আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাদিয়া আমার বোন

মানবতাই মহান ধর্ম। by masum mahbub, news editor, ETV একুশে টিভির নাদিয়া বেশ চটপটে। কথা বলে মাথা এ পাশ ও পাশ করে। এনিয়ে আমি সব সময় ওকে ভেঙ্গাই। বকা ঝকাও করি ও রাগ করে না।

কেনো করে না জানি না। আজ ও হাসপাতালে তাই মনটা খুব খারাপ। বোন বলে কথা। সাংবাদিকতা এমন এক পেশা যার বিরুদ্ধে যাবে সেই শত্রু ভাববে। অথচ দেখুন সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধেই এ লাড়াই সাংবাদিকদের।

সাংবাদিকরা কাজ করে দেশ গড়তে। কেনো সবাই শত্রু ভাবে ? জানি না। তবে আমার দুটো প্রশ্ন আপনাদের কাছে যারা এই মুহুর্তে এই লিখা পড়ছেন। ১. নাদিয়াকে যে ছেলেটি নিজের জীবন বাজি রেখে বাচাতে এগিয়ে আসছে সে দিগন্ত টিভির ক্যামেরাম্যান। নাদিয়াকে বাচাতে তার মুখের কয়েকটি দাত চীরতরে হারাতে হয়েছে।

ভেঙ্গেছে পাও। আর কখনো ক্যামেরা নিয়ে এই মহান পেশায় দাড়াতে পারবে কিনা সে জানে না, জানে না নাদিয়া বা অন্য কোনো সহকর্মীকে বাচাতে ছুটতে পারবেন কিনা। অথচ দেখুন তার জন্য দেশের এত এত মিডিয়া কেউ কথা বললো না। কিন্তু কেনো ? সে দিগন্তে চাকরী করে বলে ? মহীম মিজানও দিগন্তে চাকরী করেছে। পরে ৭১ এ চাকরী করে বলে তার খবরটি সবাই প্রচার করেছে।

নাদিয়ার চেয়ে বেশি আহত হয়েও দিগন্তের ছেলেটি কোনো মিডিয়া কভারেজ পায়নি। তথ্যমন্ত্রী তাকে দেখতে জাননি। সাংবাদিকরা তাদের ঘোষিত আন্দোলনে দিগন্তের ছেলেটিকে রাখেনি। কিন্তু কেনো ? আজ যারা নাদিয়াকে নিয়ে কথা বলছেন তারা অনেকেই নাদিয়া ভালোবেসে কথা বলছেন না। তারা নাদিয়াকে দিয়ে রাজনীতি করছেন।

আর রাজনীতি করার কারণে দোয়ীরা হারিয়ে যাবে। তাদের আর খুজে পাওয়া যাবেনা। অথচ দেখুন যে ছেলেটি নাদিয়াকে বাচাতে এগিয়ে গেলো সে হাসপাতালে শুয়ে কাতরালেও কেউ খোজ নেয়নি। তার চোখে অভিমান থাকলে মুখে ছিলো হাসি, কারণ সে তার এক বোন বাচাতে পেরেছে। কিন্তু আমরা কি পেরেছি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে ? ২. রাজশাহীতে আহত পুলিশকে বাচাতে এসে এক নারী জাতীয় বীর হয়ে গেলো।

পুরস্কার পেলো এক লক্ষ টাকা। অথচ আপনারা জানেন তাকে বাচাতে সবার আগে এগিয়ে এসেছিলো পুরুষ সাংবাদিকরা। সে সাংবাদিকরা কোথাও নেই। অথচ কদিন পরে সত্য বলতে গিয়ে দেখা যা্বে এই পুলিশের হাতে আহত হবে এই সাংবাদিকরা অথবা ক্ষমতাশীনরা মারবে তারা দর্শক হয়ে দেখবে। এটা কেনো হয় ? আমরা বিভেদ না ভুলে এভাবে চললে কাল নাদিয়া বা ফালগুনিকে বাচাতে তো আর কেউ এগিয়ে আসবে না।

আমরা আমাদের সন্মানটুকু আর নষ্ট করবোনা ,এই আশাটুকু করতে তো পারি, কি বলেন ? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.