আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘরের গরু ঘাটার ঘাস খায় না

প্রথমেই আমি আন্তরিকভাবে দু:খ প্রকাশ করছি এমন একটি শিরোনাম দেয়ান জন্য। আর কেন দু:খ প্রকাশ করছি, পরে বলছি ? প্রথমে নিচের সংবাদটি পড়ুন: বিশিষ্ট শিল্পপতি ও স্কয়ার গ্রুপের কর্ণধার স্যামসন এইচ চৌধুরী আর নেই। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। এবার আসি শিরোনামের মাজেজায়।

স্কয়ারের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান স্কয়ার হসপিটাল। প্রতিমাসে বিভিন্ন শ্রনী-পেশার কয়েক দশক লোক এই হাসপাতালকে নিভে যাওয়া প্রান প্রদীপকে আবার জ্বালানোর আশায় ব্যার্থ হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। অথচ ঐ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মারা গেলেন বিদেশী একটি হাসপাতালে। উনি কি জটিল কোন অসুখে ভুগছিলেন। না, উনি ভূগছিলেন বার্ধক্যে।

এর মানে সময় শেষ, চাদে গেলেও বাচা যাবে না এবং পৃথীবির কেউ এর অন্যথা নয়। আমি বলি, টাকা থাকলেই কি খরচ করতে হয়। বাচার আকুতি সার্বজনীন। কিন্তু মৃত্যুর পর বেচে থাকার চেষ্টা করা কি তার থেকে বুদ্ধিমানের কাজ নয় কি ? এই দেশের রাজানীতিবিদ, টাকাওয়ালা কারো এই দেশের চিকিৎসার উপর ভরসা নেই। কিছু হলেই সবাই ছুটে বিদেশে।

আর আমাদের মত ছাপোষারা উপায় খুজে না পেয়ে বাধ্য হয়ে মাটি কামড়ে পড়ে থাকি এই সোনার বাংলায়। বিদেশের চিকিৎসা দেশে দিবেন বলে নিজ উদ্যেগে গড়ে তোলেছেন আপনাদের ভাষায় বিশ্বমানের হসপিটাল স্কয়ার। কিন্তু কষ্ট পেতে হয় তখন যখন দেখি এর প্রতিষ্ঠাতা এখানে ভরসা না পেয়ে উড়ে চলে যায় অন্যকোন দেশে। অথচ নিজ দেশের নিজ প্রতিষ্ঠানে যদি মৃত্যুর মত অনিবার্য কাজটি শেষ করতে পারতেন তাহলে কত সন্মানই না দেয়া হত আপনাকে। অথচ অনেক আশা নিয়ে যেখানে গিয়েছিলেন ওরা এখন আপনার লাশকে প্যাকেটবন্দী করে ফেলে রেখেছে বের করে দেয়ার উদ্দ্যেশে আর আপনার জায়গাটিতে হয়ত ইতিমধ্যেই উঠে গেছে অন্য কোন লোক।

কিন্তু আপনি যদি মারা যেতেন স্কয়ারে, তাহলে (মৃত্যুর পরেও যদি জানার বা বোঝার ক্ষমতা থাকত) দেখতেন কত সন্মানের সাথেই না শেষকৃত্য পর্যন্ত রাখা হচ্ছে আপনাকে। আর নিজের প্রতিষ্ঠানের উপর বিশ্বাস আর আস্থা দেখে আশান্বিত হতাম আমরা সাধারন জনগন। তাই সব দেখে শুনে যদি বলি "ঘরের গরু ঘাটার ঘাস খায় না" তাহলে কি আমার খুব অন্যায় হবে বন্ধুরা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।