আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। আমেরিকা ও তার প্রধান মিত্র ইহুদিবাদী ইসরাইল বিশ্বে সব সন্ত্রাসের হোতা এবং তারা সন্ত্রাস বিষয়ক একাডেমিক কোর্স পরিচালনা করছে। ইরানের বিচার বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য মূসা গাজানফারাবাদী এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, বিমান বাহিনীর সদস্যদের জন্য সাইবার যুদ্ধের কোর্স পরিচালনার নামে আমেরিকা মূলতঃ সন্ত্রাসীদের প্রশিণ দিচ্ছে।
মূসা গাজানফারাবাদী বলেন, বিশ্বের যেসব দেশ স্বাধীন নীতি গ্রহণ করেছে তাদের প্রতি আমেরিকা ও ইউরোপের আগ্রাসী আচরণের বিষয়টি মোটেও গোপন কোনো বিষয় নয়।
এ ছাড়া, বিশ্বের নানা সংকটের বিষয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপের দ্বিমুখী নীতিও গোপন কোনো বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। ইরানের এ সংসদ সদস্য বলেন, আমরিকা ও ইউরোপের স্বার্থ ঝুঁকির মুখে না পড়লেও তারা মানবাধিকার লংঘনের তোয়াক্কা করে না এমনকি মানুষ মারতে পর্যন্ত দ্বিধা করে না।
তিনি বলেন, ইরানকে বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরা আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রচারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশ্বের প্রতিটি জায়গায় তাদের অপরাধী ততপরতা চলছে এবং এর মাধ্যমে তাদের আগ্রাসী ও মিথ্যা নীতিই ফুটে উঠছে।
গত জুন মাসে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট খবর দিয়েছে, আমেরিকা ও ইসরাইল ইরানে সাইবার হামলা চালানোর জন্য যৌথভাবে ‘ফেম’ নামের একটি কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করেছে।
ইরানের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে আমেরিকায় তথ্য পাচার এবং সে তথ্যের ভিত্তিতে আক্রমণাত্মক ভাইরাস তৈরি করার ল্েয ‘ফেম’ উতপাদন করা হয়েছে।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স্টুক্সনেট ভাইরাস দিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে ইরানের বুশেহর ও নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় কয়েকবার সাইবার হামলা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালানো হয় স্টুক্সনেট কম্পিউটার ভাইরাস দিয়ে। এ দু’টি স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়ার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু ততপরতায় বিঘ্ন সৃষ্টি করা ছিল ওই সাইবার হামলার মূল উদ্দেশ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।