আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাদিয়া শারমিন বনাম হেফাজতের ১৩ দফা

নাদিয়া শারমিন বনাম হেফাজতের ১৩ দফা সুরেশ কুমার দাশ ১. দৃশ্যটা খুব ভয়ঙ্কর। যদিও কোন জঙ্গলের কাহিনী নয়, মানবশূন্য কোন জনপদের কাহিনী নয়। নয় কোন সিনেমার দৃশ্যও। লাখ লাখ মানুষের মধ্যে একজন নারীকে তাড়াচ্ছে এক দল দাঁড়ি-টুপি পড়া লোক। ডিসকভারি চ্যানেলে যেমন অসহায় হরিণ শাবক হায়েনার কবলে পড়ে।

ঠিক তেমনি আতঙ্ক নিয়ে দৌঁড়াচ্ছে মেয়েটি! যাকে নারী বলছি তিনি আবার সাধারণ নারী নন। একজন সাংবাদিক। একুশে টিভির নাদিয়া শারমিন। একদল মোল্লার কবলে পড়া নাদিয়ার এ ছবিটা ঘটনার অনেক দিন পর এবিসি রেডিওর প্রধান সানাউল্লাহ লাবলু ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ভয়ঙ্কর দৃশ্য।

এর আগে আমি এ সংক্রান্ত খবর পড়েছিলাম। এরমধ্যে একজন সাংবাদিক নেতার একটি লেখা পড়েছি। যার ব্যাপক পরিচয়। মোল্লাদের তাড়া খাওয়ার পর তিনি বিডি নিউজে একটি লেখা লিখলেন মানে শওকত মাহমুদ তিনি বললেন এ ধরনের অ্যাসাইমেন্টগুলো কেন মেয়ে সাংবাদিকরা কাভার করতে যাবেন। তার কথা হিন্দুর ধর্মীয় কর্মসূচী কেন মুসলমান সাংবাদিকরা কাভার করতে যাবেন।

মুসলমানের ধর্মীয় প্রোগ্রামও যেন হিন্দু সাংবাদিকরা কাভার করতে না যান। তিনি সাংবাদিকতার ছবক দিলেন চমৎকারভাবে। ঘটনা আসলে কি তাই নয় - মোল্লারা যে বলেছেন ‘এতগুলো মোল্লার ভিড়ে তুমি মাইয়া কি কর। ’ এ কথা বলেইতো নাদিয়াকে তাড়া দেয়া হয়েছে। ঠিক এভাবেই বিডি নিউজে শওকত মাহমুদ তার লেখাতে মোল্লাদের আর এক দফা আস্কারা দিয়েছেন।

‘ মাইয়া তুমি মোল্লা গো প্রোগ্রাম কাভার করতে পারবা না। এ ধরনের চেষ্টা করলে আমাগো ভাইজান মোল্লারা তোমাদের আক্রমণ করবেই করবে’। শওকত মাহমুদ শুধু সাংবাদিক নন তিনি একজন সাংবাদিক নেতা। তার এরকম সাফাই সাক্ষি মোল্লাদের পক্ষে। ঘরের লোক যদি মোল্লাদের এভাবে আস্কারা দেয় তাহলে মোল্লারা সুযোগের ষোল আনা গোলায় তুলবে না কেন? এ পরিস্থিতি অনেক আগেই সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে এভাবে।

পারলে সাংবাদিকদের ঘরের বউ, মা বোন এদেরকেও তুলে নিতে পারে এমন আশঙ্কাই বার বার মনে উঁকি দিচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম -তাদের জাত ভাই জামাতি গংরা ৭১ সালে তো তাই করেছে। তারা যখন ৭১এর যুদ্ধে বাঙালি নারীদের ‘গণিমতের মাল’ হিসাবে ধর্ষণ, খুন, নির্যাতন করেছে তখন নারীরা আরাম ছিল। এখন সেই দিন নাই। পরনারী তাদের হেফাজতে নেই, ঘরেও হয়ত আর রুচি মিটছে না।

তাই ‘১৩ দফার ফতোয়াবাজী’ শুরু হয়েছে। এ যখন অবস্থা নাদিয়া সেদিন তথাকথিত হেফাজতের যে রোষানলে পড়েছিলেন সেটা এক শ্বাপদ সংকুল জনপদে হরিণ শাবকের অবস্থার মত। এ শ্বাপদ কারা হতে পারে ওই যে ধর্ম রক্ষাকারি মোল্লারা। তারা যে জনসভা থেকে একজন অসহায় মেয়েকে হয়েনার মত আক্রমণ করল সেটাই কি ইসলামের হেফাজতের নমুনা। ইসলামের হেফাজতের নামে জনসংখ্যা অর্ধেক অংশ মানুষকে ধর্মের দোহাই পেড়ে অবদমিত করে রাখা।

আবার তারা এও বলেন ইসলামই নারীদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছে। ইসলাম নারীদের মর্যাদা দিয়েছে সেটা কি একজন অসহায় মেয়েকে হয়েনার মত আক্রমণ করা। তাকে লাঞ্জিত করা। এটাই কি ইসলামে নারীদের মর্যাদার উদাহরণ। সেটা যদি না হয় তাহলে এদেশের নারীদের কাছে ইসলামের কি মেসেজ দিয়েছেন মোল্লারা।

যেসব নারীরা এ দৃশ্য দেখেছে তারা তো বুঝবে এ হেফাজতের মোল্লারা কত ভয়ঙ্কর। ইসলামের নামে তারা নারী অধিকারের কথা বলে প্রকাশ্য জনসভায় হাজার হাজার মোল্লা আবার একজন নারীর পিছু নিয়েছে হায়েনার মত। ২. অনেকে বলবেন আমি ইসলাম নিয়ে কেন টানাটানি করছি। এখানে ইসলাম বোঝার বেশি কিছু নেই। আমি সাংঘর্ষিক বিষয়টা নিয়ে যুক্তি দিলাম তাৎক্ষণিক ঘটনার।

কারণ মোল্লারা ইসলামের নাম বেচে পেট বাঁচায়। ইসলামের নামে তারা বলে কি আর বাস্তবতা কি দেখায়। এ অবস্থায় তাদের ঘরে যেসব মহিলা তাদের হেফাজতে আছে ওইসব মহিলাদের মানসিক অবদমন কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটা ভেবে দেখুন। অন্য অনেক কথা নাই বললাম। তাদের ১৩ দফার সেই ৪ নং দফাটা।

যেখানে নারী পুরুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিচরণ তারা মানতে চায় না। তাই ১৩ দফা ঘোষণার দিনই তারা একজন নারীকে আক্রমণ কওে বুঝিয়ে দিয়েছে। হায় মোল্লাতন্ত্র!! ৩. রাষ্ট্র কেন ব্যর্থতার পরিচয় দেয় সে কথাটা একটু উল্লেখ করছি। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় কিছু ধর্মান্ধ মানুষ এদেশে বসবাস করছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে উদার রাষ্ট্র গড়ার জন্য এসব ভয়ঙ্কর মোল্লাদের মানসিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ করা।

না হলে হঠাৎ হঠাৎ এমন কিছু করে বসবে তা তাৎক্ষণিকভাবে সামাল দিতে সঙ্কটে পড়বে। রাষ্ট্রের মান সম্মান, ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়বে। হেফাজতের মোল্লারা সাংবাদিকদের প্রথম লাঞ্জিত করে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে। অ্যাসাইমেন্ট কাভার করতে গেলে সেখানে সাংবাদিকদের তারা শারীরিকভাবে লাঞ্জিত করে। এর আগে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী ও হেফাজতের মোল্লারা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ককটেল হামলা করে।

বাস্তবতা হচ্ছে প্রেসক্লাবে হামলার মত ঘটনায় জোরালো কোন প্রতিবাদ প্রতিরোধ বা কোন আইনি ব্যবস্থা নেননি সাংবাদিকরা। প্রেসক্লাব মানে যেখানে দাঁড়িয়ে বঞ্চিত মানুষ কথা বলে। দাবি দাওয়া নিয়ে হাজির হয়। কথা বলে। সাহস নিয়ে কথা বলার জায়গাও প্রেসক্লাব।

সেই পবিত্র জায়গায় এসে হামলা করা মানে রাষ্ট্রের সমস্ত মানুষের সাহসের উপর হামলা করার সমান। এটা এতই ভয়ঙ্কর বিষয় যে তারা একই সঙ্গে সমস্ত মানুষের সাহস ও শক্তির উপর হামলা করেছে। মানুষের আশা ও ভরসার জায়গায় আঘাত করা মানে সমস্ত মানুষের অধিকারের উপর আঘাত করা। তাই প্রেসক্লাব শুধু সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ কিছু নয় এটা জনগণের জন্যই বিশেষ কিছু। সাংবাদিকদের সাহস ও শক্তির উপর হামলা করা মানে জনগণের যারা মুখপত্র তাদের মুখ ও কলম বন্ধ করে দেয়ার প্রাথমিক সূচনা।

কিন্তু মুক্ত সাংবাদিকতা না থাকলে তো রাষ্ট্রযন্ত্র অচল হয়ে পড়বে। মানুষের জন্য কথা বলার কেউ থাকবে না। যদি কথা বলার কেউ না থাকে তাহলে মোল্লারা সেই ‘খোয়াবের রাষ্ট্র’ কায়েম করবে। যখন জনগণের কিছু করার থাকবে না। এ কারণে মোল্লারা সাংবাদিকদের হামলা করছে এবং বার বার।

অন্য সাংবাদিকদের বা নাদিয়া শারমিনকে হামলা শুধু কোন নারী বা সাংবাদিকদের উপর হামলা নয় যারা তাদের নিউজ কাভার করতে যাবে তাদেও জন্য একটা মেসেজ। আতঙ্ক ও ভয়-ভীতি ছড়িয়ে দেয়া। আবার তাদের এসাইনমেন্ট কাভার করতে যারা যাবে তাদেও উপর কি নাদিয়ার উপর আক্রমণের আতঙ্কটা একটুও প্রভাবক হিসাবে কাজ করবে না। তাই এটা এমনই মেসেজ মানে তারা নাদিয়া শারমিন নয় অন্য যে কোন সাংবাদিকের উপরও তারা হামলা চালাতে পারে বা চালাবে। শওকত মাহমুদের ছবক অনুযায়ী হিন্দু মুসলমান সাংবাদিক খুঁজবে।

আবার হিন্দু মুসলমান খোঁজার পর কোন মুসলিম সাংবাদিক আবার অতিমাত্রায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তাকে খুঁজবে। এরপর তাকে আবার নাস্তিক বানাবে। ইতিমধ্যেই তারা কিছু গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করেছে। অন্যদিকে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ ধর্মের বিরুদ্ধে কোন কথা না বলার পরও তারা গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে নাস্তিকতার বদনাম ছড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি মোল্লাদের ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক থেকে তারা প্রচার করেছে অর্থাৎ রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী হেফাজতের মোল্লাদের দোসর জামাত-শিবির প্রচার করছে গণজাগরণ মঞ্চে নারী ও পুরুষদের মধ্যে অবৈধ যোনাচারও চলছে।

এ রমরমা মিথ্যা প্রচারণার সুযোগে মোল্লারা আতর-লোবান মেখে ইসলাম হেফাজতের জন্য চারপাশে ভয়ভীতি আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। গণতন্ত্র আছে বলেই মোল্লারা সেদিন সারাদেশ থেকে লংমার্চ করতে পেরেছে। লংমার্চ নামে সারাদেশে একটা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি সৃষ্টি করেও পার পেয়ে গেছে। সারাদেশের মানুষের বোধ বিবেচনাকে তারা জিম্মি করে রেখেছিল। যদি বাংলাদেশে মোল্লাতন্ত্র থাকত দেশে মোল্লারা ঘর থেকেও বের হতে পারত না।

পৃথিবীর যেসব দেশে মোল্লারা রাষ্ট্র চালায় সেসব দেশেও ইসলাম নিয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু সেখানে এক দল মোল্লা অন্য মোল্লাদের অন্যভাবে দমন করছে। সেখানে লংমার্চ তো দূর কল্পনা। ৪. দেশের কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মবিশ্বাসকে অবজ্ঞা করে এ মোল্লারা কি তাদের খেয়ালখুশীমত মানুষকে ইসলামের ছবক দিয়ে যাবে। নাকি এটা তাদের রাজনৈতিক মতলব।

এটা কেন রাজনৈতিক মতলব হবে না কেন- যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে তখন তারা ইসলামের হেফাজতের জন্য মাঠে নেমেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আগে ৪০ বছর মোল্লারা কোথায় ছিলেন। নাস্তিকতা তো একদিনে সৃষ্টি হতে পারে না। কিংবা তাদের কথিত ইসলাম বিরোধী সমস্যাগুলো এখানে আগেও বিদ্যমান ছিল। এছাড়া শাহবাগের আন্দোলনকারীরা বার বার বলছে তারা নাস্তিক নয়।

যদি তারা তাদের নাস্তিক মনে করে তাহলে তারা মোল্লাদের সঙ্গে ডিবেট করতে চায় কে মুসলমান আর কে মুসলমান নয় তা দেখানোর জন্য। কিন্তু মোল্লারা তাতে কোন সাড়া দেয়নি। মোল্লারা সশস্ত্র অবস্থায় মাঠে নেমে যুদ্ধ করতে রাজী আছে ইসলাম রক্ষা করার জন্য কিন্তু কোন আলোচনা করতে রাজী নয়। আলোচনায় কেন তাদেও এত ভয়। তাদের মধ্যে কি কোন ফাঁকি আছে।

এটা খুবই যুক্তির কথা যে তাদের ১৩ দফা রাস্তবায়ন করতে চাইলে তারা সংসদ নির্বাচনে অংশ নিক। সেখানে যদি জনগণ তাদের ভোট দেয় তাহলে তারা তাদের ইশতিহার মত রাষ্ট্র কায়েম করবে। সমস্যা কোথায়। জনগণের ইচ্ছাই হচ্ছে গণতন্ত্র। জনগণ মোল্লাতন্ত্র চাইলে তারা ক্ষমতায় গিয়ে সেটা করবে।

বর্তমান সরকার মোল্লাদের মধ্যযুগীয় ১৩ দফা বাস্তবায়নের কথা বলে নির্বাচন করেনি। তাই বর্তমান সরকারের কোন দায় নেই ১৩ দফায়। এজন্যই মোল্লাদের জাতীয় নির্বাচনে আসা উচিত। ৫. সংবিধান বিশেষজ্ঞ এম. এ জহির এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই, রাষ্ট্রের কান দেওয়ারও দরকার নেই, অপ্রয়োজনীয় এমন একটা বিষয় ছিল হেফাজতের মোল্লাদের আস্ফালন। সেটাকে ব্যাপক প্রচার করেছে মিডিয়া।

মিডিয়া কি করবে না করবে তা মিডিয়ার বোঝা উচিৎ। অথবা এসব অযথা প্রচারণা থেকে বের হয়ে আসা দরকার। মোল্লাদের লংমার্চ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল। আর এটা যখন ঘটে যায় তখন তা কাভারেজ করার মত চমৎকার সংবাদ। বেশ হয়তো এতটুকুই ছিল দায়িত্ব।

কিন্তু ১৩ দফা। এটা কি ? এ ১৩ দফার প্রচার পাবার সুযোগ নিয়েছে এবং নিচ্ছে মোল্লারা। কে চিনে - কোথাকার মোল্লা শফি। তিনি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হিরু হয়ে উঠলেন। আর তার চ্যালারা পথে ঘাটে ধরে সাংবাদিক পোটাচ্ছে।

ঢাকা থেকে মোল্লা শফির এক চ্যালা আবার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, হেফাজতিরা সাংবাদিক নাদিয়া শারমিনকে লাঞ্জিত করেনি। ওখানে সরকার দলীয় ক্যাডাররা তাদের সমাবেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তারাই এ কাণ্ড করেছে। এ ঘটনায় মোল্লা শফিকে প্রধান আসামী করে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করা দরকার ছিল। সুস্পষ্ট নারী নির্যাতনের প্রমাণ থাকার পরও কেন সেটা হয়নি আমি এখনও বুঝতে পারিনা।

কেন সাংবাদিকরা এগিয়ে আসল না। এটা ভাবলে খুবই ভয়ঙ্কর যে নাদিয়া শারমিনকে লাঞ্জিত করার পর কেন আইনি ব্যাপারটা দেখা হল না। আর যে মোল্লারা নারী নির্যাতন ও লাঞ্জিত করে তারা কিভাবে ইসলামকে হেফাজত করবে। নারীর হেফাজত করবে। এদেশের মুসলমান সম্প্রদায় কি মনে করে এরপরও এসব মোল্লাদের হাতে নারী ও ইসলাম নিরাপদ? সাংবাদিকদের অধিকারের কথা, নিরাপত্তার কথা তো আরও পরের বিষয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.