায়, সেটাই বোঝানোর জন্য বেশি বেশি চপ চপ করছে,
আমার পকেট সেদিন দেউলিয়ে, নীলাকে বললাম, আমার পকেটের অবস্থা এই, ও কোত্থেকে একটা কার্ড পেয়েছিলো
তার জন্য ছাড় পাওযা গেলো ফরটি পারসেন্ট ডিসকাউন্ট।
আমাদের পচা চিংড়ি মাছের সাথে হলুদমাখা কিছু ভাত দেয়া হলো,
আমি হাত দিয়ে খাওয়া শুরু করলাম, পাশে চপচপ লোকগুলো খিকখিক করে হেসে উঠলো,
হেসে উঠলো মানে তারা বুঝালো তারা চাইনিজ খায়, আমি কোনদিন খাইনি, কিন্তু বাসিপচা খাবার দিয়ে যে চাইনিজ
বানিয়ে বাগিয়ে নিলো পকেটের টাকা তা তারা বুঝলো না।
মূল বিষয়ে আসি, আমি আমার কথা বলছিলাম, মানে পা টিপে পথ চলার কথা বলছিলাম
এই যে চপ চপ করে চাইনিজ খাওয়া আধুনিক মানুষ, খোজঁ নিয়ে দেয়া দেখা তারা আদমের ব্যবসা করি
মানুষর চাকরি দেয়, তাদের কয়েকটি চাকরির কারখানা আছে।
পরে আমি বাংলাদেশে চাইনিজের আগমন নিয়ে লেখাপড়া শুরু করলাম
এবং কাটা চামুচ ব্যবহার বাংলাদেশ কবে শুরু করেছে__তা নিয়েও পড়াশুনা করলাম
বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠা কাল লক্ষ্য করা শরু করলাম__হায়রে বাঙালি চটিভদ্রের সন্তান
এই জন্য চপচপ করে চাইনিজ খাও
আর কিরিং কিরিং করে কলিং বাজাও__
৩০.১০.২০১৩
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।