এই চক্রটা দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চায়। বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে এরা। বাংলাদেশে্ও নিষিদ্ধ। তবু কার্যক্রম চালাচ্ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ১৩ হিযবুত তাহ্রীর সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১ ও ১০-এর সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খিলক্ষেত ও গেন্ডারিয়ায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত হিযবুত তাহ্রীর সদস্যদের নামে মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, হিযবুত তাহ্রীর সংগঠনটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই র্যাবের গোয়েন্দা দল ও জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ সেলের সদস্যরা ওই সংগঠনের উপর নজরদারি শুরু করে। গতকাল দুপুরে র্যাবের গোয়েন্দা টিম জানতে পারে, সরকারবিরোধী মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করার জন্য তারা খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ বড় মসজিদ এলাকায় জড়ো হবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে ছদ্মবেশে র্যাব সদস্যরা অবস্থান নেন।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে জুমার নামাজের পর ওই মসজিদের সামনে সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী মিছিল বের করলে র্যাব সদস্যরা ওই মিছিল থেকে মো. শাহ ইমরান (২২), মো. রাজিব (২০), মো. সাইদুল ইসলাম (২৪), নাদের জামিল চৌধুরী (২৬), মো. মশিউর রহমান (৩০), মো. হাসান (২৪), মো. মহিউদ্দিন মাহি (৩০), মো. মুরাদুজ্জামান (২৪), মো. মোশারফ হোসেনকে (২০), গ্রেপ্তার করে। ওদিকে একইদিন দুপুর ২টার দিকে র্যাব-১০-এর সদস্যরা গে-ারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী লিফলেট বিতরণের সময় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে_ মো. সোহরাব হোসেন (২১), মো. মাকসুদুল ইসলাম (৩২), মো. মাহবুব সাকিব (১৭) ও মো. কামরুল ইসলাম (২৫)। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে এ সময় বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্র ও সংবিধান পরিপন্থী লিফলেট এবং একটি সাময়িকী পত্রিকা উদ্ধার করা হয় বলে র্যাব দাবি করে। এ বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্য।
গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে গতকাল খিলক্ষেত ও গেন্ডারিয়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশের অখ-তা, সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরির উলাইয়াহ বাংলাদেশকে সমর্থন, সদস্যপদ গ্রহণ এবং অন্যকেও উক্ত সংগঠনে যোগদানের জন্য আহ্বান করায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৮/৯(ক) এবং ১৩ ধারায় অপরাধ করেছে। এই অপরাধের দায়ে তাদের নামে মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।